Published : 31 May 2025, 07:38 PM
দেশে ‘মানসম্মত শিক্ষার’ সুযোগ নিশ্চিত করাটাই অন্তর্বর্তী সরকারের লক্ষ্য বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার।
শনিবার বিকালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়- বুয়েটের মিলনায়তনে জাতীয় জীববিজ্ঞান উৎসবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এজন্য পরিবার, বেসরকারি খাত, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সমাজের সবাইকে নিজ নিজ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, "বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাহন হচ্ছে শিক্ষা। এই শিক্ষায় যেন সবার সুযোগ থাকে। মানসম্মত শিক্ষা অর্জন করার সুযোগ আমরা যেন নিশ্চিত করতে পারি, সেটাই হচ্ছে আমাদের লক্ষ্য।
"আমরা এমন একটা শিক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করতে চাই, যেখানে ব্যক্তির কর্মদক্ষতা অর্জনে, অর্থাৎ আত্মউন্নয়নে যেন উপযুক্ত পথ দেখাতে পারে। আমরা এমন একটা শিক্ষা ব্যবস্থা করতে চাই, যা হবে আর্থসামাজিক উন্নয়ন এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক উৎকর্ষতার সহায়ক।”
তিনি বলেন, "একটা অস্থির সময়ের মধ্যে দিয়ে আমরা যাচ্ছি; একটা অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। আবার আমরা কেউ জানি, আমরা একটা অপার সম্ভাবনার দ্বারপ্রান্তে। সেই সম্ভাবনার দিগন্ত উন্মোচনের ক্ষেত্রে এ ধরনের একটা প্রয়াস, বিজ্ঞান চর্চার প্রয়াস বড় ধরনের ভূমিকা পালন করবে বলে আমি মনে করি।"
বাংলাদেশ জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াড এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, বুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক আবু বোরহান মোহাম্মদ বদরুজ্জামান, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল হাসিব চৌধুরী, ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব বায়োটেকনোলজির মহাপরিচালক সগীর আহমেদ, বাংলাদেশ জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াডের সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক রাখহরি সরকার।
বিধান রঞ্জন রায় বলেন, "অসৎ কাজ প্রতিহত করার উপায় হচ্ছে সৎ কাজকে উৎসাহ দেওয়া। আমরা যদি ছাত্রদের বিজ্ঞানের পথে নিয়ে আসতে পারি, তাহলে তারা অযৌক্তিকতার পেছনে ঘুরবে না। তারা তখন দেশের সংগঠনে কাজে লাগবে, ধ্বংসে না। ফলে আমাদের এ বিষয়গুলোতে উৎসাহ দেওয়া উচিত।"
শিক্ষার্থীদের জমা দেওয়া ফিয়ের টাকা দিয়ে এ ধরনের উৎসব করা হচ্ছে তুলে ধরে উপদেষ্টা আক্ষেপ করে বলেন, "আমরা তাদের কিছু সাহায্য করতে পারছি না।"