Published : 27 Jan 2024, 04:54 PM
জেলা ও উপজেলা পর্যায় থেকে ‘অপ্রয়োজনে’ ডেঙ্গু আক্রান্ত কোনো রোগীকে ঢাকায় না পাঠাতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আহমেদুল কবীর। বলেছেন, শকের রোগীকে যথাযথ চিকিৎসা না দিলে ঢাকায় পাঠালে রোগীকে ‘নিশ্চিতভাবে হারাতে হবে।’
রোববার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসায় যে গাইডলাইন করা হয়েছে, সেটা প্রান্তিক পর্যায়ের সব চিকিৎসকরা জানেন। সেই গাইড লাইন অনুযায়ী চিকিৎসা দেওয়া এবং অপ্রয়োজনে ঢাকায় রোগীকে না পাঠাতে জেলা, উপজেলা পর্যায়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”
এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার কী কারণ, তা তুলে ধরে তিনি বলেন, “এখানে দুটি বিষয় খুব গুরুত্বপূর্ণ, একটি হচ্ছে ফ্লুইড ম্যানেজমেন্ট। যখন রোগীর প্রেসার কমে যায় তখন যথাযথ সময়ে আইভি ফ্লুইড দেওয়া। আইভি ফ্লুইড দেওয়ার জন্য বড় ধরনের ইকুইপমেন্ট বা অনেক বড় হাসপাতালের প্রয়োজন নেই।”
বরং যারা শকে আছেন, তাদের শক স্টেইজ ম্যানেজ না করে যদি ঢাকায় পাঠানো হয়, তাহলে এই লম্বা সময়ে রোগীর মৃত্যু হতে পারে বলে আশঙ্কার কথা বলেছেন তিনি।
সিরায় দেওয়ার স্যালাইন সংকট নিয়ে আহমেদুল কবীর বলেন, “বিভিন্ন ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান সরকারের কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে হিসাব করে দেখেছেন, আমদানি ও স্থানীয়ভাবে যে পরিমাণ স্যালাইন উৎপাদন হচ্ছে, তাতে স্যালাইনের সংকট হওয়ার কথা না।”
রোগীর সংখ্যা বাড়লে ‘অসাধু লোকজন’ স্যালাইন মজুদ রেখে বেশি দামে বিক্রি করার জন্য কৃত্রিম সংকট তৈরি করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এটা শক্ত হাতে দমন করতে আমরা সিভিল সার্জনদের নির্দেশনা দিয়েছি। তারা স্থানীয়ভাবে মোবাইল কোর্ট, ভোক্তা অধিকারকে নিয়ে অভিযান চালাবে। কেউ মজুদ করলে ও বেশি দামে বিক্রি করলে জরিমানা করবেন।”
সরকার যে স্যালাইন আমদানি করতে যাচ্ছে তার একটি চালান রোববারই এসে পৌঁছাবে বলে জানান তিনি।
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)