Published : 11 May 2025, 03:18 PM
দেশে আর অশান্তির কোন ‘সুযোগ’ নেই মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
রোববার বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে আয়োজিত শান্তি শোভাযাত্রার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “দেশের মানুষ স্থিতিশীল বাংলাদেশ দেখতে চায়।”
সকালে চট্টগ্রাম নগরীর নন্দনকানন বৌদ্ধ বিহার প্রাঙ্গণ থেকে শোভাযাত্রা শুরুর আগে আমীর খসরু প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন।
তিনি বলেন, “বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে যে শান্তির বাণী, এই শান্তির বাণী এখন বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি প্রযোজ্য। আজ এই মুহূর্তে খুব বেশি প্রযোজ্য।
“বিগত ১৫ বছর আমরা খুব বেশি অশান্তির মধ্য দিয়ে গেছি। এত অশান্তিতে থেকেছি-সমাজ ভেঙে গেছে, রাজনীতি ভেঙে গেছে, ব্যবসা-বাণিজ্য রীতিনীতি সব ভঙ্গ করে আমাদের সমাজকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।”
নতুন দেশ ও নতুন সমাজ গড়ার প্রত্যয় জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, “যে সমাজ, যে দেশ হবে শান্তির। আমরা আর অশান্তি চাই না বাংলাদেশে। আর একটা কথা, বাংলাদেশ কোনো সংখ্যাগরিষ্ঠের রাষ্ট্র হবে না। ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার। এই দেশে বিভক্তির কোন সুযোগ থাকবে না।
“আমরা সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে সমাজ, দেশ, রাষ্ট্র গড়ব। সংখ্যাগরিষ্ঠের রাজত্ব বাংলাদেশে চলবে না। আমরা সবাই মিলে দেশ গড়ব। সমস্ত মানুষ আমরা বাংলাদেশি। আমাদের বার্তা হচ্ছে বাংলাদেশ সবার।”
সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশটা গড়তে হবে মন্তব্য করে সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু বলেন, “বাংলাদেশের রাজনীতিতে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান থাকতে হবে। আমরা সহিষ্ণুতার কথা বলছি। রাজনৈতিক ভিন্নতা থাকবে কিন্তু অপরের মতকে সম্মান জানাতে হবে। সহনশীল হতে হবে। বাংলাদেশে আর অশান্তির কোনো সুযোগ নেই। বাংলাদেশের মানুষ স্থিতিশীল বাংলাদেশ চায়।”
বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের উদ্দেশে তিনি বলেন, “বৌদ্ধ সম্প্রদায় যারা বাংলাদেশে আছেন তারা কিন্তু এই চট্টগ্রাম অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি বসবাস করেন। তাদের সাথে শৈশব থেকেই আমাদের সহাবস্থান। বৌদ্ধ সম্প্রদায় আমাদের সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ।”
অনুষ্ঠানে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, “এই শহরটি আমাদের সবার শহর। আমরা হিন্দু, বৌদ্ধ, মুসলিম, খ্রিস্টান সবাই মিলে এই শহরকে সুন্দর-পরিচ্ছন্ন রাখব।
“শুধু একটা কথাই বলব, গাহি সাম্যের গান, যেখানে মিশেছে হিন্দু বৌদ্ধ মুসলিম খ্রিস্টান।”
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ-সিএমপির উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মো. আলমগীর হোসেন এবং আর কে কে বাংলাদেশের ব্রাঞ্চ মিনিস্টার মরি মাসানোবু।
সভাপতিত্ব করেন সম্মিলিত বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রিটন কুমার বড়ুয়া।
আলোচনা শেষে সম্মিলিত বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপন পরিষদ-২০২৫ এর আয়োজনে নগরীর নন্দনকানন বৌদ্ধ বিহার প্রাঙ্গণ থেকে শান্তি শোভাযাত্রা শুরু হয়।
এর আগে সকালে নন্দনকান বৌদ্ধ বিহারে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন, সংঘ দান, বুদ্ধ পূজা এবং শান্তি ও মঙ্গল কামনা করে প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।