Published : 14 Aug 2024, 05:43 PM
ক্ষমতার পালাবদলে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দাবির মুখে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমকে চাকরি থেকে বাদ দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
অবসরের বয়স পেরিয়ে যাওয়ার পরও রহমাতুল মুনিমকে চুক্তিতে এনবিআর চেয়ারম্যান করে রেখেছিল শেখ হাসিনার সরকার। গণ আন্দোলনে হাসিনার পতনের পর সেই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করে বুধবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
গত বুধবার থেকেই এনবিআর চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করছিলেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সবশেষ সোমবার আন্দোলনে নামা কর্মীরা তার পদত্যাগের জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেন। এর মধ্যে তিনি পদ না ছাড়লে বুধবার থেকে একযোগে সারাদেশের ভ্যাট কমিশনারেট, কাস্টম হাউস ও কর অঞ্চলে লাগাতার কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দেন তারা।
কিন্তু এরপরও চেয়ারম্যান পদত্যাগ না করলে বুধবারও তার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন হয়। এরপর বিকালে সরকারই তাকে চাকরি থেকে বাদ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে।
কেবল এনবিআর চেয়ারম্যানের পদত্যাগ নয়, প্রশাসন ক্যাডার থেকে প্রেষণে এনবিআরে নিয়োগ বন্ধেরও দাবি তুলেছেন দীর্ঘদিন পদোন্নতি ‘বঞ্চিত’ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এ বছরের ৩ জানুয়ারিতে তৃতীয়বারের মত দেশের প্রধান রাজস্ব আহরণকারী সংস্থার দায়িত্বে মুনিমের চুক্তি দুবছরের জন্য বাড়ানো হয়েছিল।
২০২০ সালের ৬ জানুয়ারি এনবিআর চেয়ারম্যান হিসেবে যোগ দেন রহমাতুল মুনিম। এ বছরের ৬ জানুয়ারি তার নিয়োগের মেয়াদ শেষ হয়। মেয়াদ শেষের আগেই পুনঃনিয়োগের প্রজ্ঞাপন আসে।
এনবিআরে আসার আগে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা হিসেবে ৩৪ বছরের কর্মজীবনে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিবসহ মাঠ প্রশাসনে বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করেছেন রহমাতুল মুনিম।
২০১৮ সালের ৯ মে থেকে ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি ছিলেন জ্বালানি বিভাগের দায়িত্বে। এর আগে ছিলেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের আওতাধীন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের চেয়ারম্যান (সচিব পদে) পদে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূতত্ত্ব বিভাগের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী এই আমলার বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলায়।
পুরনো খবর
এনবিআর চেয়ারম্যানের পদত্যাগে এবার ২৪ ঘণ্টার 'আল্টিমেটাম'
আরও দুই বছর এনবিআরের চেয়ারম্যান রহমাতুল মুনিম