Published : 19 Aug 2023, 08:07 PM
বাংলাদেশের নির্বাচন ও অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কয়েকটি দেশের আচরণকে ‘অনাকাঙ্ক্ষিত হস্তক্ষেপ ও অশনি সংকেত’ বলেছেন মন্তব্য করেছেন নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী।
শনিবার বিকালে ইপিজেড মোড়ে ইপিজেড থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় ও নির্বাচন নিয়ে পরাক্রমশালী আমেরিকাসহ ইউরোপীয় কয়েকটি দেশ যে ন্যাক্কারজনক আচরণ ও অনাকাঙ্ক্ষিত হস্তক্ষেপ করছে তা সত্যিকার অর্থে বিশ্বশান্তি ও গণতন্ত্রের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
“তারা বাংলাদেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করে, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিরোধী শক্তিকে ক্ষমতার মসনদে বসাতে চায়। তবে তাদের এই ছলাকলা কখনো সফল হবে না। আমরা জানি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ একাত্তর সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে প্রত্যক্ষ মদদ ও ইন্ধন যুগিয়েছে। তারা তাদের পুরোনো অভ্যাস অনুযায়ী এখন বাংলাদেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।”
নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি মাহতাব বলেন, “বিএনপি ও জামায়াতের ইতিহাস ও কুকীর্তি কারো অজানা নয় এবং তাদের জন্ম ক্যান্টনমেন্টে। এই দলটির প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা কুক্ষিগত করে ক্ষমতাসীন হয়ে এদেশে সামরিক স্বৈরশাসনের ভিত্তি নির্মাণ করেন। এবং তখন থেকে বাংলাদেশে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।”
আলোচনা সভার প্রধান বক্তা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য ও নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী বলেন, “আজ পরিকল্পিতভাবে এমন একটি পরিস্থিতি সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চলছে যাতে বাংলাদেশ নামক সম্ভাবনাময় দেশটি ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।
“এজন্য দেশিয় চক্রান্তকারী মহল একাত্তরের পরাজিত শক্তিদের সাথে নিয়ে এবং তাদের আন্তর্জাতিক মুরুব্বিদের সংমিশ্রণে একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করেছে। এরা যখন ক্ষমতায় ছিল তখন বাংলাদেশকে লুটেরাদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছিল এবং টানা পাঁচবার দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার রেকর্ড তৈরি করে বাংলাদেশ নামক দেশটিকে কলংকিত করেছিল।”
ইপিজেড থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান নাসির উদ্দীনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সেলিম আফজলের সঞ্চালনায় আলোচনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, প্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. হোসেন প্রমুখ।