Published : 03 Mar 2025, 07:06 PM
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি বাংলাদেশ দল। তবে প্রধান কোচ ফিল সিমন্স ও সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের কাজে সন্তুষ্ট বিসিবি। দুজনকেই তাই ধরে রাখতে চায় বিসিবি এবং দায়িত্ব দিতে চায় ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত। অপেক্ষা এখন তাদের সম্মতি ও আলোচনা চূড়ান্ত করার। স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদের দায়িত্বে থাকা নিশ্চিত হয়েই গেছে।
এই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দিয়েই সিমন্স ও সালাউদ্দিনের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে বিসিবির। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে প্রথম দুই ম্যাচ হেরেই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয় বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচটি ভেসে যায় বৃষ্টিতে।
আপাতত বাংলাদেশ দলের কোনো খেলা নেই। পরের সিরিজ আগামী মাসের মাঝামাঝি দেশের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ।
মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে সোমবার বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিসিবি পরিচালক ও ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান নাজমুল আবেদীন জানালেন, দ্রুতই সিমন্স ও সালাউদ্দিনের সঙ্গে আলোচনা সেরে নিতে চান তারা।
“আমাদের প্রধান কোচ ও সিনিয়র সহকারী কোচের চুক্তি মার্চের মাঝামাঝি পর্যন্ত আছে। তাদের কাজে আমরা সন্তুষ্ট। তাদের সঙ্গে আমরা আবার যোগাযোগ করব। তাদের সঙ্গে যদি আমাদের বনিবনা না হয়, তাহলে হয়তো বাইরে থেকে চিন্তা করতে হবে। তবে আমরা আশা করছি, যারা আমাদের সঙ্গে ছিলেন, তাদের সঙ্গে সন্তোষজনক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আমরা একটা সমাধানে পৌঁছতে পারব।”
সিমন্স-সালাউদ্দিন রাজি হলে তাদের সম্ভাব্য মেয়াদ সম্পর্কেও ধারণা দিয়েছেন ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান। তার দাবি, পরবর্তী ওয়ানডে বিশ্বকাপের পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছেন তারা।
"আমরা চেষ্টা করব, তাদেরকে লম্বা সময়ের জন্য রাখতে। সেটা হতে পারে ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত। দীর্ঘমেয়াদি একটা কিছু আমাদেরকে করতেই হবে। শুধু সেটিই নয়, আমরা ক্রমাগত পর্যবেক্ষণ করব, অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করব, সময় থেকে সময়ে আমরা কদূর এগোচ্ছি খেয়াল করব। আমাদের কাজ আমরা অলরেডি শুরু করে দিয়েছি। কোচ নিয়ে হোক, ক্রিকেটার কারা থাকবেন, সেই সময়ে কাদের সঙ্গে কোথায় গিয়ে খেলব, সামগ্রিক পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছি।"
"প্রধান কোচ যখন চূড়ান্ত হয়ে যাবেন, উনি আসবেন। আমরা একটা ওয়ার্কশপ করতে চাই করতে চাই সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে। সেখানে জেলা কোচ থেকে শুরু করে জাতীয় দলের কোচ পর্যন্ত, পথচলা আমরা ঠিক করতে চাই, আগামী দু বছরে আমাদের ভূমিকা কী হবে। এই লক্ষ্য শুধু ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের নয়, জাতীয় দলের কোচদের নয়, এটা আমাদের সবার। সবারই এখানে যেন ভূমিকা রাখার সুযোগ থাকে।"
আগামী চার-পাঁচ দিনের মধ্যে সিমন্স ও সালাউদ্দিনের সঙ্গে আলোচনা হয়ে যাবে বলে আশা নাজমুলের।
স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদকেও রেখে দিচ্ছে বিসিবি। তার সঙ্গে আলোচনা চূড়ান্ত হয়ে গেছে।
এছাড়া জাতীয় দল ও আশেপাশের দলগুলির জন্য উঁচু মানের দুজন ফিল্ডিং কোচ আনা হবে বলেও নিশ্চিত করলেন নাজমুল আবেদীন।
“ফিল্ডিংয়ের ব্যাপারটিতে আমরা জোর দিতে চাই। দেশীয় ফিল্ডিং কোচ আমাদের নেই, তা নয়। তবে আমাদের মনে হয়েছে, খুব উঁচু মানের ফিল্ডিং কোচ দরকার, যারা আমাদের শুধু জাতীয় দল নয়, নিচেও কাজ করবে। এইচপি দল, ডেভেলপমেন্টে কাজ করতে চাইবে। এজন্য দুজন ফিল্ডিং কোচের কথা এসেছে এবং আমরা দুজনেরই খোঁজ করব।”
এছাড়া গেম ডেভেলপমেন্টের স্পিন বোলিং কোচ সাবেক পাকিস্তানি লেগ স্পিনার শাহেদ মেহমুদের দায়িত্বের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে ছয় মাস।
অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত দেখে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বেশ কিছুদিন আগে জানিয়েছিলেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। তবে এ দিনের বোর্ড সভায় অধিনায়কত্বের ব্যাপারটি নিয়ে আলোচনা হয়নি বলে জানালেন নাজমুল আবেদীন।