ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ
Published : 03 May 2024, 08:24 PM
প্রবল দাবদাহের পর বৃহস্পতিবার রাতে স্বস্তির বৃষ্টিতে স্নাত হয় রাজধানী ঢাকা। পরদিন ঢাকার উপকণ্ঠে তিন ক্রিকেট মাঠে বয়ে যায় আরেক ধরনের বৃষ্টি। যেটির নাম ছক্কাবৃষ্টি। তিন ম্যাচ মিলিয়ে এক দিনেই ছক্কা দেখা যায় ৮৪টি!
বলার অপেক্ষা রাখে না, দিনটি ছিল ব্যাটসম্যানদের দাপটের। দীর্ঘ পাঁচ বছরের অপেক্ষার অবসন ঘটিয়ে সেঞ্চুরির দেখা পান সাকিব আল হাসান ও মোসাদ্দেক হোসেন। ক্যারিয়ারে প্রথমবার দেড়শ রানের স্কোর গড়েন জাকির হাসান। এই বছরই অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেওয়া মাহফুজুর রহমান রাব্বি মেলে ধরেন তার তার সামর্থ্যের ঝলক। অসাধারণ ব্যাটিংয়ে ১২ ছক্কায় তিনি উপহার দেন ম্যাচ জেতানো সেঞ্চুরি। আরেক প্রতিভাবান ব্যাটসম্যান অমিত হাসানের ব্যাট থেকে আসে লড়িয়ে শতরান।
আবাহনী-মোহামেডান
আগের রাউন্ডেই শিরোপা নিশ্চিত করে ফেলা আবাহনী লিমিটেড টানা পঞ্চদশ জয়ের দেখা পায় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডান স্পোর্টি ক্লাবের বিপক্ষে। ফতুল্লায় দলকে জয়ের ভিত গড়ে দেয় অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেনের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের জন্য জাতীয় দলে একগাদা ক্রিকেটারকে হারানোয় একঝাঁক তরুণ ক্রিকেটার নিয়ে একাদশ গড়তে হয় আবাহনীকে। মূল কাজ করে দেন অবশ্য চেনা ক্রিকেটাররাই।
ওপেনিংয়ে মোহাম্মদ নাঈম শেখ ও তিনে নেমে অভিজ্ঞ এনামুল হক যদিও ব্যর্থ হন। তবে সাব্বির হোসেন ও মোসাদ্দেকের জুটি এগিয়ে নেয় দলকে। চতুর্থ উইকেটে ১১৭ যোগ করেন দুজন ৮৬ বলে।
৭ চার ও ৬ ছক্কায় ৭৮ বলে ৯১ রান করে আউট হন ওপেনার সাব্বির। লিগের শুরুর দিকে এক ম্যাচে তিনি আউট হয়েছিলেন ৮০ বলে ৯৮ রানে।
মোসাদ্দেক ফিফটি স্পর্শ করেন ৪৮ বলে। পরে গতি বাড়িয়ে শতরানে পা রাখেন ৯২ বলে। সেঞ্চুরির পর ৮ বলে করেন তিনি ৩৩ রান!
স্বীকৃত ক্রিকেটে তার সবশেষ সেঞ্চুরি ছিল ২০১৯ সালের ঢাকা লিগেই আবাহনীর হয়ে শেখ জামালের বিপক্ষে।
মোসাদ্দেকের পর আর কেউ সেভাবে দাঁড়াতে পারেননি আবাহনীর হয়ে। তার ছোট ভাই মোসাব্বের হোসেন ‘লিস্ট এ’ ক্রিকেটে নিজের প্রথম ইনিংসে ২ ছক্কায় করেন ১৩ বলে ১৯ রান।
১৬ রানের মধ্যে শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে ৪৪.৪ ওভারেই শেষ হয় আবাহনীর ইনিংস। রান যদিও ততক্ষণে হয়ে গেছে ৩০৩।
চলতি লিগে তিনশ ছাড়ানো স্কোর ১১টি, এর মধ্যেই আবাহনীই করল পাঁচবার।
তিন উইকেট নিয়ে এবারের লিগের প্রথম বোলার হিসেবে ৩০ উইকেট স্পর্শ করেন বাঁহাতি পেসার আবু হায়দার (৩১ উইকেট)।
রান তাড়ায় মোহামেডানের ওপেনার রনি তালুকদার ফেরেন শূন্য রানে। অধিনায়ক ইমরুল কায়েস ফিফটি করলেও ইনিংস আর বড় করতে পারেননি (৫৯)। ৩৬ রান করতে ৬০ বল খেলেন মাহিদুল ইসলাম। মেহেদী হাসান মিরাজ (২৭) ও আরিফুল হক (২০) ফেরেন থিতু হওয়ার পর।
৪০ ওভার শেষে ৬ উইকেটে ১৯৮ রান তুলে ম্যাচ থেকে একরকম ছিটকে পড়ে মোহামেডান।
তবে রুবেল মিয়া ও আবু হায়দার রনি চেষ্টা করে যান শেষ পর্যন্ত। শেষ দিকে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে কিছুটা আশাও জাগিয়ে তোলেন তারা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পেরে ওঠেননি। ৬২ বলে ৬৫ রানে অপরাজিত থাকেন রুবেল, ২৭ বলে ৪০ রানে আবু হায়দার।
ম্যাচে ছক্কা হয় মোট ২৭টি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আবাহনী লিমিটেড: ৪৪.৪ ওভারে ৩০৩ (নাঈম শেখ ৬, সাব্বির ৯১, এনামুল ১৬, মাঝহারুল ৬, মোসাদ্দেক ১৩৩, নাহিদুল ১৬, মোসাব্বের ১৯, জারিফ ১, আল ফাহাদ ২*, রাকিবুল ৫, জায়েদ উল্লাহ ১; আবু হায়দার ৮.৪-০-৪০-৩, নাঈম ৬-১-৩০-১, নাসমি ১০-০-৭৪-১, কামরুল রাব্বি ৬-০-৫৬-০, মিরাজ ৮-০-৫২-৩, আরিফুল ২-০-১৯-০, রুবেল মিয়া ৪-০-৩১-১)
মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব: ৫০ ওভারে ২৯৪ (হাবিবুর ৫, রনি ০, ইমরুল ৫৯, মাহিদুল ৩৬, মিরাজ ২৭, আরিফুল ২০, রুবেল মিয়া ৬৫*, আবু হায়দার ৪০*; আল ফাহাদ ৬-০-৫১-১, জায়েদ উল্লাহ ১০-১-৩৭-১, নাহিদুল ১০-১-৪৪-৩, রাকিবুল ১০-০-৭২-১, মোসাদ্দেক ১০-০-৫৮-০, মোসাব্বের ১.৩-০-৪-০, জারিফ ১.৪-০-৯-০, সাব্বির ১-০-১১-০)।
ফল: আবাহনী লিমিটেড ৯ রানে জয়ী।
ম্যান অব দা ম্যাচ: মোসাদ্দেক হোসেন।
বিধ্বংসী সাকিবকে ছাপিয়ে অসাধারণ মাহফুজুর
সাকিব আল হাসানকে আদর্শ মেনে নিজেকে গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন মাহফুজুর রহমান রাব্বি। প্রিয় নায়কের সামনেই স্বীকৃত ক্রিকেটের নিজের সেরা দিনটি কাটালেন ১৮ বছর বয়সী বাঁহাতি স্পিনিং অলরাউন্ডার।
সেঞ্চুরি খরা কাটানোর দিনে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের হয়ে ৭৯ বলে ১০৭ রানের ইনিংস খেলেন সাকিব। বল হাতে ৩ উইকেট নেওয়ার পর মাহফুজুর ব্যাট হাতে খেলেন ১২ ছক্কায় ১১৮ বলে ১২৫ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। পরাজয়ের দুয়ার থেকে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে ২ উইকেটে স্মরণীয় জয় এনে দেন তিনি।
‘লিস্ট এ’ ক্রিকেটে আগের ১৩ ম্যাচে মাহফুজুরের সর্বোচ্চ ইনিংসটি ছিল কেবল ২৮ রানের।
বিকেএসপি চার নম্বর মাঠে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা শেখ জামাল ৬৩ রানে হারায় ৩ উইকেট। সাকিব ক্রিজে গিয়ে পাল্টা আক্রমণে ফিফটি করে ৪৩ বলে।
ফিফটির পর আরও আগ্রাসী হয়ে ওঠেন তিনি। পঞ্চাশ থেকে সেঞ্চুরিতে যেতে বল লাগে কেবল ৩০টি।
‘লিস্ট এ’ ক্রিকেটে তো বটেই, স্বীকৃত ক্রিকেটেও তার সবশেষ সেঞ্চুরি ছিল সেই ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে।
‘লিস্ট এ’ ক্রিকেটে তার দশম সেঞ্চুরি এটি, আগের ৯টিই বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে।
এরপর ৫ ছক্কায় ৫১ বলে ৭১ রানের ইনিংস খেলেন ইয়াসির আলি চৌধুরি। ৫০ ওভারে শেখ জামাল করে ২৮০ রান। ফজলে মাহমুদ রাব্বি অপরাজিত থাকেন ৮৭ বলে ৪৬ রান করে।
রান তাড়ায় ৫৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে গাজী গ্রুপ। পঞ্চম উইকেটে ১১২ রানের জুটি গড়ে দলকে লড়াইয়ে ফেরান সাব্বির হোসেন শিকদার ও মাহফুজুর রহমান রাব্বি।
৯১ বলে ৬৪ করে আউট হয়ে যান সাব্বির। এরপর মইন খান ৩ রানেই আউট হলে আবার উজ্জ্বল হয় শেখ জামালের জয়ের সম্ভাবনা।
কিন্তু মাহফুজুর হাল ছাড়েননি। শেখ পারভেজ জীবনকে নিয়ে ১০৬ রানের দারুণ জুটিতে দলকে জয়ের কিনারায় নিয়ে যান তিনি।
বিপর্যয়ের মধ্যে মাহফুজুরের শুরুটা ছিল মন্থর। ফিফটি করেন তিনি ৮০ বলে। এর মধ্যেই ছিল ৫ ছক্কা।
ফিফটি থেকে শতরানে যেতে লাগে তার ৩৯ বল। ছক্কা হয়ে গেছে ততক্ষণে ৯টি। সেঞ্চুরির পর ছক্কা মারেন আরও ৩টি।
‘লিস্ট এ’ ক্রিকেটে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে তার ১২ ছক্কার চেয়ে বেশি আছে কেবল সৌম্য সরকারের ১৬ ছক্কা। এ দিনই আরেক ম্যাচে ১২ ছক্কা মারেন জাকির হাসানও।
একদম শেষ প্রান্ত গিয়ে যদিও ম্যাচে খানিকটা উত্তেজনা ফেরে। দুই দলের স্কোর যখন সমান, ম্যাচের শেষ ওভারে টানা দুই বলে আউট হয়ে যান মাহফুজুর ও আব্দুল গাফফার সাকলাইন। তবে মাসুম খান টুটুল নেমে প্রথম বলেই ছক্কায় জিতিয়ে দেন গাজী গ্রুপকে।
এই ম্যাচে ছক্কা এসেছে মোট ২৯টি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব: ৫০ ওভারে ২৮০/৯ (সাইফ ১, সৈকত ২৬, ফজলে রাব্বি ৪৭, সোহান ৫, সাকিব ১০৭, ইয়াসির ৭১, জিয়াউর ২, তাইবুর ০, ইয়াসিন ০, আরিফ ০, শফিকুল ১*; হুসনা হাবিব ৯-০-৫৯-১, মাসুম ৮-০-৪৯-১, পারভেজ ১০-১-৫১-১, মাহফুজুর ৫-০-২৯-৩, সাকলাইন ১০-০-৩৭-৩, মইন ৭-১-৩৮-০, আল আমিন জুনিয়র ১-০-১৪-০)।
গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স: ৪৯.৪ ওভারে ২৮৬/৮ (মারুফ ১৮, আনিসুল ৯, হাবিবুর ২, সাব্বির ৬৪, আল আমিন জুনিয়র ১১, মাহফুজুর ১২৫, মইন ৩, পারভেজ ৩৪, সাকলাইন ০, মাসুদ ৬; আরিফ ১০-০-৪৪-৪, তাইবুর ৭.৪-০-৬২-২, সাকিব ১০-০-৪৭-০, সাইফ ১০-২-৩১-০, ইয়াসিন ৬-০-৪১-১, শফিকুল ৫-১-৪০-১, জিয়াউর ১-০-১৪-০)।
ফল: গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ২ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দা ম্যাচ: মাহফুজুর রহমান রাব্বি।
জাকিরের ১২ ছক্কার তাণ্ডব
দিনের তিন ম্যারে মধ্যে এই ম্যাচটিই কেবল সেভাবে জমেনি। জাকির হাসানের ব্যাটের দাপুটে কাবু শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব পারেনি লড়াই করতে। প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ম্যাচ জিতে নেয় ১১১ রানে।
বিকেএসপি তিন নম্বর মাঠে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা প্রাইম ব্যাংক তৃতীয় ওভারে হারায় অভিজ্ঞ তামিম ইকবালকে (২)। দ্বিতীয় উইকেটে ৮৮ রানের জুটি গড়েন শাহাদাত হোসেন ও জাকির।
৫১ বলে ৩৭ করে বিদায় নেন শাহাদাত। ফর্মে থাকা মুশফিকুর রহিম আউট হয়ে যান ৭ রানেই। চতুর্থ উইকেটে জাকির ও মোহাম্মদ মিঠুন গড়েন ১২২ রানের জুটি।
তিনটি করে চার ও ছক্কায় ৫৭ বলে ৫৪ করে আউট হন মিঠুন। হতাশার লিগে ১৩ ইনিংসে তার মাত্র দ্বিতীয় ফিফটি এটি।
জাকির ফিফটিতেই না থেমে এবারের লিগে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি আদায় করে নেন ১০৬ বলে। ছক্কা মেরেছেন তখনও পর্যন্ত ৫টি। পরের সময়টায় ছক্কায় ছক্কায় রাঙিয়ে তোলেন তিনি। শতরান থেকে দেড়শতে পৌঁছে যান কেবল ২২ বল খেলে।
শেষ পর্যন্ত ১২ ছক্কায় ১৩২ বলে ১৫৮ রানে তার ইনিংস থামে শেষের আগের ওভারে।
শেষ দিকে সাব্বির রহমান করেন তিন ছক্কায় ২৪ বলে ৪০ রান। একসময় জাতীয় দলের নিয়মিত সদস্য এই ব্যাটসম্যান এবার প্রাই ব্যাংকের একাদশেই জায়গা পাননি নিয়মিত। লিগে ৫টি ইনিংস খেলে তার সর্বোচ্চ এটিই।
শেষ দিকে ২ ছক্কায় ৫ বলে ১৫ করেন মোহাম্মদ এনামুল। ইনিংসের শেষ বলে ছক্কা মারেন হাসান মাহমুদ।
৫০ ওভারে প্রাইম ব্যাংক তোলে ৩৪১ রান। শেষ ১০ ওভার থেকে আসে ১২৬ রান।
রান তাড়ায় ৮ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে লড়াই থেকে ছিটকে পড়ে শাইনপুকুর। অমিত হাসান একপ্রান্ত আগলে লড়তে থাকেন। অভিজ্ঞ ইলিয়াস সানি ৩৯ বলে ৪১ করে কিছুটা সঙ্গ দেন তাকে। এছাড়া আর কেউ সেভাবে দাঁড়াতে পারেননি।
একা লড়ে অমিত শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ১১ চার ও ২ ছক্কায় ১০৪ রান করে। ‘লিস্ট এ’ ক্রিকেটে ৪০ ম্যাচেই ৫ সেঞ্চুরি হয়ে গেল ২২ বছর বয়সী ব্যাটসম্যানের। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেও স্রেফ ২৯ ম্যাচে ৭টি সেঞ্চুরি আছে তার।
লিগে দ্বিতীয়বার চার উইকেট নেন প্রাইম ব্যাংকের হাসান মাহমুদ।
এই ম্যাচে ছক্কা দেখেছে মোট ২৮টি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব: ৫০ ওভারে ৩৪১/৭ (তামিম ২, শাহাদাত ৩৭, জাকির ১৫৮, মুশফিক ২, মিঠুন ৫৪, সাব্বির ৪০, এনামুল ১৫, সানজামুল ৪*, হাসান ৮*; রবিউল ১০-০-৪৬-১, নাঈম ১০-০-৪২-১, এনামুল ১০-১-৬৫-১, ইলিয়াস সানি ৬-০-৫৫-০, তুষার ৬-০-৫৩-২, জিসান ৪-০-৩৮-০, আকবর ২-০-২৬-২)।
শাইনপুকুর ক্লিকেট ক্লাব: ৪৬.৩ ওভারে ২৩০ (খালিদ ৪, জিসান ১, অমিত ১০৪*, মার্শাল ২, ইরফান ২৭, আকবর ১০, ইলিয়াস সানি ৪১, রবিউল ১২, এনামুল ১, নাঈম ১৬, তুষার ০,; নাজমুল অপু ১০-২-৩০-৩, এনামুল ১০-০-৪২-১, হাসান ৬.৩-০-৩৮-৪, রেজাউর ৬-০-৩৩-০, সানজামুল ১০-০-৪৭-১, মিঠুন ৩-০-২৭-০, সাব্বির ১-০-১০-০)।
ফল: প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ১১১ রানে জয়ী।
ম্যান অব দা ম্যাচ: জাকির হাসান।