Published : 26 Apr 2024, 08:06 PM
ভারতের একমাত্র টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ে বড় অবদান রাখা ইউভরাজ সিংকে আসছে বৈশ্বিক আসরের দূত করা হয়েছে। এই সম্মান পেয়ে দারুণ রোমাঞ্চিত ও উচ্ছ্বসিত সাবেক এই অলরাউন্ডার।
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ইউভরাজকে দূত করার কথা শুক্রবার জানায় ক্রিকেটের নিয়ন্তা সংস্থা আইসিসি। তার সঙ্গে দূত হিসেবে আছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ তারকা ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইল ও কিংবদন্তি জ্যামাইকান স্প্রিন্টার উসাইন বোল্ট।
২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী আসরে শিরোপা ঘরে তোলে ভারত। আসরে ৬ ম্যাচে দুই ফিফটিতে ১৪৮ রান করে দলের সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন ইউভরাজ। গ্রুপ পর্বে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৬ বলে ৫৮ রান করার পথে স্টুয়ার্ট ব্রডকে ৬ বলে ৬ ছক্কা হাঁকান বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। ১২ বলে করেন ফিফটি। দ্রুততম ফিফটির রেকর্ডটি অবশ্য পরে ভেঙে দেন দিপেন্দ্র সিং।
এরপর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেমি-ফাইনালে খেলেন ৩০ বলে ৭০ রানের ইনিংস। দুই ম্যাচেই সেরার পুরস্কার জেতেন তিনি। পাকিস্তানের বিপক্ষে ফাইনালে অবশ্য জ্বলে উঠতে পারেননি ইউভরাজ, করেন ১৪ রান।
বিশ্বকাপের দূত হয়ে ইউভরাজ বললেন, তার ক্রিকেট ক্যারিয়ারের অনেক সুখস্মৃতি আছে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে।
“টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার সময়ে আমার জীবনে প্রিয় কিছু ক্রিকেটীয় স্মৃতি যোগ হয়েছে, যার মধ্যে আছে এক ওভারে ছয়টি ছক্কা মারা। তাই এবারের আসরের অংশ হতে পারা খুবই রোমাঞ্চকর, যা সবচেয়ে বড় আসর হতে যাচ্ছে।”
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে হবে এবারের বৈশ্বিক আসর। আগামী ১ জুন শুরু হবে টুর্নামেন্টটি। এবারই প্রথম ২০ দল নিয়ে হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এই প্রতিযোগিতার অংশ হতে পেতে ভীষণ খুশি ইউভরাজ।
“ক্রিকেট খেলার জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ দারুণ এক জায়গা। সেখানে ভক্তরা খেলা দেখতে এসে এমন আবহ তৈরি করে, যা বিশ্বের অন্য সব জায়গা থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। যুক্তরাষ্ট্রেও ক্রিকেটের প্রসার ঘটছে এবং আমি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মাধ্যমে সেই প্রসারের অংশ হতে পেরে উচ্ছ্বসিত।”
এখন কেবল আইসিসি ও এসিসির টুর্নামেন্টগুলোতেই দেখা যায় ভারত-পাকিস্তানের দ্বৈরথ। এবারের বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে মুখোমুখি হবে দুই দল। আগামী ৯ জুন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের লড়াই দেখতে মুখিয়ে আছেন ইউভরাজও।
“নিউ ইয়র্কে অনুষ্ঠেয় পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারতের লড়াইটি এই বছর বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যাচগুলোর একটি হতে চলেছে। তাই বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের একটি নতুন স্টেডিয়ামে খেলতে দেখা এবং এর অংশ হতে পারা সৌভাগ্যের।”