Published : 04 Nov 2024, 09:48 PM
নতুন করে গঠিত বাংলাদেশ ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন সেলের (বিডব্লিউটিসিসি) অধীনে সিরিয়াল প্রথায় চট্টগ্রাম থেকে দেশের অভ্যন্তরীণ নৌপথে লাইটারেজ জাহাজগুলো পণ্য পরিবহন শুরু করেছে।
সোমবার দুপুরে নগরীর আগ্রাবাদে সংস্থাটির কার্যালয়ে নতুন করে গঠিত বিডব্লিউটিসিসির অধীন এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম।
দেশের অভ্যন্তরীণ নৌপথগুলোতে চলাচলকারী লাইটারেজ জাহাজ মালিকদের পৃথক তিনটি সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে বিডব্লিউটিসিসি গঠন করা হয়। পরবর্তীতে তাদের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে নৌপথে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে নতুন ভাড়া নির্ধারণ করা হয়।
এর আগে গত ১৫ অক্টোবর লাইটারেজ জাহাজের সিরিয়ালসহ বিভিন্ন বিষয়ে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের অধীনে নৌমন্ত্রণালয় নতুন নীতিমালা ঘোষণা করে। পরবর্তীতে লাইটার মালিকদের পৃথক তিনটি সংগঠন মিলে সিরিয়াল প্রথায় জাহাজ পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয় এবং পণ্য পরিবহনে নতুন ভাড়া নির্ধারণ করেন।
এর আগে লাইটার মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ কার্গো ভ্যাসেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিসিভোয়া), কোস্টাল ভ্যাসেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন (কোয়াব) এবং ইনল্যান্ড ভ্যাসেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব চিটাগাং (আইভোয়াক) মিলে গঠিত ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেলের (ডব্লিউটিসি) এর অধীনে জাহাজের সিরিয়াল প্রথা মানা হতো।
ডব্লিউটিসির দুর্নীতির অভিযোগ তুলে গত বছরের ডিসেম্বর মাসে একটি সংগঠন বের হয়ে সিরিয়াল প্রথার বাইরে পৃথকভাবে দরকষাকষির মাধ্যমে জাহাজে পরিবহন করা পণ্যের ভাড়া নির্ধারণ করত। এর প্রেক্ষিতে অভ্যন্তরীণ নৌপথে পণ্য পরিবহনে স্থবিরতা আসায় নতুন করে এ উদ্যোগ নেয়া হয়।
নতুন নীতিমালা হওয়ার পর লাইটার জাহাজ মালিকদের তিন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মিলে বিডব্লিউটিসিসি গঠন করে সিরিয়াল প্রথায় জাহাজ পরিচালনার সিদ্ধান্ত এবং নতুন ভাড়া নির্ধারণ করা হয়। প্রতি টন পণ্য পরিবহনে নতুন নির্ধারিত ভাড়া আগের চেয়ে ৩ থেকে ৭ শতাংশ পর্যন্ত সাশ্রয় হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, অভ্যন্তরীণ নৌরুটগুলোতে পণ্য পরিবহনে এতে করে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। আগে যে সংকট ছিল তা এখন আর নেই। সরকার প্রবর্তিত নতুন নীতিমালার কারণে আমদানিকারক, জাহাজ মালিকসহ সকলপক্ষের উপকার হবে।
তিনি বলেন, জাহাজ মালিকদের সবপক্ষের সাথে কথা বলে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি টন পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে আগে যে রেট ছিল তা থেকে কিছুটা কম পড়বে।
চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে অবস্থানরত মাদার ভ্যাসেল (বড় জাহাজ) থেকে বিভিন্ন পণ্য খালাস করে লাইটারেজ জাহাজে (ছোট আকারের জাহাজ) করে দেশের ৩৭ টি নৌপথ দিয়ে গন্তব্যে পৌঁছানো হয়।
বিডব্লিউটিসিসির হিসাবে, আগে প্রতি টন গম চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পথে লাইটারেজ জাহাজে পরিবহনে ভাড়া পড়ত ৬৬২ টাকা, নতুন সিরিয়াল প্রথায় ভাড়া পড়বে ৬১০ টাকা। প্রতি টন সিমেন্ট ক্লিংকার পরিবহনে আগের ৫৭৪ টাকার বদলে এখন খরচ হবে ৫৫০ টাকা।