Published : 23 May 2025, 09:48 PM
দেশে কার্প জাতীয় মাছের নিষিক্ত ডিম সংগ্রহের অন্যতম প্রাকৃতিক উৎস হালদা নদীতে ৪৪৭ কেজি পোনা ছাড়া হয়েছে।
শুক্রবার রাউজানের পশ্চিম গহিরা সংলগ্ন হালদা নদীতে ছাড়া হয় রুই, কাতলা, মৃগেল ও কালিবাউশ মাছের এসব পোনা।
রাউজান উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, হালদা নদীতে মাছের মজুত বাড়াতে আজ ৪৪৭ কেজি পোনা মাছ ছাড়া হয়। চলতি বছর তিন ধাপে ৭৭৩ কেজি পোনা ছাড়া হয়েছে হালদায়।
“প্রথম ধাপে ২৬৬ কেজি এবং দ্বিতীয় ধাপে ৬০ কেজি পোনা ছাড়া হয়।”
শুক্রবার পোনা অবমুক্ত করার সময় উপস্থিত ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (মৎস্য পরিকল্পনা ও জরিপ) মাসুদা খানম, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. হেমায়েত হোসেন, অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (বাস্তবায়ন শাখা) সরকার আনোয়ারুল কবীর আহমেদ, চট্টগ্রামের জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ এবং হালদা নদীর প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের পরিচালক মুহাম্মদ মিজানুর রহমান।
হালদা নদীতে বছরের এরকম সময়ে (এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে জুন পর্যন্ত) বজ্রসহ বৃষ্টি এবং পাহাড়ি ঢল নামলে অমাবস্যা বা পূর্ণিমা তিথিতে নদীতে জোয়ার ও ভাটার সময়ে নিষিক্ত ডিম ছাড়ে কার্প জাতীয় মাছ।
নদীতে মা মাছের ছাড়া সেই নিষিক্ত ডিম বিশেষ ধরনের জাল দিয়ে সংগ্রহ করা হয়। পরে হ্যাচারিতে তা থেকে রেণু পোনার জন্ম হয়।
হালদা যেখানে কর্ণফুলীর সঙ্গে মিশেছে, সেই কালুরঘাট সেতুর কাছের অংশ থেকে উজানে মদুনাঘাট হয়ে নাজিরহাট পর্যন্ত প্রায় ৫০ কিলোমিটার অংশে নদীর দুই তীরে হাটহাজারী, রাউজান ও ফটিকছড়ি- এই তিন উপজেলা।
মদুনাঘাট থেকে সমিতির হাট পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার অংশে হাটাহাজারী ও রাউজান উপজেলা সংলগ্ন অংশেই মেলে নিষিক্ত ডিম। এই অংশেই মা মাছের আনাগোনা বেশি।
চলতি মৌসুমে নদীতে মা মাছের আনাগোনা বাড়লেও এখনো কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢল নামেনি। নদীতে নৌকা নিয়ে মাছের ডিম ছাড়ার অপেক্ষায় আছেন হালদা পাড়ের ডিম সংগ্রহকারীরা।