Published : 02 Jun 2025, 09:26 AM
আগের দুই ম্যাচে প্রচুর রান বিলিয়ে তবু একটি করে উইকেট জুটেছিল। শেষ ম্যাচে সেটিও হলো না। বিবর্ণ সিরিজের শেষটা চরম হতাশাময় হলো রিশাদ হোসেনের জন্য। এই সিরিজে তার কাছ থেকে প্রত্যাশা পূরণ হয়নি, অকপটেই বললেন কোচ ফিল সিমন্সও। তবে তিনি মনে করিয়ে দিলেন, লেগ স্পিনারদের একটি সিরিজ খারাপ যেতেই পারে।
মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদকে ছাড়া বোলিং আক্রমণে সবচেয়ে বড় ভরসার জায়গা ছিলেন রিশাদ। এক বছর ধরেই তিনি বেশ ভালো বোলিং করছেন। এছাড়া সম্প্রতি পাকিস্তান সুপার লিগে খেলেছেন তিনি লাহোর কালান্দার্সের হয়ে। এই গাদ্দাফি স্টেডিয়াম ছিল তার দলের ঘরের মাঠ। কন্ডিশন, উইকেট সম্পর্কে টাটকা ধারণা তার থাকার কথা।
কিন্তু হয়েছে উল্টো। প্রথম ম্যাচে চার ওভারে ৫৫ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন রিশাদ। চার ওভারে সেদিন রান দেন ৫৫, স্পর্শ করেন টি-টোয়েন্টিতে নিজের সবচেয়ে খরুচে বোলিংকে। পরের ম্যাচে চার ওভারে ৫০ রান দিয় প্রাপ্তি একটি উইকেট। শেষ ম্যাচে তিন ওভারে ৩৯ রান দেওয়ার পর বাকি ওভারটি আর বোলিং পাননি।
তিন ম্যাচে ১১ ওভার বোলিং করে রান দিয়েছেন ১৪৪। ওভারপ্রতি রান ১৩.০৯।
নিষ্প্রাণ উইকেটে বিন্দুমাত্র প্রভাব রাখতে পারেননি তিনি। তাকে অনায়াসেই তুলাধুনা করেছেন পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানরা।
সিরিজের ময়নাতদন্তে রিশাদের নম্বরপত্র সন্তোষজনক নয় সিমন্সের কাছে। সিরিজ শেষে সংবাদ সম্মেলনে কোচ বললেন, পরের সিরিজেই এই লেগ স্পিনারকে আপন রূপে দেখার আশা তাদের।
“আমরা সবাই জানি, রিশাদের সেরা সিরিজ ছিল না এটি। সে নিজেও তা জানে। আমরাও জানি। তার কাছ থেকে আমাদের প্রত্যাশা আরও অনেক বেশি।”
“তবে বোলারদের একটি সিরিজ খারাপ যেতেই পারে, বিশেষ করে স্পিনারদের, রিস্ট স্পিনারদের। তার সিরিজটাও ভালো কাটেনি। আমরা ব্যাপারটির খেয়াল রাখব। দেশে ফিরে সে কাজ চালিয়ে যাবে এবং শ্রীলঙ্কার জন্য প্রস্তুতি নেবে।”
দিন দশেক পরেই পূর্ণাঙ্গ সফরে শ্রীলঙ্কায় যাবে বাংলাদেশ দল। যেখানে দুটি টেস্টের পাশাপাশি আছে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি।