Published : 29 May 2024, 06:22 PM
প্রায় দুই যুগ আগে অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। সবশেষ ওয়ানডে সিরিজও প্রায় ১৪ বছর আগে। এরপর বহুজাতির টুর্নামেন্টের বাইরে আর দেশটিতে খেলার সুযোগ হয়নি বাংলাদেশের। জাতীয় দল না হলেও চলতি বছর হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) ইউনিট পাচ্ছে সেই সুযোগ। ওই সফরে লাল বলের সিরিজ খেলবেন ‘এ’ দলের ক্রিকেটাররা।
অস্ট্রেলিয়ায় সফর হতে পারে বলে আগেই আভাস দিয়েছিলেন এইচপি ইউনিটের প্রধান নাঈমুর রহমান। এইচপি ক্যাম্পের সপ্তাহ পেরোনোর পর তা নিশ্চিত করলেন জাতীয় দলের নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাক। এইচপি ও বাংলাদেশ টাইগার্সের কার্যক্রমের ব্যাপারে জানানোর পাশাপাশি চলতি বছর ‘এ’ দলের সামগ্রিক ব্যস্ততার কথা তুলে ধরেন তিনি।
জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা এখন ব্যস্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। ছেলেদের ঘরোয়া ক্রিকেটের মৌসুমও শেষ। তবু মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ব্যস্ততার শেষ নেই। প্রায় সপ্তাহখানেক ধরেই সকালে শুরু হয় এইচপির অনুশীলন। পরে বাংলাদেশ টাইগার্সের ক্রিকেটাররাও নিজেদের ঝালিয়ে নিতে ঘাম ঝরান।
বিসিবির এই দুই প্রোগ্রামে থাকা ক্রিকেটারদের নিয়েই সামনে গড়া হবে ‘এ’ দল। যারা দেশে ও দেশের বাইরে খেলবে একাধিক সিরিজ। এর শুরুটা হবে অস্ট্রেলিয়া সফর দিয়ে। এটি মূলত এইচপির সিরিজ। তবে সফরের শুরুতে চার দিনের ম্যাচ থাকায় সেখানে ‘এ’ দলকে খেলানোর কথা ভাবছে বিসিবি।
আগামী জুলাইয়ের মাঝামাঝিতে দুটি চার দিনের ম্যাচ, তিনটি এক দিনের ম্যাচ ও একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট খেলতে অস্ট্রেলিয়া যাবে এইচপি ইউনিট। পরে অগাস্টে পাকিস্তান সফরে দুটি চার দিনের ম্যাচ ও তিনটি এক দিনের ম্যাচ খেলতে যাবে ‘এ’ দল, জানালেন রাজ্জাক।
“পাকিস্তানে ‘এ’ দলের পূর্ণাঙ্গ সফর আছে, চার দিনের ও এক দিনের ম্যাচ আছে। অগাস্টে হবে। অস্ট্রেলিয়াতে একটা আছে। এটা এইচপি ও টাইগার্স মিলিয়ে একটা দল করা হবে, যেহেতু এইচপিতে এখন বয়সের বাধ্যকতা নেই। তাই আমরা অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনে চার দিনের ম্যাচগুলোতে আমাদের ‘এ’ দলের ক্রিকেটারদের সুযোগ দেব।”
“সেখানে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আছে, ওয়ানডেও আছে। আমরা সেখানে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ক্রিকেটার পাঠাতে চাই। আর পরে বাংলাদেশে পুরোপুরি ‘এ’ দলের সিরিজ আছে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। সেখানেও ওয়ানডে থাকবে, চারদিনের খেলা থাকবে।”
অস্ট্রেলিয়া সফরের শুরুতেই হবে চার দিনের ম্যাচ দুটি। পরে হবে ওয়ানডে সিরিজ। এই দুই সিরিজের প্রতিপক্ষ এখনও ঠিক হয়নি। অস্ট্রেলিয়ার কোনো রাজ্য দলের সঙ্গে হতে পারে ম্যাচগুলো। এছাড়া একই সময়ে অস্ট্রেলিয়া সফরে থাকবে পাকিস্তান ‘এ’ দল। তাদের বিপক্ষে চার দিনের ও এক দিনের সিরিজ দুটি খেলার আলোচনাও চলছে।
অস্ট্রেলিয়ায় পূর্ণাঙ্গ সফরের শুরুতে চার দিনের ম্যাচগুলো খেলে চলে আসবেন ’এ’ দলের ক্রিকেটাররা। বাকি ম্যাচগুলোতে দেখা যাবে এইচপির ক্রিকেটারদের। পরে অগাস্টের মাঝামাঝিতে ‘এ’ দলের ক্রিকেটাররা যাবেন পাকিস্তানে। আর সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে দুটি চার দিনের ও তিনটি এক দিনের ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশে আসবে নিউ জিল্যান্ডের ’এ’ দল।
এর বাইরেও ইমার্জিং এশিয়া কাপের কথাও বললেন নির্বাচক রাজ্জাক। সামনের ব্যস্ত সূচিতে দল বাছাই নিয়ে অবশ্য তেমন চিন্তা করতে হবে না তাদের। এইচপি ও বাংলাদেশ টাইগার্সের ক্যাম্প চলমান থাকায় তাদের মধ্য থেকেই ‘এ’ দল সাজানোর কথা জানালেন সাবেক বাঁহাতি স্পিনার।
“আমাদের এইচপি ও টাইগার্সের অনুশীলন শুরু হয়ে গিয়েছে। তাই আমাদের ‘এ’ দলের জন্য আলাদাভাবে অনুশীলন আয়োজন করতে হচ্ছে না। আমরা অনেক বড় সংখ্যক ক্রিকেটার থেকে ‘এ’ দলটা সাজাতে পারব। জাতীয় দলের যেমন খেলা রয়েছে, ‘এ’ দলেরও খেলা থাকবে। ঘরোয়া মৌসুমের পর আরেকটি ঘরোয়া মৌসুম শুরু হলেও আমাদের এই তিনটা দল খুব ব্যস্ত থাকবে।”