Published : 02 Sep 2020, 08:48 PM
দেশের ক্রিকেটে মেহেদি রানার পদচারণা কয়েক বছরের হলেও পাদপ্রদীপের আলোয় আসেন গত বিপিএলে। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে ম্যাচ জেতানো পারফরম্যান্স দেখান কয়েক ম্যাচে। সব মিলিয়ে টুর্নামেন্টে ১০ ম্যাচে নিয়েছিলেন ১৮ উইকেট। পরে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে তাকে দলে নেয় আবাহনী লিমিটেডের মতো বড় দল। লিগের প্রথম ম্যাচে নেন ৪ উইকেট। এরপরই বন্ধ হয়ে যায় খেলা।
করোনাভাইরাসের বিরতি শেষে প্রথম দিকে যারা শুরু করেছিলেন অনুশীলন, মেহেদি রানা তাদেরই একজন। ২৩ বছর বয়সী পেসারকে নিয়মিতই দেখা যাচ্ছে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ঘাম ঝরাতে।
বিপিএল, ঢাকা লিগে পারফরম্যান্স, তার বোলিংয়ের ধরন ও শক্তির জায়গা, সবকিছু মিলিয়ে সীমিত ওভারের ক্রিকেটের জন্যই তাকে মনে করা হয় বেশি উপযোগী। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে তিনি সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছেন বড় দৈর্ঘ্যের ক্রিকেটেই। রেকর্ড অবশ্য খুব ভালো নয়, ২৭টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে উইকেট ৬৪টি।
এজন্য লাল বলের ক্রিকেট নিয়ে কাজ করে চলেছেন তিনি। জাতীয় দলে এখনও ডাক পাননি। অপেক্ষায় আছেন সুযোগের। মিরপুরে অনুশীলন শেষে এই পেসার বললেন, সামনের শ্রীলঙ্কা সফরেও যদি সুযোগ না হয়, ভবিষ্যতে নিজের দাবি জানাতে চান ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম করে।
“বিপিএলের পরে অনেক বড় একটা বিরতি ছিল। ব্রেকের পরে আবার কামব্যাক করে ফিটনেস ফিরে পেতে ও বোলিং নিয়ে কাজ করছি। সাদা বলেও করছি, লাল বলেও করছি। যেখানে যেভাবে করার প্রয়োজন, সেভাবে করছি। লাল বলে যা যা করা দরকার, ওভাবে করছি। সাদা বলে বৈচিত্র্য, সুইং নিয়ে কাজ করছি। সবকিছু ভালো হচ্ছে।”
“আসলে আমি কাজ করে চলেছি, সাদা বল বা লাল বল ফ্যাক্ট নয়। যেখানেই সুযোগ পাই, সাদা বল বা লাল, দুই জায়গাতেই একইভাবে কাজ করে যেতে চাই। যদি এখানে সুযোগ না হয়, সামনে যে কোনো খেলা, প্রথম শ্রেণি বা অন্য যা কিছু বিসিবি আয়োজন করে, সেজন্য নিজেকে প্রস্তুত রাখছি।”