Published : 10 Aug 2021, 12:28 PM
হতাশার সিরিজের শেষটা অস্ট্রেলিয়ার জন্য হয়েছে বিব্রতকরভাবে। টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের সর্বনিম্ন রানে গুটিয়ে গেছে তারা, বাংলাদেশের বিপক্ষে সব দল মিলিয়েই যার সবচেয়ে কম দলীয় স্কোর।
এই সফরে অবশ্য অস্ট্রেলিয়া পায়নি তাদের মূল দলের বেশ কজনকে। বিশেষ করে ব্যাটিং লাইন আপ ছিল অনভিজ্ঞ। তবে ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ হার ও শেষ ম্যাচের এমন অভিজ্ঞতার পর ওসবকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করালেন না ওয়েড।
“যেভাবে আমরা হেরেছি, ইতিবাচক খুব বেশি কিছু নেওয়ার নেই এই সিরিজ থেকে। বিশেষ করে আজকে যা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট দলের জন্য তা মোটেও ভালো কিছু নয়, তা যারাই খেলুক এই দলে।”
উইকেট-কন্ডিশনের প্রসঙ্গ সিরিজ জুড়েই আলোচনায় এসেছে প্রবলভাবে। সিরিজ শেষেও ওয়েড সেই চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরলেন। তবে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করালেন না এটিকেও। বরং বাংলাদেশকে কৃতিত্ব দিয়ে বললেন নিজেদের শেখার কথা।
“আমি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনেক ক্রিকেট খেলেছি। এটা নিশ্চিতভাবেই আমার খেলা সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং টি-টোয়েন্টি উইকেট। বাংলাদেশ যদিও এর মধ্যেই বাড়তি কিছু রান করার পথ বের করে নিয়েছে। আমাদের মনে হয়েছে, এখানে আমরা আরও ভালো করতে পারি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা তা পারিনি।”
“যেটা বললাম, আমাদের জন্য শেখার বড় সুযোগ ছিল। এই সিরিজ থেকে তা নিতে পারি। এই অভিজ্ঞতা থেকে ব্যাটাররা যদি শিখতে পারে যে চ্যালেঞ্জিং কন্ডিশনে আরও কিছু বাড়তি রান কিভাবে করা যায়, তাহলে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটেরই ভালো হবে।”
এমন হারকে অবশ্য ‘জেগে ওঠার ডাক’ বলতে নারাজ ওয়েড। স্রেফ নিজেদের কাজটুকু করতে না পারার ব্যর্থতা পোড়াচ্ছে তাকে।
“আমার মনে হয় না, এটা ‘ওয়েক আপ কল।’ এই বাস্তবতা আমরা জানি যে স্পিন খেলায় আমাদের আরও ভালো হয়ে উঠতে হবে, আমার নিজেরও। দলে অনেক ক্রিকেটার আছে, যাদের এই কন্ডিশনে রান করার পথ খুঁজে বের করতে হবে। অনেক বড় কিছু চাচ্ছি না। ইনিংসে ১৫-২০ রান বেশি হলেই চলবে। সঙ্গে বোলিংয়ে আর ৫ রান কম দিলেই এই কন্ডিশনে বেশির ভাগ ম্যাচ আমরা জিতব।”
এবারের সফরে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইন আপে তরুণ ও অনভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ছিলেন বেশ কজন। তাদেরকে দায় না দিয়ে ওয়েড কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন নিজেকেসহ অভিজ্ঞদের।
“তরুণ ক্রিকেটারদের আমি একটুও দায় দিচ্ছি না। আমি, মোইজেস হেনরিকসে, ড্যান ক্রিস্টিয়ান, আমরা অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। আমাদের উচিত ছিল এই সিরিজে ভালো করা। এটা আমি মোটেও আড়াল করছি না। আমার অবশ্যই ভালো করা উচিত ছিল।”