Published : 21 Jun 2025, 12:12 PM
বয়সকে কীভাবে বুড়ো আঙুল দেখাতে হয়, নমুনা নিয়মিতই মেলে ধরছেন ফাফ দু প্লেসি। ফিটনেস-ফিল্ডিংয়ে তো এখনও তিনি পাল্লা দিতে পারেন অনায়াসেই, ব্যাটের ধারও দেখিয়ে দিলেন দারুণ এক সেঞ্চুরিতে। যে ইনিংসে নিজের রেকর্ডই আবার নতুন করে লিখলেন তিনি। তবে পরে তার মুখ থেকে হারিয়ে গেল হাসি। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে দু প্লেসির দলকে হারিয়ে দিলেন ফিন অ্যালেন ও ম্যাথু শর্ট।
মেজর লিগ ক্রিকেটে দু প্লেসির টেক্সাস সুপার কিংসকে হতাশ করে ৭ উইকেটে জিতে যায় স্যান ফ্রান্সিসকো ইউনিকর্নস।
ডালাসে বাংলাদেশ সময় শনিবার সকালে শেষ হওয়া ম্যাচে দু প্লেসি সেঞ্চুরি করলেও দলের অন্যরা খুব ভালো করতে পারেনি। ২০ ওভারে তাই টেক্সাস আটকে যায় ৫ উইকেটে ১৯৮ রানে।
৭ ছক্কায় ৫১ বলে ১০০ রান করে আউট হন দু প্লেসি।
৪০ বছর ৩৪২ দিন বয়সে ইনিংসটি খেললেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বয়সে সেঞ্চুরির রেকর্ড আগেই থেকেই ছিল তার। সেই রেকর্ড এবার নিলেন তিনি নতুন উচ্চতায়।
রান তাড়ায় অবশ্য টেক্সাসকে পাত্তাই দেয়নি স্যান ফ্রান্সিসকো। ম্যাচ জিতে নেয় তারা ২৩ বল বাকি রেখেই!
২৯ বলে ৬১ করে আউট হন ওপেনার ম্যাথু শর্ট। তার উদ্বোধনী জুটির সঙ্গী ফিন অ্যালেন ৩৫ বলে ৭৮ রানের ইনিংসে ছক্কা মারেন ৮টি।
এই টুর্নামেন্টে স্বপ্নযাত্রা চলছে অ্যালেনের। ১৯ ছক্কার বিশ্বরেকর্ড গড়ে ৫১ বলে ১৫১ রানের ইনিংস খেলে আসর শুরু করেছিলেন নিউ জিল্যান্ডের এই ব্যাটসম্যান। পরের ম্যাচে করেন ফিফটি। এরপর এক ম্যাচে ১৩ রানে আউট হওয়ার পর আবার খেললেন ম্যাচ জেতানো ইনিংস।
ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা টেক্সাস উদ্বোধনী জুটিতে ৯ ওভারে তুলে ফেলে ৯৭ রান। তবে সেটা মূলত দু প্লেসির সৌজন্যেই। তার সঙ্গী ডেভন কনওয়ে আউট হন ২৩ বলে ২৩ রান করে।
২২ বলে ফিফটি ছুঁয়ে আরও এগিয়ে যান দু প্লেসি। সাইতেজা মুকামালার সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে গড়েন ৬৯ রানের জুটি। মুকামালা আউট হন ২৪ বলে ৩৮ রান করে।
দু প্লেসির শতরান আসে ৫০ বলে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তার সপ্তম শতরান এটি।
মেজর ক্রিকেট লিগের গত আসরে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি ৩৯ বছর ৩৬১ দিন বয়সে। চিরতরুণ ব্যাটসম্যান এবার সেই রেকর্ড সমৃদ্ধ করলেন আরও।
টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি বয়সে শতরানের বিশ্বরেকর্ডে তার ওপরে আছেন কেবল সাবেক দুই ইংলিশ ব্যাটসম্যান পল কলিংউড (৪১ বছর ৬৫ দিন) ও গ্রায়েম হিক (৪১ বছর ৩৭ দিন)।
সেঞ্চুরির পরই আউট হয়ে যান দু প্লেসি। অধিনায়কের বিদায়ের পর শেষ চার ওভারে প্রত্যাশিত ঝড় তুলতে পারেননি মার্কাস স্টয়নিস, ড্যারিল মিচেলরা। দলের রান তাই দুইশ হয়নি।
দুটি করে উইকেট নেন স্যান ফ্রান্সিসকোর জেভিয়ার বার্টলেট ও হারিস রউফ।
রান তাড়ায় উদ্বোধনী জুটিতেই জয়ের পথ তৈরি করে ফেলে স্যান ফ্রান্সিসকো। শুরুতে ঝড় তোলেন শর্ট। প্রথম তিন ওভারে ৩৫ রান তোলে দল, তাতে ৩৩ রানই ছিল শর্টের। পরে আক্রমণে যোগ দেন অ্যালেনও। পাওয়ার প্লেতেই ৮৩ রান তুলে ফেলে দল।
৫২ বলে ১১৭ রান তুলে থামে উদ্বোধনী জুটি। ৬টি চার ও ৪ ছক্কায় ২৯ বলে ৬১ রানে ফেরেন শর্ট।
অ্যালেনের ঝড় চলতে থাকে আরও কিছুক্ষণ। ২১ বলে ফিফটি করে এগিয়ে যান তিনি আরও। শেষ পর্যন্ত আউট হন তিনি স্বদেশি অ্যাডাম মিল্নের স্লোয়ারে।
তিনে নামা জেইক ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক ২৫ বলে ৩৭ রান করে দলকে নিয়ে যান জয়ের দুয়ারে।
এই নিয়ে টুর্নামেন্টের চার ম্যাচের সবকটি জিতে শীর্ষে স্যান ফ্রান্সিসকো।