Published : 14 May 2025, 11:02 AM
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম সমাবর্তনসহ বেশ কয়েকটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে দিনব্যাপী সফরে চট্টগ্রামে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর নিজের জেলায় এটাই তার প্রথম সফর।
বুধবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান অধ্যাপক ইউনূস। সেই ছবি ফেইসবুকে প্রকাশ করেছে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর।
চট্টগ্রামে পৌঁছানোর পরপরই বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের (এনসিটি) ইয়ার্ড–৫ পরিদর্শনে যান। সেখানে তিনি একটি সভায় যোগ দেন এবং বন্দর ও জাহাজ চলাচল খাতের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি ও বাণিজ্য সংস্থার নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
অনুষ্ঠানে বিদ্যমান বন্দর কার্যক্রম, কর্মক্ষমতা, ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার পাশাপাশি বে টার্মিনাল এবং মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরসহ চলমান এবং প্রস্তাবিত মূল স্থাপনাগুলোর ওপর একটি মাল্টি-মিডিয়া উপস্থাপনা করা হয়।
এরপর প্রধান উপদেষ্টা চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে যাবেন। যেখানে তিনি কর্ণফুলী নদীর উপর কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচন করবেন এবং চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা সমস্যা এবং অক্সিজেন-হাটহাজারী সড়কের বাস্তবায়নের অগ্রগতি পরিদর্শন করবেন।
সার্কিট হাউসের অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা চট্টগ্রাম হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের ২৩ একর জমির নিবন্ধিত দলিল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করবেন।
বাসস জানায়, দুপুরে সার্কিট হাউস থেকে তিনি যাবেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে তার শিক্ষকতা জীবন শুরু হয়েছিল। ১৯৭২ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত তিনি সেখানে অধ্যাপনা করেন।
দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে হবে এ শিক্ষায়তনের পঞ্চম সমাবর্তন। সমাবর্তনে ২০১১ থেকে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের প্রায় ২২ হাজার ৬০০ জন শিক্ষার্থীকে সনদ দেওয়া হবে। পাশাপাশি ২০১৫-২০২৫ সালের ২২ জনকে পিএইচডি ডিগ্রি দেওয়া হবে।
ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন এবং বিশ্বজুড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভূমিকার জন্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সম্মানসূচক ‘ডি লিট’ ডিগ্রি দেবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক সাইফুল ইসলামকে উদ্ধৃত করে বাসসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, “উপাচার্যের নেতৃত্বে ও তত্ত্বাবধানে সমাবর্তন অনুষ্ঠান সফল করার জন্য আমরা সর্বাত্মক প্রস্তুতি প্রায় শেষ করেছি। সমাবর্তনে দেশের যে কোনো উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সমাবর্তন হবে। কারণ এ জমকালো অনুষ্ঠানে যোগ দিতে প্রায় এক লাখ মানুষ ক্যাম্পাসে সমবেত হবেন।”
সমাবর্তনের অনুষ্ঠান শেষে হাটহাজারী উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের বাথুয়া গ্রামে পৈতৃক বাড়িতে যাবেন প্রধান উপদেষ্টা। তার সফরকে কেন্দ্র করে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
চট্টগ্রামের কর্মসূচি সেরে সন্ধ্যায় ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে প্রধান উপদেষ্টার।