Published : 25 May 2025, 09:34 PM
ব্যাংকিং চ্যানেলে চলতি অর্থবছরের সেপ্টেম্বর থেকে দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিটেন্স আসার ধারা বজায় রয়েছে চলমি মাসেও।
চলতি মে মাসের সাত দিন বাকি থাকতেই সোয়া দুই বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক ২৪ মে পর্যন্ত প্রবাসী আয়ের এ তথ্য প্রকাশ করে।
এতে দেখা যায় এ নিয়ে টানা ৯ মাস দুই বিলিয়নের বেশি রেমিটেন্স এল।
এর আগের দুই মাস এপ্রিল ও মার্চে রেকর্ড রেমিটেন্স আসে। এপ্রিলে দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পৌনে ৩ বিলিয়ন ডলার এবং এর আগের মাস মার্চে রোজার ঈদকে ঘিরে এসেছিল রেকর্ড সর্বোচ্চ ৩ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, মার্চের আগে সবচেয়ে বেশি রেমিটেন্স এসেছিল ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে; ২ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলার।
এদিকে চলতি মাসেই রেমিটেন্স নিয়ে দুঃসংবাদ পেয়েছে বাংলাদেশ। কারণ যুক্তরাষ্ট্র থেকে অন্য দেশে আয়ের অর্থ পাঠানোর ক্ষেত্রে কর বসাতে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প যে আইন প্রস্তাব করেছেন তাতে বাংলাদেশের রেমিটেন্সে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার শঙ্কা দেখছেন বিশ্লেষকরা।
তাদের মতে, এ ক্ষেত্রে হুন্ডির মতো অবৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠাতে উৎসাহিত হতে পারেন প্রবাসীরা, যা রিজার্ভের জন্য বড় ধাক্কার কারণ হবে।
‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল অ্যাক্ট’ নামের কর ও ব্যয়ের মেগা বিলটি কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদে (হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভস) পাস হয়েছে। এই বিল এখন সেনেটে পাস হতে হবে।
এ বিল পাস হলে যুক্তরাষ্ট্র থেকে অন্যান্য দেশে অর্থ পাঠানোর ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ হারে কর আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। এর আওতায় পড়বেন যারা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক নন অথচ কাজ বা ব্যবসা সূত্রে সেদেশে থাকেন, তারাসহ এইচ-১বি ভিসা, এফ-১ ভিসাধারী এমনকি গ্রিনকার্ডধারীরাও।
এ কর আরোপ হলে ব্যাংকিং চ্যানেলে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিটেন্স পাঠানো কমে যাওয়ার আশঙ্কা ব্যাংকারদের।