বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি
Published : 05 Jan 2025, 08:02 PM
লাল বলের ক্রিকেটে রোহিত শার্মা ও ভিরাট কোহলির পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল দেশের মাঠে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ থেকেই। সেসব পরে আরও উচ্চকিত হয়েছে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ হারের পর এই দুজনের ভবিষ্যৎ নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। ভারতের প্রধান কোচ গৌতাম গাম্ভির বললেন, ক্যারিয়ার নিয়ে সিদ্ধান্তের ভার খেলোয়াড়দের ওপরই ছেড়ে দিতে চান তারা। ভারতীয় ক্রিকেটের সর্বোত্তম স্বার্থের কথা বিবেচনা করেই এই দুজন নিজেদের পরিকল্পনা ঠিক করবেন বলে মনে করেন তিনি।
সিডনি টেস্টে রোববার ৬ উইকেটে হারে ভারত। প্রথম ম্যাচে হারের পরও পাঁচ ম্যাচের সিরিজ অস্ট্রেলিয়া জিতে নেয় ৩-১ ব্যবধানে।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে দুই সিনিয়র ক্রিকেটারের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্নে গাম্ভির বলেন, খেলার প্রতি আবেগ ও ক্ষুধা এখনও তাদের আছে।
“আমি কোনো খেলোয়াড়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলতে পারি না। এটা তাদের ওপরও নির্ভর করে। তবে হ্যাঁ, আমি যা বলতে পারি তা হলো, তাদের এখনও ক্ষুধা আছে। তাদের এখনও আবেগ আছে। মানুষ হিসেবে তারা বেশ শক্ত। আশা করি, তারা ভারতীয় ক্রিকেটকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে। শেষ পর্যন্ত, আমরা সবাই জানি, তারা যে পরিকল্পনাই করুক না কেন, তারা ভারতীয় ক্রিকেটের সর্বোত্তম স্বার্থে পরিকল্পনা করবে।”
সবশেষ ৮ টেস্টে রোহিতের ব্যাটিং গড় কেবল ১০.৯৩। দেশের মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে চার ইনিংস মিলিয়ে তার রান ছিল ৪২, নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ছয় ইনিংস মিলিয়ে ৯১। সবশেষ ১৫ ইনিংসে তার ফিফটি একটি।
বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির প্রথম টেস্টে তিনি খেলতে পারেননি পারিবারিক কারণে। পরের তিন টেস্টে করেন মাত্র ৩১ রান। বাজে ফর্মের কারণেই সিডনিতে শেষ টেস্ট থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন ভারত অধিনায়ক। এতে তার টেস্ট ক্যারিয়ারেরও শেষ দেখছিলেন অনেকে। তবে ম্যাচের দ্বিতীয় দিন রোহিত স্পষ্ট করে দেন, টেস্ট ক্রিকেট থেকে এখনই অবসর নিচ্ছেন না তিনি।
অস্ট্রেলিয়া সিরিজ ভালো কাটেনি কোহলিরও। পার্থে প্রথম টেস্টে অপরাজিত সেঞ্চুরি করে এই সংস্করণে ১৬ মাসের সেঞ্চুরি-খরা কাটান তিনি। তবে বাকি আট ইনিংসে একবারও ছুঁতে পারেননি পঞ্চাশ। এই আট ইনিংসেই তিনি আউট হন অফ স্টাম্পের বাইরের বলে কিপার কিংবা স্লিপ ফিল্ডারকে ক্যাচ দিয়ে। তার মোট রান সিরিজে ১৯০। ব্যাটিং গড় ২৩.৭৫। অস্ট্রেলিয়ায় পাঁচ সফরে তার সবচেয়ে বাজে সিরিজ এটিই।
২০২৫ সালের জুনের আগ পর্যন্ত আর টেস্ট ম্যাচ নেই ভারতের। তখন ইংল্যান্ড সফরে পাঁচটি টেস্ট খেলবে তারা। রোহিতের বয়স হবে তখন ৩৮। কোহলি ৩৬ বছরে পা দিয়েছেন গত নভেম্বরে।
লাল বলের ক্রিকেটে দলের জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা সম্পর্কে ভাবনা এবং তরুণদের জন্য বিনিয়োগ করার সময় এসেছে কি-না, জানতে চাইলে গাম্ভির সবকিছু ছেড়ে দেন সময়ের হাতে।
“দেখুন, এ সম্পর্কে কথা বলা খুব তাড়াতাড়ি হয়ে যায়। সিরিজটি সবেমাত্র শেষ হয়েছে। আমি মনে করি, আমরা কোথায় যেতে চাই তার পরিকল্পনা করার জন্য আমাদের কাছে পাঁচ মাস সময় আছে। তবে এ নিয়ে কথা বলার এখন সঠিক সময় নয়।”
“খেলাধুলায় অনেক কিছু পরিবর্তন হয়। ফর্ম পরিবর্তন হয়। মানুষ বদলায়। দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন হয়। খেলাধুলায় সবকিছু বদলে যায়। আমরা সবাই জানি যে, পাঁচ মাস দীর্ঘ সময়। তাই (ইংল্যান্ড) সিরিজের আগে দেখা যাক কী হতে যাচ্ছে। তবে যাই হবে, তা ভারতীয় ক্রিকেটের স্বার্থে হবে।”