Published : 24 Feb 2025, 09:03 AM
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এখন পর্যন্ত পাকিস্তান ও দুবাইয়ের চিত্র পুরোপুরি বিপরীতমুখী। দুবাইয়ে অনেকটা নব্বইয়ের দশকের ঘরানার ক্রিকেট হচ্ছে। ধুন্ধুমার ব্যাটিং কিংবা রান তোলা খুব সহজ নয় সেখানে। অন্য দিকে লাহোর ও করাচিতে তিন ম্যাচেই তিনশ ছাড়িয়েছে রান। পাকিস্তানের আরেক মাঠ রাওয়ালপিন্ডিতে ব্যতিক্রম হওয়ার সম্ভাবনা সামান্যই। এই ম্যাচে মাঠে নামার আগে তাই দলের কাছে বড় রানের তাগিদ জানালেন বাংলাদেশের প্রধান কোচ ফিল সিমন্স।
রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সোমবার নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নিউ জিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। চলতি টুর্নামেন্টে এই মাঠে এটিই প্রথম ম্যাচ। তবে করাচি ও লাহোরের মাঠে রানের জোয়ার দেখে পিন্ডির মাঠেরও সম্ভাব্য ধারণা পেয়ে গেছেন সিমন্স।
এই মাঠের সবশেষ সিরিজেও আছে এর প্রমাণ। এখানে সবশেষ ওয়ানডে হয়েছে ২০২৩ সালের এপ্রিলে। সেই ম্যাচে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ৩৩৬ রান করেও জিততে পারেনি নিউ জিল্যান্ড। এর আগের ম্যাচে কিউইদের ২৮৮ রান টপকে সহজ জয় পায় পাকিস্তান।
সেসব মাথায় রেখেই হয়তো দেশ ছাড়ার আগে সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের মাঠে তিনশর বেশি রানে চোখ রাখার কথা বলেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
ম্যাচের আগে প্রধান কোচও সুর মেলালেন অধিনায়কের সঙ্গে।
“এটি (রাওয়ালপিন্ডি) বড় রানের মাঠ। গতকাল (শনিবার) লাহোরের মাঠের রানও দেখেছি। তাই এখানে বড় স্কোরের দিকে তাকাতে হবে, তিনশর বেশি রান করতে হবে।”
টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচের ব্যাটিংয়ের চিত্র মনে রাখলে তিনশর বেশি রানের ছবি আঁকা কঠিন। ভারতের বিপক্ষে ওই ম্যাচে মাত্র ৩৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে শুরুতেই শেষ হয়ে যায় বড় রানের আশা। পরে তাওহিদ হৃদয় ও জাকের আলির রেকর্ডগড়া জুটির পরও ২২৭ রানের বেশি হয়নি দলের সংগ্রহ।
তবে আশাহত হতে চান না সিমন্স। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সবশেষ দ্বিপাক্ষিক সিরিজের পারফরম্যান্সে অনুপ্রেরণা খুঁজে নিতে চান তিনি।
“হ্যাঁ (তিনশর বেশি করা বা সাড়ে তিনশ তাড়া করার সামর্থ্য আছে)… দেখুন, সবশেষ পাঁচ ম্যাচে আমরা কয়েকবার তিনশর বেশি রান করেছি। আমাদের সেই সামর্থ্য আছে। সবশেষ ম্যাচে আমরা ভালো শুরু পাইনি। তবু ২০০ রান করেছি। আমরা যদি ভালো শুরু করতে পারি, সেখানে (তিনশর বেশি রান) যেতে পারব।”
সিমন্স যদিও সবশেষ পাঁচ ম্যাচে কয়েকবার তিনশর বেশি রান করার কথা বলেছেন। তবে বাস্তবতা হলো, সবশেষ ১৩ ম্যাচের ৮টিতে আগে ব্যাটিং করে স্রেফ একবার তিনশ ছুঁতে পেরেছে বাংলাদেশ।
গত ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিনশ ছাড়িয়ে যাওয়া ওই ম্যাচে ৩২১ রান করেও জয়ের স্বাদ পায়নি বাংলাদেশ। একই সিরিজের প্রথম ম্যাচে ২৯৪ রান করেও শেষ পর্যন্ত পরাজিত দলেই থাকতে হয় তাদের।
ব্যাপ্তি আরেকটু বাড়িয়ে সবশেষ ২৭ ম্যাচের হিসাব করলে, বাংলাদেশের তিনশছোঁয়া স্কোর পাওয়া যাবে মাত্র দুটি। ২০২৩ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩০৬ রান করলেও ৩২ বল বাকি থাকতেই হেরে যায় তারা।
সব মিলিয়ে আগে ব্যাট করে ২৮০ ছোঁয়া সবশেষ চার ম্যাচে জিততে পারেনি বাংলাদেশ। তাই ব্যাটসম্যানদের দায়িত্ব মনে করিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি বোলারদের কাজও ঠিকঠাক করার তাগিদ দিলেন সিমন্স।
“(তিনশ করা) সেসব ম্যাচে প্রতিপক্ষ দলগুলো আমাদের চেয়ে ভালো ব্যাটিং করেছে। আমরা তিনশ করেছি, তারা তিনশর বেশি করেছে। খেলাটাই এমন। প্রতিপক্ষকে আটকাতেও হবে। আমরা সেসব ম্যাচে যথেষ্ট ভালো বোলিং করতে পারিনি।”