Published : 12 Dec 2022, 07:19 PM
বাংলাদেশে চিকিৎসা সেবা দিতে আসার ৫০ বছর পূর্ণ করল নোবেলজয়ী আন্তর্জাতিক সংস্থা মেদসা স' ফ্রঁতিয়ের-এমএসএফ।
স্বাধীনতার পরপর ১৯৭২ সালে চিকিৎসা সহায়তা দিতে বাংলাদেশে আসে ফ্রান্সভিত্তিক এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।
বাংলাদেশে আসার ৫০ বছর পূর্তিতে সোমবার ঢাকার গুলশানের একটি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে এমএসএফ।
বাংলাদেশে এমএসএফের প্রতিনিধি ক্লদিও মিগলিটা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “স্বাধীনতা যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের মানবিক সহায়তা প্রয়োজন ছিল। ওই সময় একদল চিকিৎসককে বাংলাদেশে পাঠায় এমএসএফ।
“পররে সারা দেশে বিভিন্ন জরুরি পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য সেবা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সরকারের সঙ্গে কাজ করছি আমরা।”
ক্লদিও মিগলিটা জানান, বর্তমানে তাদের সংস্থা কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে ১১টি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র পরিচালনা করছে। জরুরি ও নিবিড় পরিচর্যা, শিশু রোগ, প্রসূতি ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা, যৌন সহিংসতার শিকার মানুষকে চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া, হেপাটাইটিস সি, ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো অসংক্রামক রোগে আক্রান্তদের সেবা দেওয়া হচ্ছে।
“যে কোনো সংকটের ভয়াবহতা, জনগোষ্ঠীর মধ্যে অসুস্থতার মাত্রা, মৃত্যু ও স্বাস্থ্য সেবা থেকে বাদ পড়া জনগোষ্ঠীর প্রয়োজনের তীব্রতার ওপর এমএমএসের কাজ করার সিদ্ধান্ত নির্ভর করে। আমাদের নীতিমালা অনুযায়ী লিঙ্গ, ধর্ম, জাতি বা রাজনৈতিক পরিচয়ের ঊর্ধ্বে সব মানুষকে আমরা চিকিৎসা সেবা দিই।”
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০২১ সালে বাংলাদেশে ৫ লাখ ৪৪ হাজার রোগীকে বহির্বিভাগে চিকিৎসা পরামর্শ দিয়েছে এমএসএফ। ২৪ হাজার মানুষ বিশেষায়িত চিকিৎসা সেবা নিতে সংস্থাটির হাসপাতাল ও সেবাকেন্দ্রে ভর্তি হয়েছে। গত বছর সন্তান প্রসবে সহায়তা পেয়েছেন ৪ হাজারের বেশি নারী।
সংবাদ সম্মেলনে এমএসএফের প্রজেক্ট কোঅর্ডিনেটর মোহাম্মদ আবু তাহের, হেড অব এক্সটার্নাল রিলেশন্স ইমামুর রহমান ও মেডিকেল কোঅর্ডিনেটর সাপোর্ট ড. আতিয়া শারমিন উপস্থিত ছিলেন।