Published : 28 May 2025, 08:13 AM
এমনিতে কোনো সিরিজ বা টুর্নামেন্টে ক্রিকেটারদের কাছেই ভালো পারফরম্যান্সের আশা থাকে। তবে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের আগে পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলি আগা আশা করছেন, আম্পায়ারদের পারফরম্যান্সও যেন ভালো থাকে। তিন ম্যাচের এই সিরিজে যে থাকছে না ডিআরএস (ডিসিশান রিভিউ সিস্টেম)!
আইসিসির দুটি পূর্ণ সদস্য দেশের লড়াইয়ে ডিআরএস না থাকা এখন অনেকটাই অভাবনীয়। তবে পাকিস্তান-বাংলাদেশ সিরিজে দেখা যাবে সেই বিরল ঘটনা।
মূলত ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের জের ধরেই এই সিরিজ থেকে হারিয়ে হেছে ডিআরএস। যুদ্ধের কারণে স্থগিত করা হয়েছিল পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল)। বিদেশি ক্রিকেটার, কোচিং স্টাফ থেকে শুরু করে টিভি সম্প্রচার কর্মী ও বিদেশি কর্মী সবাই পাকিস্তান ছেড়ে চলে যান নিজ নিজ দেশে। যুদ্ধ শেষে পিএসএল আবার শুরু হলেও ডিআরএস প্রযুক্তির টেকনিক্যাল স্টাফরা আর পাকিস্তানে ফেরেননি।
পিএসএলের শেষ ভাগে তাই ডিআরএস ছিল না। ফাইনালে কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের অধিনায়ক সাউদ শাকিল আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তে আউট হয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে মাঠ ছাড়েন। কিন্তু কোনো উপায় ছিল না।
পিএসএলের মতো ওই একই কারণে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজেও ডিআরএস রাখার কোনো উপায় পায়নি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। বাংলাদেশের বোর্ডকে এটি তারা আগে জানিয়ে দেয়।
এই অসহায়ত্ব মেনে নিয়ে সিরিজ শুরুর আগে পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান বললেন, মাঠের আম্পায়ারদের কাছ থেকেই ভালো কিছুর আশা তাদের।
“ডিআরএস অবশ্যই উপযোগী ব্যাপার তো বটেই। অনেক সহায়তা মেলে এটা থেকে। আম্পায়াররাও মানুষ, ভুল হয়েই থাকে। খালি চোখে অনেক কিছুই দেখা বেশ মুশকিল হয়ে ওঠে। ওখানে ভুল হতেই পারে।”
“ডিআরএস না থাকায় কিছুটা কঠিন তো অবশ্যই হবে। তবে ডিআরএস যখন ছিল না, তখনও ক্রিকেট হতো, লোকে খেলত। আম্পায়ারদের ওপরই আস্থা রাখতে হবে আমাদের এবং আশা করি, ভালো আম্পায়ারিং দেখবেন আপনারা।”
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের জের ধরে স্থগিত হয়ে গিয়েছিল আইপিএলও। তবে সেখানে আসর শুরুর পর ডিআরএসের টেকনিক্যাল স্টাফরা ফিরেছেন। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগকে তাই সমস্যায় পড়তে হয়নি।