Published : 12 May 2025, 11:49 AM
বৃষ্টির দিনে
মনের মাঝে দোল দিয়ে যায়
বৃষ্টি ভেজা হাওয়া
সকাল থেকে দেখছি শুধু
মেঘের আসা যাওয়া।
মেঘ দেখেকি সূর্য মামা
গেছেন পরবাসে
তাই ভেবে আর ভাল্লাগে না
দুচোখ জলে ভাসে।
কোন দেশেতে জন্ম মেঘের
কোন দেশেতে যায়
কখন ফিরে আসবে আবার
সজল বরষায়?
কাশের ফুলের চামর বেঁধে
পদ্মা নদীর চর
কার বা আশায় নৃত্য করে
দিন রাত্রি ভর।
সুনীল আকাশ অমন কেন
মুখ করেছে কালো?
কেউকি তোমায় গাল গিয়েছে
কেউ বাসে না ভালো?
আর কেঁদো না আর কেঁদো না
এখন তুমি থামো
অরুণ আলোর ঝর্ণা হয়ে
ভুবন জুড়ে নামো।
বই
রাত নেমেছে মাথার পরে
আকাশ হলো ছাতা
আলোর কাছে খোকা-খুকু
খেলো বইয়ের পাতা।
বইকি তোমার শুধুই কাগজ
দেখতে লাগে ভালো
বই হলো এক জ্ঞানের প্রদীপ
জ্বালায় মনের আলো।
জানবে তুমি পৃথিবীটা
কেমন গোলাকার
ঘুরছে এমন বনবনিয়ে
খেলার লাটিম কার?
পড়বে তুমি নিজেই যখন
জানবে ভুরি ভুরি
তোমার কাছে করবে কে আর
জানার বাহাদুরি?
পড়বে যত শিখবে তত
সমুদ্র অথই
শিখবে কত নতুন নতুন
পড়বে যত বই।
জানবে কত বিচিত্র এই
সাগর মরু বন
বই ছাড়া আর কিসে হবে
জ্ঞানের উদ্বোধন!
ফুলপরী
আমাদের ফুল বনে আছে ফুলপরী
লাল নীল হলুদের শুধু ছড়াছড়ি।
শরতের মাঝামাঝি ফোটে জুঁই ফুল
তাই দিয়ে নীলপরী কানে পরে দুল।
ফুলপরী নাচে গায় খুকুমনি হাসে
দোল খেতে ফুলপরী খুব ভালোবাসে
পুতুলের বিয়ে হলে সাজুগুজু করে
চুল খুলে ফুলপরী আসে খেলাঘরে
বরকনে কাছে আসে যেই হাসিমুখে
ফুলপরী বলে তাকে ‘বেঁচে থাকো সুখে’
আমরাও দল বেঁধে খেলি তার সাথে
ভালোবেসে হাত রাখি পরিটার হাতে।
কেউ যদি ভুল করে নাম ধরে ডাকে
ফুলপরী ঠাস করে চড় দেয় তাকে ।
মিতা বলে ডাকি যদি খুশি হয় বেশ
ফুলপরী এত ভাল নেই তার শেষ।
রং
রক্তের রং লাল, আকাশের নীল
ঝিরঝিরে হাওয়া পেয়ে নদী ঝিলমিল
সাদা হয় কাশফুল, রাত খুব কালো
ভুল করে না-ই যদি বাতিটাকে জ্বালো
সতেজ সবুজ ঘাসে মাঠ ফেলে ঢেকে
পেঁপে কলা হলুদ হয়, যদি যায় পেকে
কমলা গোলাপি আর খয়েরি বেগুনি
এইসব রং তার ঠিক নামে শুনি।
প্রজাপতি উড়ে যায় মেলে দিয়ে ডানা
তার কত রং আছে, যায় না তো জানা
আকাশের গায়ে দেখি রংধনু বাঁকা
আমরা তো জানি সেটা সাত রঙে আঁকা।