Published : 21 Jul 2013, 03:32 PM
সিটি করপোরেশনসহ স্থানীয় সরকারে যারা নির্বাচিত হয়েছেন, তাদের সম্মানে একটি ইফতার পার্টি দিয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন। সেখানে স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিরা কী বক্তব্য রেখেছেন, মিডিয়ায় তার বিবরণ বড় একটা মিলল না। বিশেষত উপজেলা পরিষদে নির্বাচিতরা কী বললেন, সে বিষয়ে জানা গেলে ভালো হত।
কাজ করার জন্য যথেষ্ট ক্ষমতা হাতে পেতে তারা তো রীতিমতো আন্দোলনে ছিলেন কিছুদিন আগেও। সরকারের দিক থেকে উপযুক্ত সাড়া না পেয়ে এবং রাজনীতি ও সমাজের অন্যান্য অংশেরও সহানুভূতি না পেয়ে তারা বোধহয় ঝিমিয়ে পড়েছেন। সরকার অবশ্য গাড়িসহ কিছু সুবিধার ব্যবস্থা করেছে তাদের জন্য। সেসব পেয়েই তাদের সন্তুষ্ট হয়ে যাওয়ার কথা নয়।
খবরে এটুকু শুধু দেখছি যে, বিএনপি চেয়ারপারসন স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের বলেছেন- ক্ষমতায় গেলে তাদের 'ন্যায্য দাবি' বিবেচনা করা হবে। তার সামনে নিশ্চয়ই কিছু অপূর্ণ দাবি উত্থাপন করেছেন স্থানীয় প্রতিনিধিরা। দলনিরপেক্ষভাবেই কিছু ন্যায্য দাবি তো রয়েছে তাদের। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় প্রশাসনের খবরদারিতে অনেক দরকারি কাজই তারা করে উঠতে পারেন না বা করতে গিয়ে বাধাপ্রাপ্ত হন।
এসব বিষয় সামনে নিয়ে এলে তারা কিন্তু বিরোধী দলের কাছ থেকেও অর্থপূর্ণ কোনো সমর্থন পান না। তাদের ক্ষমতাহীন করে রাখার বিষয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসা-যাওয়া করা দুটি দলেরই একটা ঐকমত্য আছে। নাগরিক সমাজের একাংশই কেবল শক্তিশালী স্থানীয় সরকার দেখতে চায়। তারা সেমিনার করেন, টকশোতে মাঝে মাঝে বক্তব্য রাখেন।
এতে সমাজ-রাজনীতির মূলধারায় আলোড়ন সৃষ্টি হচ্ছে বলেও মনে হয় না। তবে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আমরা বেশ উৎসাহই দেখাচ্ছি। এতে জাতীয় ইস্যু প্রাধান্য পেলেও কিছু মনে করছি না। এর ফলকে 'জাতীয় রাজনীতির ব্যারোমিটার' হিসেবে দেখতেও অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি আমরা। বিজয়ী প্রার্থীরাও দেখছি একই ভাষায় কথা বলতে ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন। ভালো!
ওই ইফতার পার্টিতে বিএনপি চেয়ারপারসন তাদের উদ্দেশে যা বলেছেন, তার নব্বই শতাংশই জাতীয় রাজনীতি ঘিরে। দেশে সুশাসন নেই, 'জালেম সরকার' থেকে জাতিকে মুক্ত করতে হবে, সিটি নির্বাচনেও তারা কারচুপি করতে চেয়েছিল, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির যৌক্তিকতা আরও বেশি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী সংসদে 'মিথ্যাচার' করছেন ইত্যাদি।
এসবের মাঝে এক বাক্যে বলা একটি উক্তি সচেতন মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। সেটি হল, আগামী নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় এলে 'নতুন ধারায় সরকার' গঠন করবে। সে সরকারটি 'অন্যায় ও দুর্নীতির সঙ্গে' কোনো আপস করবে না। একাধিক সংবাদপত্র ও অনলাইনে দেখছি তার এ উক্তি হেডলাইন করা হয়েছে। করারই কথা।
কিন্তু মুশকিল হল, বিরোধী নেত্রী তো এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বললেন না। বললে সেটা নিশ্চয়ই মিডিয়ায় আসত। আজকাল কোনো কোনো টিভি চ্যানেল নেতা-নেত্রী ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বাছাইকৃত বক্তব্য নিয়মিত অনুষ্ঠানের ফাঁকে দীর্ঘ সময় ধরে প্রচার করে। ওই ইস্যুতে বিস্তারিতভাবে বলা হলে সেটি এভাবে প্রচারের সুযোগও মিলত।
এখন আমরা কি আশা করতে পারি, ক্ষমতাপ্রত্যাশী (ও এরই মধ্যে পূর্ণমেয়াদে দুবার প্রধানমন্ত্রী হওয়া) খালেদা জিয়া 'নতুন ধারা'য় সরকার গঠন ও পরিচালনার বিষয়টি স্পষ্ট করবেন? তিনি শুধু বলেছেন, বিএনপি গঠিত ওই সরকার অন্যায় ও দুর্নীতির সঙ্গে আপস করবে না; অর্থাৎ তাদের সরকারটি ন্যায়নীতি মেনে চলবে। ক্ষমতাপ্রত্যাশী সব দলই এমনটি বলে থাকে জনতার উদ্দেশে।
জনতা অবশ্য বরাবরই থাকে বিভক্ত। এর একটি অংশের সমর্থন থাকে তরল আকারে। পরিস্থিতি দেখেশুনে তারা এদিক-ওদিক যায়। নির্বাচনী রাজনীতিতে এদের বলা হয়ে থাকে 'সুইং ভোটার'।
বিএনপি নেত্রী নতুন ধারার সরকার দিলে বা না দিলেও একাট্টা সমর্থকরা তার দলের প্রার্থীদের পেছনে থাকবে। আওয়ামী লীগেরও এ ধরনের ভোটার রয়েছে। এমন ভোটার আছে জামায়াতে ইসলামীর। এরশাদ সাহেবের জাতীয় পার্টিরও (জাপা) রয়েছে বলে দাবি করা হয়।
গত কয়েকটি জাতীয় নির্বাচনেই দেখা গেল, প্রধান প্রধান দলের বাঁধা ভোটে তেমন নড়চড় হচ্ছে না। সুইং ভোটাররা যেদিকে হেলে পড়ছেন, তার বিপরীত দিকে ঘটে যাচ্ছে সুনামি। এ নিয়ে পরে কোনো নিবন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করা যাবে।
আপাতত বেগম জিয়ার উদ্দেশে শুধু এটা বলা দরকার যে, নতুন ধারার সরকারের বিষয়টি একটু খোলাসা করুন। বিশেষত সুইং ভোটারদের বোঝানোর জন্য এটা জরুরি। আপনার দলের প্রার্থীদের যারা ভোট দেবেই, তাদের কিছু বোঝানোর দরকার নেই। আপনাদের পারফরম্যান্সে তারা নিশ্চয়েই মুগ্ধ হয়ে আছে। নিজেরাই কিছু যুক্তি বের করে বসে আছে হয়তো। আওয়ামী লীগের 'বোনাফাইড' সাপোর্টারদের ক্ষেত্রেও একথা প্রযোজ্য।
অন্যায় ও দুর্নীতির সঙ্গে তাহলে কোনো আপস করবে না বিএনপি সরকার- যদি নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় চলে আসতে পারে। এ ক্ষেত্রে প্রথম কথা, নির্বাচনটা ভালোয় ভালোয় হবে কিনা। ধরা যাক, সেটা হয়ে গেল। অন্য পক্ষের ওপর সুনামি হোক বা না হোক, বিএনপি-জামায়াত জোট নেপথ্যে হেফাজতে ইসলামের সমর্থনধন্য হয়ে জিতে এল। অতঃপর 'নতুন ধারায়' সরকার গঠিত হবে কীভাবে?
যারা এখন একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধী হিসেবে বিধিবদ্ধ আদালতে কঠিন সব সাজা পাচ্ছেন, তাদের অন্তত দুজন এর আগে বিএনপি মন্ত্রিসভায় পূর্ণমন্ত্রী হয়ে গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়িয়ে চলাচল করতেন। প্রধানমন্ত্রীর হাতে সাংবিধানিকভাবেই এত বেশি ক্ষমতা দিয়ে আমরা বসে আছি যে, ইচ্ছা করলেই তিনি কিন্তু এর পুনরাবৃত্তি ঘটাতে পারেন।
এর মধ্যে বিএনপির তরফ থেকে বলাও হয়েছে, তারা ক্ষমতায় গেলে ওই বিচারকার্যক্রম 'পর্যালোচনা' করা হবে। (অস্বচ্ছতার দিকগুলো চোখে আঙুল দিয়ে না দেখিয়ে) শুরু থেকেই তারা প্রশ্ন তুলছেন এর 'স্বচ্ছতা' নিয়ে। মানবতাবিরোধী অপরাধের রায়গুলোর বিষয়ে দলটির সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে কোনো কথা উচ্চারিত হতেও দেখছি না আমরা। জোর করে তো আর বলানো যাবে না; তবে নিশ্চুপ থাকার একটা তাৎপর্য রয়েছে।
হেফাজতের ইসলামের ১৩ দফা দাবির বিষয়েও তারা স্পষ্ট করে কিছু বলছেন না। অথচ রাজধানীতে এদের জমায়েতে বিএনপির সিনিয়র নেতারা গিয়েছিলেন। চেয়ারপারসনের নির্দেশনা ছাড়া এটি ঘটার কোনো সুযোগ নেই। গোলযোগপূর্ণ অবরোধের দিন ঢাকাবাসীকে হেফাজতের পক্ষে নামার আহ্বানও জানান খালেদা জিয়া। তাতে লাভ হয়নি; কিন্তু হেফাজতের সঙ্গে সম্পর্কটা পাকা হয়েছে।
সাম্প্রতিক সিটি নির্বাচনগুলোয় তারা নাকি জানপ্রাণ দিয়ে খেটেছে বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থীদের জন্য। ধর্মীয় লেবাসে শামিল হয়েছে অপপ্রচারে! লোকে তাতে বিভ্রান্তও হয়েছে। এদের মধ্যে নিশ্চিতভাবেই রয়েছে সুইং ভোটার। এখন কথা হল, 'নতুন ধারায়' গঠিত সরকারে এত অবদান রাখা হেফাজতের নেতারা থাকবেন কিনা।
আগামী নির্বাচনে জাপা কোনদিকে অবস্থান নেবে, তা এখনও অস্পষ্ট। পক্ষ বদলে বিএনপির ছায়াতলে গেলে এরশাদ সাহেবেরও কিছু দাবি থাকবে। তাহলে কী ধরনের মন্ত্রিসভা গঠিত হবে নির্বাচনে বিএনপি জয়ী হলে?
দলটির তরুণ নেতা তারেক রহমান নাকি এখন মোটামুটি সুস্থ। পরিস্থিতি অনুকূল হয়ে উঠলে তিনি নিশ্চয়ই দেশে ফিরবেন। না সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক, না বর্তমান সরকার- কেউই তাকে রাজনীতি থেকে 'মাইনাস' করতে পারেনি। এত যে অভিযোগ তার বিরুদ্ধে, এর একটাও বিচারিক প্রক্রিয়ায় প্রমাণ করা যায়নি। এখানেও একটা কথা। প্রমাণ হলেও সমস্যা ছিল না, বিচারকার্যক্রম 'পর্যালোচনা' করা হত!
যাহোক, তারেক রহমান নিশ্চয়ই ভবিষ্যতের বিএনপি গঠিত সরকারে একটা বড় ভূমিকায় থাকবেন। বিগত জোট শাসনামলে দেখেছি, সরকারের কেউ না হয়েও কিচ্ছুটি মনে না করে সরকারি কার্যক্রমে অংশ নিতেন তিনি। দলে ও সরকারে সিনিয়রদের মধ্যে শুরুতে কিছু প্রতিক্রিয়া থাকলেও পরে বোধগম্য কারণেই তা মিইয়ে আসে।
এখন কথা হল, সেই তারেক রহমান দেশে ফিরে নতুন ধারায় সরকার গঠনে ও গঠিত সরকারে কী ভূমিকায় অবতীর্ণ হবেন? সেটা কি পুরনো ভূমিকাই, নাকি 'নতুন' কিছু? পুরনো ভূমিকা তাকে, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীসহ ওই সরকারকে কম বিতর্কিত করেনি। সেনাসমর্থিত সরকারটি যখন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়, তারা কিন্তু পাননি ব্যাপক মানুষের সহানুভূতি।
এতদিনে লোকে অবশ্য সেসব বিস্মৃত হয়েছে বলেই মনে হয়। সাধারণের স্মৃতি নাকি পাঁচ বছর পেরিয়ে আর পেছনে যেতে চায় না। বিএনপি ও তার সহযাত্রীদের জন্য সেটি প্লাস পয়েন্ট হতে পারে।
তবে সত্যি সত্যিই নতুন ধারায় সরকার পরিচালনা করতে চাইলে তাদের নিজেদের ওইসব মনে রাখতে হবে। নইলে রাষ্ট্রক্ষমতার সুফল না পাওয়া জনগোষ্ঠীটি দ্রুতই বলতে শুরু করবে- এ তো নতুন কিছু নয়; নতুনের নামে পুরনো জিনিসই চালানো হচ্ছে।
এক একটা বছর পর আমরা সরকারের পারফরম্যান্সই বিচার করি। দেশে তো বিরোধী দলও রয়েছে। কী তাদের পারফরম্যান্স? বেগম জিয়ার ওই উক্তির সুবাদে বলি, বিরোধী দল হিসেবে নতুন ধারায় কী করেছেন তারা বর্তমান শাসনামলে? একটা ভালো কাজ করেছেন যে, প্রথম কবছর হরতাল কম ডেকেছেন তারা। সেটি নাকি আবার দল দুর্বল ছিল বলে।
এক কী দুবার 'বিকল্প বাজেট' দিয়েছিলেন বেগম জিয়া। সেটি আবার তৈরি করে আইনগত বিতর্ক। অস্বীকার কি করা যাবে, জনস্বার্থে খুব কম কর্মসূচি দিয়েছেন তারা? প্রথম কবছর তো বেগম জিয়া ও তার পরিবারকে রক্ষায় ব্যস্ত ছিল দলটি। আমাদের প্রধান দুই দলের রাজনীতি অবশ্য কমবেশি পরিবারকেন্দ্রিক। একাট্টা সমর্থকগোষ্ঠী এর পক্ষে কিছু যুক্তিও খাড়া করে।
ক্ষমতায় এসে খালেদা জিয়া আবার সেই পরিবারতান্ত্রিক ধারায় চললে মনে হয় না অন্তত প্রথম কবছরে তার সমস্যা হবে। সমস্যা হবে শেষদিকে এসে, যখন সিংহভাগ মানুষ দেখবেন- এ থেকে তারা মোটেও উপকৃত হচ্ছেন না।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তরফ থেকেও সমালোচনা বাড়বে। বলা হবে, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে রাষ্ট্রক্ষমতায় পরিবর্তন এলেও গণতন্ত্র শক্তিশালী হয়নি, দেশ পরিচালনায় জনগণের অংশগ্রহণ বাড়েনি, সন্ত্রাস ও দুর্নীতি আরও বেড়েছে; অর্থাৎ পুরনো ধারাতেই চলছে দেশ।
বেগম জিয়া কি নিশ্চিত করতে পারবেন, নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় যাওয়া মাত্রই বিরোধী পক্ষ ও তার সমর্থকদের ওপর নির্যাতন নেমে আসবে না দেশজুড়ে? 'দিনবদলের অঙ্গীকার' নিয়ে আসা বর্তমান সরকারও এটা নিশ্চিত করতে পারেনি। ২০০১-এর মতো করে না হলেও এ আমলেও সে প্রক্রিয়া অব্যাহত ছিল। সরকার অজনপ্রিয় হয়ে পড়ার এটাও একটা কারণ।
লোকে যে প্রতিহিংসার এ সংস্কৃতি থেকে বেরোতে চাইছে, এটি কি বুঝতে পারছেন বেগম জিয়া? দীর্ঘদিন দেশের বাইরে অবস্থান করে নতুন প্রজন্মের মানুষ হিসেবে তারেক রহমানও কি বুঝতে পারছেন এটা?
দেশের অর্থনীতি পরিচালনায় দুই দলেই একটা মতৈক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ ক্ষেত্রে নতুন কিছু করার নেই বলেই মনে হয়। তবে অর্থনীতি পরিচালনায় গোষ্ঠীতন্ত্র পরিহার করে পরিচ্ছন্নতা ও দূরদৃষ্টির পরিচয় দেওয়ার ব্যাপার রয়েছে। পরিচ্ছন্নতার অভাবেই তৈরি হয় হল-মার্কের মতো কেলেংকারি; পদ্মা সেতু প্রকল্পও ঝুলে যায়। আর দূরদৃষ্টির অভাবে স্থগিত হয় জিএসপি সুবিধা।
শেষ সময়ে এগুলো বর্তমান সরকারকে খুব ভোগাচ্ছে। 'নতুন ধারায়' গঠিত হলে বিএনপি সরকার কি এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে পারবে? তাদের মেয়াদের শেষ সময়ে ইসলামি জঙ্গিবাদের উত্থান খুব ঝামেলায় ফেলেছিল বিএনপিকে। এর সঙ্গে তাদের নিজেদের যোগসূত্রও আবিষ্কৃত হয়েছিল। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে এজন্য তারা এখনও কিছুটা প্রশ্নবিদ্ধ।
এখন জামায়াত ও হেফাজতের সঙ্গে এভাবে জড়িয়ে থাকলে নির্বাচনে বাড়তি সুবিধাই হবে বিএনপির। কিন্তু এটি দলকে (দেশকেও!) যেদিকে নিয়ে যেতে চাইবে, তা নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা কি থাকবে খালেদা জিয়ার হাতে?
বিএনপি তো আর মৌলবাদী দল নয়। স্যুট-টাই পরা লোকজনই দলটির গোড়াপত্তন করেছিলেন। এদেশে তারা অর্থনৈতিক উদারীকরণের পুরোধা। সমাজে নারীর অগ্রযাত্রায় এর ভূমিকা রয়েছে বৈকি।
বিএনপির সঙ্গে থাকা মৌলবাদী (স্বাধীনতাবিরোধীও বটে) ও চরম রক্ষণশীলরা (হেফাজতে ইসলাম) এগুলোকেও কিন্তু চ্যালেঞ্জ করছে!
হাসান মামুন : সাংবাদিক।