Published : 23 May 2025, 11:12 PM
কেসি কার্টির সেঞ্চুরির পর ম্যাথু ফোর্ডের রেকর্ড গড়া ফিফটিতে বড় সংগ্রহ গড়ল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যর্থতার চক্র ভাঙার সুযোগ পেল না দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। বৃষ্টির বাগড়ায় ভেসে গেল ম্যাচটি।
ডাবলিনে শুক্রবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস শেষে পরিত্যক্ত হয় ম্যাচ। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৮ উইকেটে ৩৫২ রান করেছিল শাই হোপের দল।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ব্র্যান্ডন কিংকে হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই ওপেনারই কেবল দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। ব্যাটিংয়ে নামা বাকি আট ব্যাটসম্যানের সবাই স্পর্শ করেন দুই অঙ্ক।
থিতু হয়ে ফেরেন এভিন লুইস। অধিনায়ক হোপের সঙ্গে ৮১ রানের জুটি উপহার দেন কার্টি। ৫৭ বলে ৪৯ রানে হোপের বিদায়ে ভাঙে জুটি।
এক প্রান্ত আগলে রাখা কার্টি ফেরেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি ছুঁয়ে। তিনে নেমে ১০৯ বলে এক ছক্কা ১৩ চারে তিনি করেন ১০২ রান।
পরের ব্যাটসম্যাদের সবাই ছিলেন দ্রুত রানের চেষ্টায়। ৩৬ বলে ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন জাস্টিন গ্রিভস।
তার সঙ্গে ৩৩ রানের জুটিতে রোস্টন চেইসের অবদান ২৪। এই অলরাউন্ডারের বিদায়ের পর ক্রিজে গিয়ে রীতমত তাণ্ডব চালান ফোর্ড।
মাত্র ১৬ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়ে স্পর্শ করেন ওয়ানডেতে এবি ডি ভিলিয়ার্সের দ্রুততম পঞ্চাশের রেকর্ড। ২০১৫ সালে জোহানেসবার্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৪৯ রানের ইনিংস খেলার পথে ১৬ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করেছিলেন ডি ভিলিয়ার্স।
আটে নেমে ১৯ বলে দুই চার ও আট ছক্কায় ৫৮ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন ফোর্ড। আট বা এর নিচে নেমে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড গড়েন তিনি।
ফোর্ডের বিদায়ের পর গুডাকেশ মোটিকে নিয়ে দলকে সাড়ে তিনশ রানে নিয়ে যান গ্রিভস। কিন্তু সেই রান নিয়ে লড়াই করার সুযোগই পেল না ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর বৃষ্টির কাছে হার মেনে ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন দুই আম্পায়ার।
৬৬ রানে ৩ উইকেট নিয়ে আয়ারল্যান্ডের সফলতম বোলার লিয়াম ম্যাককার্থি।
প্রথম ম্যাচে হেরে তিন ম্যাচের সিরিজে পিছিয়ে আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আগামী রোববার একই মাঠে সমতা ফেরাতে মাঠ নামবে তারা।
বৃষ্টিতে ম্যাচ ভেসে যাওয়ায় নিশ্চিত হয়ে গেল সিরিজ হারছে না আয়ারল্যান্ড। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ফল হওয়া ওয়ানডেতে টানা তিন জয়ের পর এবার তাদের সামনে সিরিজ জয়ের সুযোগ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৫০ ওভারে ৩৫২/৮ (কিং ৮, লুইস ২০, কার্টি ১০২, হোপ ৪৯, জ্যাঙ্গু ১৩, গ্রিভস ৪৪*, চেইস ২৪, ফোর্ড ৫৮, মোটি ১৮; ম্যাককার্থি ১০-০-৬৮-২, মায়েস ৭-০-৪৯-০, লিটল ১০-০-৮৯-২, ম্যাককার্থি ৯-০-৬৬-৩, ম্যাকব্রিন ৭-০-৩৯-০, ডকরেল ৭-০-৩৬-১)
ফল: ম্যাচ পরিত্যক্ত