Published : 17 Jul 2024, 08:30 PM
কোটাবিরোধী আন্দোলনে দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতায় নিহতদের স্মরণে চট্টগ্রামের গায়েবানা জানাজা শেষ হয়েছে রাজনৈতিক স্লোগানের মধ্য দিয়ে।
শুক্রবার দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রামের লালদিঘী মাঠে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের আয়োজনে এ গায়েবানা জানাজা হয়। তাতে অংশ নিতে বেলা ৪টা থেকে আন্দরকিল্লার দিক থেকে কয়েকশ লোক রিকশায় মাইক লাগিয়ে স্লোগান দিতে দিতে মিছিল নিয়ে লালদিঘী মাঠে প্রবেশ করে।
এ সময় মাঠের আশপাশে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা গেলেও তারা কোনো বাধা দেননি।
কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীদের আয়োজনে এ গায়েবানা জানাজা হলেও সেখানে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজনকে দেখা যায়। তাদের সরকারবিরোধী স্লোগান দিতেও শোনা যায়।
জানাজা শুরুর আগে দুই যুবক বক্তব্য রাখেন, তবে তারা নিজেদের নাম পরিচয় প্রকাশ করেননি। গত কয়েকদিন ধরে চলা আন্দোলনে যাদের নেতৃত্ব দিতে দেখা গিয়েছিল, তাদের কাউকে দেখা যায়নি লালদিঘী মাঠে।
সেখানে যখন জানাজা চলছিল, তখন মূল সড়কের দুই দিকে কিছু যুবক দাঁড়িয়ে মাঠের সামনের সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে রাখে। একই সময়ে মাঠের অদূরে নবগ্রহ বাড়ি মোড়ে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন বয়সী কয়েকশ লোক সরকারবিরোধী স্লোগান দিতে থাকে।
জানাজা শুরুর আগে যখন বক্তব্যে চলছিল, তখন কাতারে দাঁড়ানো বিভিন্ন বয়সী লোকজন ‘চোর চোর ভোট চোর, শেখ হাসিনা ভোট চোর’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন। প্রায় ২০ মিনিটের এ আয়োজনে দুই যুবক সেখানে বক্তব্য দেন।
বেলা সোয়া ৪টার দিকে পুলিশের একটি সাঁজোয়া যান হর্ন বাজিয়ে মাঠের দিকে সড়কে আসার সময় গায়েবানা জানাজায় আসা যুবকরা উত্তেজিত হয়ে মহল মার্কেটের সামনে সেটি আটকে দেয়। পরে পুলিশ সেটি মোড় ঘুরিয়ে সড়কের অন্যপ্রান্তে নিয়ে রাখে।
সাঁজোয়া যান আটকে দেওয়ার সময় পুলিশের একটি দল সেদিকে গেলে দ্রুত সময়ের মধ্যে জানাজা শেষ করে সবাই মাঠ থেকে বের হতে শুরু করেন।
পরে তারা মিছিল নিয়ে আন্দরকিল্রার দিকে রওনা হলে সাঁজোয়া যান নিয়ে পুলিশের একটি বড় বহরও তাদের পিছু পিছু আন্দরকিল্লা মোড় পর্যন্ত যায়।
আন্দরকিল্লা মোড়ে গিয়ে জানাজায় আসা বেশিরভাগ মানুষ সাবএরিয়া সড়কের দিকে চলে গেলেও কিছু যুবক হেঁটে চলে যান জেএমসেন হল সড়কের দিকে।
নগর পুলিশের দক্ষিণ জোনের উপ-কমিশনার (অতিরিক্ত ডিআইজি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “লালদিঘী মাঠে অনুষ্ঠিত গায়েবানা জানাজায় বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোক উপস্থিত ছিলেন। কোন ঝামেলা ছাড়াই তারা জানাজা শেষ করে মাঠ ছেড়ে চলে গেছেন।