Published : 24 Sep 2019, 06:59 PM
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বেশ কিছুদিন ধরে আরেকবার পত্রপত্রিকার শিরোনাম হিসেবে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আছে। এবারের বিতর্কের বিষয় উপাচার্য, শিক্ষক আন্দোলন এবং ছাত্রলীগের বিগত নেতৃত্ব। লেখার শুরুতেই একটু ইতিহাস জানিয়ে নেই- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের মূল উদ্দেশ্যটি ছিল বাংলাদেশের সামাজিক, রাজনৈতিক, এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধিতে গবেষণার মাধ্যমে সরাসরি ভূমিকা রাখা। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়টিকে আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়। সময়ের পরিক্রমায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্যটি অনেকটাই ব্যাহত হয়েছে।
বাংলাদেশেরঅন্যান্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মতোই শিক্ষক ও ছাত্র রাজনীতির দলীয়করণ এবং অপর্যাপ্তআর্থিক বরাদ্দ ও দুর্বল আর্থিক ব্যবস্থাপনার কারণে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের যেভূমিকা রাখার কথা তার পূর্ণাঙ্গ রূপদেওয়া সম্ভবহয়নি। তবে একথা অনস্বীকার্য যে, বাংলাদেশেরস্বাধীনতা পরবর্তী সমাজ গঠনে এবং আশির দশকের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে জাহাঙ্গীরনগরবিশ্ববিদ্যালয় গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রেখেছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ইপ্রথম যেখানে মৌলবাদী রাজনীতিকে রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক আন্দোলনের মাধ্যমে নির্মূলকরা হয়। বাংলাদেশের সমাজ,রাজনীতি বা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এই বিশ্ববিদ্যালয়েরমেধাবী ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষকদের বহুল উপস্থিতি এবং মেধার স্বাক্ষর বিশ্ববিদ্যালয়ের অসামান্য অবদানকেইস্মরণ করিয়ে দেয়।
এটাওআমাদের মনে রাখা দরকার যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট ১৯৭৩ শিক্ষক এবং ছাত্র-ছাত্রীদেরকে তাদের বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ করেছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই আইনটির নীতিগত অনুমোদনেরমাধ্যমে শিক্ষকদের অত্যন্ত সম্মানের আসনে বসিয়েছিলেন। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যদের সম্মান এবং পদমর্যাদাঅন্য যেকোন পেশার সর্বোচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের উপরেই বিবেচনা করা হয়।
এসম্মানজনক পদটির সম্মান রক্ষার বিষয়টি থেকেও অনেক উপাচার্য সরে এসেছেন। যার দরুণপাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যেরপদটি বারবার বিতর্কিত হচ্ছে। আশির দশকের পরে সেশনজ্যাম এবং অবকাঠামোগত সমস্যা কাটিয়ে উঠে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আজকের পর্যায়ে আসতেঅনেকটা সময় লেগেছে। এ পথ পরিক্রমায় এটা নিঃসন্দেহে পরিষ্কারযে মূল চারটি স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় – ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী – বাংলাদেশের উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধির ধারাকেএগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ভূমিকা রেখেছে এবং রাখবে। একটি বিশ্ববিদ্যালয়েরশিক্ষকদের যেমন ভূমিকা আছে, তেমনই অনেকক্ষেত্রেই যোগ্য উপাচার্যের অভাব রাষ্ট্র ও সমাজ বোধ করেছে। সময়ের আবর্তনেশিক্ষক নিয়োগের বিষয়টিও বারবার প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। এই অভাবের জন্য কেবল যে শিক্ষক সমাজের একটি অংশ দায়ী তা নয়, যারা এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার সাথে জড়িতথাকেন তাদের উপরেও বর্তায়।
যাইহোক বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সমস্যা শুরু হয় ১৯৯০ পরবর্তী সময়ে যখন বিচিত্র রঙের এবং বিভিন্ন ধারার ব্যক্তিও দল কেন্দ্রিক রাজনীতির প্রবেশ ঘটে। বলাবাহুল্য, রাজনীতিকরণ এবং দলীয়করণের মধ্যে যেমন পার্থক্য আছে, ঠিক তেমনইআদর্শভিত্তিক ও দলকেন্দ্রিক রাজনীতির মধ্যে পার্থক্য আছে। রাজনীতিকরণবহুমতের প্রকাশ এবং গঠনমূলক সমালোচনার মাধ্যমে রাষ্ট্র গঠনেকে বোঝায় করে। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী যেকোনও ব্যক্তিযে কোনো রাজনৈতিক দলের মতাদর্শ সমর্থন করার সম্পূর্ণ অধিকার আছে। তবে, এ অধিকারটি মানবিক মূল্যবোধ, দায়িত্বের প্রতি নিষ্ঠা, নৈতিক আদর্শ সামগ্রিক কল্যাণের ভিত্তিতেহওয়া প্রয়োজন। অন্যদিকে অতি-দলীয়করণবেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ব্যক্তিকেন্দ্রিক হয়ে পরে। এর যথেষ্টউদাহরণ আমরা প্রতিনিয়তই দেখতে পাই। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় অত্যুৎসাহী দলীয়করণহিতে বিপরীত ঘটায়। অত্যুৎসাহী অনেকটাই Holier than the Pope এর মত আচরণকরেন।
বিশ্ববিদ্যালয়এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে মুক্ত চিন্তা এবং স্বাধীন দর্শন চর্চা এবং অভিক্রিয়া করা হয়। যে কোন রাজনৈতিক দলের নাম ভাঙিয়ে মুক্তচিন্তা এবং স্বাধীন দর্শনচর্চার জায়গাকে বারবার আঘাত করার চেষ্টা হয়েছে। দুর্ভাগ্যক্রমে, আমাদের সমস্যাটা ঠিক এই জায়গাতেই শুরু হয়। দুর্নীতির প্রশ্নগুলির সাথে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চযাচাই-বাছাই এবং মেধার নিশ্চয়তার প্রশ্নটিও বারবার আসছে। গ্রেশামের তত্ত্বেরমতো- খারাপ টাকা যেমন ভাল টাকাকে বাজারথেকে হটিয়ে দেয়, ঠিক তেমনি গুরুত্বপূর্ণ পদে ভুল নিয়োগ এবং দলীয়বিবেচনার মাধ্যমে নিয়োগ ভালো শিক্ষক তৈরিতে এবং ভালো ছাত্র-ছাত্রী তৈরিতেকঠিন বাধার সৃষ্টি করে। এক পর্যায়ে বিষয়টি দুষ্টচক্রে (vicious cycle) পরিণত হয়। দলীয় ভোটব্যাঙ্ক তৈরিহয় বটে, কিন্তু আদতে রাষ্ট্র, সমাজ, পরিবার-পরিজন,এবং রাজনৈতিক দল ও সরকার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবেক্ষতিগ্রস্ত হয়। একজন ভুল শিক্ষক নিয়োগের পরিণাম রাষ্ট্র, সমাজ ও সরকার কয়েক যুগ ধরে বহন করে। এই বিষয়টিআমরা প্রায়ই মনে রাখি না। গুটিকয়েক শিক্ষকদের পদ-কেন্দ্রিক দলীয়করণও শিক্ষার্থীদের নিজের স্বার্থে ব্যবহারকরণেরদায় বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা সরকারের বহনকরার আদৌ কোন প্রয়োজন আছে কিনা ভেবে দেখা দরকার।
এখনআসি মূল কথায়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকেকেন্দ্র করে নতুন আন্দোলন এবং ছাত্রলীগের কিছু নেতৃত্বের অযাচিত ব্যবহার বাংলাদেশেরসামগ্রিক শিক্ষাব্যবস্থার দুর্বলতাও শিক্ষার অবকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে দুর্নীতিপরায়নতাকেই প্রকাশ করে। এটাও দেখা গেছে যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনগুলিতেপ্রায়ই ব্যক্তিস্বার্থের রাজনীতি জড়িত থাকে। সামগ্রিকশিক্ষকদের স্বার্থের প্রতিফলন এসব আন্দোলনে সাধারণতদেখা যায় না। দলীয় এবং ব্যক্তি স্বার্থের এই আন্দোলনগুলির দায়-দায়িত্ব কোনওঅবস্থাতেই সকল শিক্ষকের উপর বর্তায় না। এটা শিক্ষকদেরজন্য এক ধরনের অস্বস্তির বিষয়,সরকারের সর্বোচ্চ মহলের জন্য তো অবশ্যই। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতই, খোদ সরকারদলীয়পন্থি কিছু শিক্ষক নিজেরাই নিজেদের মধ্যে বিভেদএবং গ্রুপিং তৈরি করে রেখেছেন। এটা নতুন কিছু নয়। অতীতে অন্যান্য সরকার যখন ছিল তখন তাদের মদদপুষ্ট কিছু শিক্ষকএকই ঘটনা ঘটিয়েছিলেন। তবে, ২০১৮ পরবর্তীনির্বাচন সময়ে এই দলীয়করণের বিভেদ,অনৈতিকভাবে পদ পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা, এবং দুর্নীতির ভাগবাটোয়ারা নিয়ে প্রকাশ্য কোন্দল সীমাহীনভাবে প্রকাশ পাচ্ছে।
বাংলাদেশেরপ্রথম মহিলা উপাচার্য এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানাইসলাম তার মেয়াদকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য চৌদ্দশ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছেনতা নিঃসন্দেহে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভূতপূর্ব উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক অর্থনৈতিক বাস্তবতায় এত বিপুল অর্থ ব্যয় করারআগে বিভিন্ন মহল বিভিন্ন রকমের অনৈতিক সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করবে এটাই স্বাভাবিক। এতে আশ্চর্য হবার কিছুই নেই। একারণে শিক্ষকদেরআশঙ্কা যেমন মোটেও অমূলক নয়,তেমনই উপাচার্যের মত একটি সম্মানিত পদকেবারবার অবমাননা করার প্রয়োজনও নেই। বাংলাদেশ সরকার যখন একটি গুরুত্বপূর্ণটার্নিং পয়েন্টে থাকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েতখনই একধরনের উপাচার্যবিরোধী আন্দোলন হয়ে থাকে। এই বিষয়টিওমাথায় রাখা দরকার। এটাও মনে রাখা দরকার, কোনবিশ্ববিদ্যালয়ই কোন একটি দলের বা ব্যক্তির স্বার্থের জায়গা নয়। এটি রাষ্ট্রের জন্য যোগ্য মানবসম্পদ ও সমাজের নৈতিক নেতৃত্ব তৈরিরজায়গা। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমাজের অবহেলিত জনগোষ্ঠী থেকে শুরু করে উচ্চ পর্যায়ের সকলের সন্তানের জন্য উন্মুক্ত। এখানে সামাজিক বা রাজনৈতিক শ্রেণিকরণের কোনও সুযোগ থাকা উচিত নয়।
উপাচার্যতার সর্বোচ্চ যা করণীয় করেছেন বলে বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণার মূল কাজে ফিরে যাওয়ার জন্যচৌদ্দশ কোটি টাকার বরাদ্দ পেয়েছে। এটা বলা বাহুল্য যে, উপাচার্যকে রাজনৈতিক প্রভাবসম্পন্ন শিক্ষক, কর্মচারী, কিংবা রাজনৈতিক নেতাদেরসাথে সমন্বয় করে প্রশাসন চালাতে হয়। এই বাস্তবতা বোধ করি কোন শিক্ষকের বা নীতিনির্ধারকের পক্ষে অস্বীকারকরা সম্ভব নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বর্তমান দুর্নীতিবিরোধী পদক্ষেপের আগেপর্যন্ত চৌদ্দশ কোটি টাকার বাজেট স্বাভাবিকভাবেই এই রাজনৈতিক প্রভাব সম্পন্ন ইন্টারেস্টগ্রুপগুলোকে বাদ দিয়ে বাস্তবায়ন করাটা কঠিন এবং অনেকক্ষেত্রেই দুরূহ ছিল। প্রধানমন্ত্রীর বর্তমান দুর্নীতিবিরোধীঅবস্থান আমাদেরকেআশ্বস্ত করে যে শীঘ্রই হয়তোবা আমরা একটি বড় ধরনের সামগ্রিক দুর্নীতিবিরোধী অভিযান প্রশাসনএবং শিক্ষাঙ্গনে দেখতে পাব। ফলে আমি আশাবাদী যে বর্তমান উপাচার্যএকনিষ্ঠভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য কাজ করার সম্পূর্ণ সুযোগ পাবেন।
উপাচার্যএই ধরনের বৃহৎ পরিসরের প্রকল্প গ্রহণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত অংশীজনদের সাথেআলোচনা ও পরামর্শ করবেন বলে জানিয়েছেন। এটার জন্য তিনি সাধুবাদের দাবি রাখেন। তার সাথে আমি মনে করি উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্নশিক্ষক, পরিবেশবিদ,স্থপতি, শিক্ষাবিদ, কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর,এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রতিনিধিদেরনিয়ে একটি ওভারসাইট কমিটি তৈরি করে দিতে পারেন। এই ওভারসাইটকমিটি প্রকল্প বাস্তবায়ন,গুণগত মান নিশ্চিতকরণে, এবং স্থপতি মাজহারুল ইসলামের অমর পরিকল্পনার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নেপ্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিতে পারে। আমার মনে হয় সকল শিক্ষক একমত পোষণকরবেন।
পরিশেষেএটা বলা যায়, বাংলাদেশসরকারের অনেকগুলো দপ্তর আছে যারা প্রধানমন্ত্রীকে যথাযথ তথ্য প্রেরণ করে থাকে। ফলে, কোনো নির্দেশনাই শুধু ব্যক্তির তথ্য বাআন্দোলনের উপর নির্ভরশীল থাকেনা। এই বিষয়গুলির নিরিখে সরকার উপাচার্যেরভূমিকা, ছাত্রলীগের বিগত কমিটিরনেতাদের অবস্থান, এবং বর্তমান আন্দোলনের সাথে জড়িত শিক্ষকদের অবস্থান যথাযথভাবেপর্যালোচনা করেছেন বলে ধারণা করা যায়। বর্তমান উপাচার্য যদি পদত্যাগও করেন ভবিষ্যৎউপাচার্যের বিরুদ্ধে এই ধরনের আন্দোলন আবার হবে না তার কোন নিশ্চয়তা আন্দোলনরত শিক্ষকরাহয়তো দিতে পারবেন না। অতীতেও পারেননি। উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিটি এই মুহূর্তে কতটুকু যৌক্তিক তা ভেবেদেখা দরকার।
ফলে, উপাচার্য পদের মত একটি সম্মানিত পদকে বারবার বিতর্কিত না করেবরং এই পদটিতে ভবিষ্যৎ নিয়োগের ক্ষেত্রে কীপরিবর্তন আনা যায় তা নিয়ে বিতর্ক হওয়াপ্রয়োজন। আমার ধারণা এই বিতর্কটি বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়েআনতে সহায়ক হবে। এই বিতর্কে সমাজের সকল অংশীজনের উপস্থিতি নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এই মুহূর্তে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার সংস্কৃতিতেফিরে যাওয়ার জন্য উপাচার্য এবং সকল শিক্ষকদেরমতৈক্যের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নেরকাজ করাও জরুরি। শিক্ষক হিসেবে আমরা বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ, বিশ্ববিদ্যালয় দায়বদ্ধ জাতির কাছে। এই উপলব্ধিটি হোক আমাদের সম্মিলিতভাবেএগিয়ে যাওয়ার মূলমন্ত্র।