Published : 05 Sep 2020, 05:49 PM
কর্নেল আবু ওসমান চৌধুরী, মুক্তিযুদ্ধের আট নম্বর সেক্টরের কমান্ডার, আজ চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন স্বাধীনতা পদকে সম্মানিত একাত্তরের রণাঙ্গনের এ বীর যোদ্ধা। গতকালও তার কন্যার আকুতি ছিল সিঙ্গাপুরে নেওয়ার জন্য সরকারি সহযোগিতার, সব আকুতি ও চিকিৎসকদের নিরলস প্রচেষ্টাকে উপেক্ষা করে তিনি আজ চলে গেলেন। একাত্তরে তিনি ছিলেন ইপিআর-এর চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলের দায়িত্বে, একাত্তরের সেই উত্তাল মার্চের ২৬ তারিখেই তার অধীনস্থ একদল সৈনিককে নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন মুক্তির সংগ্রামে। একজন সেনাকর্মকর্তা হলেও তিনি ছিলেন জনবান্ধব।
১৯৩৬ সালের ১ জানুয়ারি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার মদনেরগাঁও গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আবু ওসমান চৌধুরী। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে পড়ার সময়ে জড়িয়ে পড়েন ছাত্রলীগের রাজনীতিতে, পরবর্তীতে এ কলেজ থেকেই বিএ পাস করার পর ১৯৫৮ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কমিশন পান। ১৯৬৮ সালের এপ্রিল মাসে তিনি পদোন্নতি পেয়ে মেজর হন।
একাত্তরের ২৫ মার্চ রাতে যখন ঢাকায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বর্বর হত্যাযজ্ঞ অপারেশন সার্চলাইট শুরু হয়, সেই খবর আবু ওসমান চৌধুরী পান কুষ্টিয়া সার্কিট হাউজে বসে। সে সময় তিনি ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস-এর চতুর্থ উইংয়ের কমান্ডার হিসেবে চুয়াডাঙ্গার দায়িত্বে। পরদিন ২৬ মার্চ সকালে তিনি কুষ্টিয়া থেকে চুয়াডাঙ্গায় পৌঁছান এবং বিদ্রোহ ঘোষণা করে তার অধীনস্থ একদল সৈনিককে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। পরে তাকে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে মুক্তিযুদ্ধের ৮ নম্বর সেক্টর কমান্ডারের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রীপরিষদ গঠিত হলে আবু ওসমান চৌধুরী এক প্লাটুন সৈন্য নিয়ে মন্ত্রীপরিষদকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন।
২০১৪ সালে আবু ওসমান চৌধুরীকে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করা হয়। তার স্ত্রী নাজিয়া ওসমানও রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারকে খাবার ও পানীয়, টাকাপয়সা পৌঁছে দেওয়া এবং প্রয়োজনে ওষুধপত্রের ব্যবস্থা করা, অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ পাহারা দেওয়ার মতো কাজ করেছেন সাহসিকতার সঙ্গে। এক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধে যোগদানকারী অন্যান্য সিনিয়র সেনাকর্মকর্তাদের স্ত্রীদের থেকে ব্যতিক্রম ছিলেন নাজিয়া ওসমান। তাই নাজিয়া ওসমানকেও মুক্তিযোদ্ধার সম্মানে সম্মানিত করা হয়।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আবু ওসমান চৌধুরীকে লেফটেন্যান্ট কর্নেল হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হয়, বঙ্গবন্ধু তাকে আর্মি সার্ভিস কোরের (এএসসি) পরিচালকের দায়িত্ব দেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর বন্দিদশা থেকে জিয়াকে মুক্ত করার লক্ষ্যে তাহের পরিচালিত সেনা অভ্যুত্থানের সময় একদল সেনা সদস্য আবু ওসমান চৌধুরীকে হত্যার জন্য তার গুলশানের বাড়িতে হামলা করে। বাড়িতে না থাকায় তিনি সেদিন প্রাণে বেঁচে গেলেও নিহত হন তার স্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা নাজিয়া ওসমান।
আবু ওসমান চৌধুরী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে গণ-আদালত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তিনি সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যানের পদও অলংকৃত করেন। ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে আবু ওসমান চৌধুরীকে বিজেএমসি'র চেয়ারম্যান করা হয়। পরবর্তীতে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ফের সরকার গঠন করার পরে তাকে চাঁদপুর জেলা পরিষদের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব দেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। স্বাধীনতাযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য কোনো বীরত্বসূচক খেতাব না পেলেও ২০১৪ সালে আবু ওসমান চৌধুরীকে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করে সরকার।
মুক্তিযুদ্ধে অন্যান্য সেনাকর্মকর্তাদের মধ্যে সবার আগে যোগ দিয়েও এবং কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলে বিশেষ বীরত্ব দেখানোর পরেও ঠিক কী কারণে তিনি বীরত্বের খেতাব থেকে বঞ্চিত হন? এক অন্তরঙ্গ আলাপকালে এ প্রশ্ন করেছিলাম তার কাছে। তিনি সেনাকর্মকর্তার পেশাদারিত্বের খাতিরেই এড়িয়ে গিয়েছিলেন, তবে জেনারেল শফিউল্লাহ ও এ কে খন্দকারের সঙ্গে তার শীতল সম্পর্কের বিষয়েও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন সেই আলোচনায়। খেতাব প্রদানকারী কমিটির চেয়ারম্যান এ কে খন্দকার যে তার প্রতি তেমন একটা খুশি ছিলেন না সেটা স্পষ্ট।
আবু ওসমান চৌধুরী শুধু একাত্তরের রণাঙ্গনেরই যোদ্ধা ছিলেন না, তিনি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ-নির্ভর আন্দোলন-সংগ্রামে আমাদের মশালবাহী পথপ্রদর্শক। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি রোধে তিনি বরাবরই সরব ছিলেন। ২০১৪ সালের অগাস্টে যখন এ কে খন্দকারের বিকৃত বই '১৯৭১ : ভেতরে বাইরে' প্রকাশিত হয় এবং সেপ্টেম্বরের ২ তারিখে যখন সেই বইয়ের প্রকাশনা উৎসব হয় তখন মুক্তিযুদ্ধে যোগদানকারী সিনিয়র সেনাকর্মকর্তাদের মধ্যে সবার প্রথমে প্রতিবাদ করেন তিনি। ২০১৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর আমার আহবানে একটি ভিডিও বক্তব্য প্রদান করেন তিনি আমাকে। পরবর্তীতে ওই বছরের ডিসেম্বরে প্রকাশিত হয় এ কে খন্দকারের বইটির কাউন্টারে আমার সম্পাদিত বই "এ কে খন্দকারের ১৯৭১ : ভেতরে বাইরে' – ইতিহাস বিকৃতির পাঠোদ্ধার"। সেই ভিডিও থেকে শ্রুতিলিখন করে তার বক্তব্য প্রকাশিত হয় আমার সেই বইতে। তার সেই ভিডিও বক্তব্য সেই সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচার পেতে থাকে। তার সেই বক্তব্য পুরোটাই পাঠকের জন্য তুলে দিলাম:
"কিছুদিন পূর্বে এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) এ কে খন্দকারের একটা বই '১৯৭১ : ভেতর বাইরে'-এর প্রকাশনা উৎসব হয়েছে। আমি অবশ্য প্রকাশনা উৎসবে ছিলাম না। পরদিন সকালে যা দেখলাম তাতে দেখা গেলো যে, উনি (এ কে খন্দকার) ইতিহাসকে জ্ঞাতে হোক কিংবা অজ্ঞাতে বিকৃত করে ফেলেছেন। সবচেয়ে বড় যে ঘটনাটা তা হলো বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের বক্তব্যের বিকৃতি। যে বক্তব্যের শেষে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন 'জয় বাংলা'। 'জয় বাংলা' দিয়েই তিনি ভাষণ শেষ করেছিলেন। কিন্তু খন্দকার ভাই তার বইতে লিখেছেন যে, বঙ্গবন্ধু 'জয় পাকিস্তান' দিয়ে ভাষণ শেষ করেছিলেন। এটা শোনামাত্রই বিষয়টা আমার কাছে বেখাপ্পা মনে হলো। যে বক্তব্য বঙ্গবন্ধু রেখেছেন তার সাথে পাকিস্তানের পক্ষের কোন কথা আসতে পারে না। এটা কি করে উনি লিখলেন? এটা যদি সত্য বলে উনি মনে করেন তবে তেতাল্লিশ বছর ধরে চলে আসা এই ঘটনা কেন এতদিন জানাননি? যখন অন্যেরা ভাষণের শেষে 'জয় বাংলা' বলা হয়েছে বলে ঐতিহাসিক সত্যটি মেনে নিচ্ছেন, তখন কেন উনি (এ কে খন্দকার) তার প্রতিবাদ করেননি? এখন তিনি একটা বই ছাপিয়ে সবাইকে জানাচ্ছেন যে বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণের শেষে 'জয় পাকিস্তান' বলেছিলেন। এটাকে আমি মনে করি তারেক রহমান লন্ডনে বসে যে ইতিহাস বিকৃতি করছেন তার সাথে উনার (এ কে খন্দকার) সুর মিলে যাচ্ছে। এটা খুবই দুঃখজনক ব্যাপার। এটা কেন, কী জন্য বা কী কারণে করছেন তা উনিই (এ কে খন্দকার) ভালো জানেন।
আমার যতটুকু মনে পড়ে সেদিন পত্রিকায় দেখেছি যে, সারোয়ার আলী যিনি মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরের একজন ট্রাস্টি তিনি বলেন যে, 'এই বইয়ের কিছু অংশ বিতর্কের জন্ম দিতে পারে। তবে ভিন্ন মত থাকলেও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নির্মাণের যে অসম্পূর্ণতা ছিল তা বইটি দূর করবে।' এ বক্তব্যের মধ্য দিয়ে তিনি না ঘরের না বাইরের মত, মাঝামাঝি মত প্রকাশ করেছেন। শেষের দিকে তিনি আবার নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে বলেছেন, বইয়ের কিছু বক্তব্য তার কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি।
বইয়ের ৩২ পৃষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের শেষে যে 'জয় পাকিস্তান' বলার উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, 'আমাদের কাছে দুটি প্রামাণিক দলিল আছে যাতে এই শব্দ দুটি নেই। তাই ধারণা হচ্ছে যিনি খন্দকারকে এই তথ্য দিয়েছেন হয়তো তিনি সঠিক তথ্য দেননি।' আমি বলবো হয়তো নয় উনি সঠিক তথ্য দেননি, মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। ইতিহাসকে বিকৃত করার উদ্দেশ্যেই তিনি এই মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। তা নাহলে এত বৎসর পর্যন্ত যে বিষয়টি আমরা দেখা-শোনা কিংবা পড়ার মধ্য দিয়ে ঐতিহাসিক সত্য বলে গ্রহণ করে আসছি, যেটিকে সংসদেও গ্রহণ করা হয়েছে, সংবিধানেও গ্রহণ করা হয়েছে, সেটিকে এত বৎসর কেন শনাক্ত করে আমাদের ভ্রান্তি ধরিয়ে দেননি?
'এবারের সংগ্রাম স্বধীনতার সংগ্রাম' নামে আমার একটি বই প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৯১ সালের ৭ মার্চ। ৭ মার্চ প্রকাশ করার মূল কারণ, ৭ মার্চের ভাষণই বঙ্গবন্ধুর শেষ নির্দেশ বা ঘোষণা বলে আমি মনে করেছিলাম। আমি মনে করি সেদিনের সেই ভাষণ ছিল বহুলাংশেই কূটনৈতিক বার্তার মত। রেসকোর্স ময়দান যা বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান হিসেবে পরিচিত পাকিস্তানি সরকার কড়া দৃষ্টি রেখেছিল, যদি সেদিন সরাসরি স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়া হত তবে তারা সেদিন শেলের পর শেল নিক্ষেপ করে লক্ষ লক্ষ মানুষকে হত্যা করতো। তখন বিশ্বের মানুষের কাছে বার্তা যেত যে বাঙালিরাই প্রথম আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে এবং পাকিস্তানিরা সেটির প্রতিরোধ করেছে। কিন্তু এটি বঙ্গবন্ধু চাননি এবং সেটি আমাদের জন্যও কৌশলগতভাবে সঠিক হতো না। যদি আমরা সেটা করতে চাইতাম তাহলে আমরা একদিন কিংবা এক ঘন্টার মধ্যে পাকিস্তান সেনানিবাস অধিকার করে ফেলতে পারতাম। কিন্তু সারা বিশ্বে আমরা এটার পক্ষে কোন সমর্থন পেতাম না। তখন আমরা আরও বেশি অসুবিধায় পড়ে যেতাম। এই ঘটনা এড়াবার জন্যই আমরা অপেক্ষা করছিলাম। চাইছিলাম আগে পাকিস্তানিরা আঘাত করুক তারপরে আমরা আমাদের বক্তব্য দিব। সে অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা রেকর্ড করে রাখেন এবং সেটি তখনই প্রচারিত হবে বলে সিদ্ধান্ত নেন যখনই পাকিস্তানিরা আমাদেরকে আঘাত করবে। এবং দেখা গেল যে পাকিস্তানিদের আক্রমণ শুরু হওয়ার পরপরই সেই বক্তব্য সম্প্রচারিত হতে শুরু করলো। এই বিষয়টি সম্পর্কে পাকিস্তানিরাও নিশ্চিত হয়েছিল। তাহলে আজ তেতাল্লিশ বছর পর এ কে খন্দকার কেন তার বইতে এ বিষয়গুলি প্রকাশ করছেন? মিমাংসিত সত্য নিয়ে এই মিথ্যাচারিতার জন্য দেশ জাতি ও সারা বিশ্বের কাছে তাকে পরিষ্কারভাবে জানাতে হবে। তা নাহলে এমন হতে পারে সবাই দাবি করবে যে, এ কে খন্দকারকে দেশ ও জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।" (তথ্যসূত্র: রুদ্র সাইফুল সম্পাদিত "এ কে খন্দকারের ১৯৭১ : ভেতরে বাইরে' – ইতিহাস বিকৃতির পাঠোদ্ধার")
এ কে খন্দকারের বিকৃত বইয়ের প্রতিবাদে আবু ওসমান চৌধুরীর এ বক্তব্যের পরে নাখোশ হয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধে জড়িত কিছু সিনিয়র সেনাকর্মকর্তারা। কিন্তু আবু ওসমান চৌধুরী ছিলেন তার বক্তব্যে অনড়। বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের প্রতি অবিচল আস্থা থেকেই তিনি ইতিহাস বিকৃতির বিরুদ্ধে অনড় অবস্থান ব্যক্ত করেন।
আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কাজ করি, তিনি আমাদের অভিভাবকতূল্য। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কাজ করতে গিয়ে বিভিন্ন ক্রাইসিস মুহূর্তে তার দিকনির্দেশনা পেয়েছি সবসময়। তিনি ছিলেন চির তারুণ্যের প্রতিনিধি। সবসময় তরুণ গবেষকদের স্নেহডোরে স্থান দিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কাজ করতে গিয়ে তার অপার স্নেহ পেয়েছি আমি, সময়ে অসময়ে তিনি ফোন করে খোঁজ নিতেন। তাকে নানা বলে ডাকতাম। আজ তার মৃত্যুতে আমাদের অনেক বেশি ক্ষতি হয়ে গেল। এ করোনাকালে ক্রমশ আমাদের আত্মপরিচয়ের ইতিহাসের কারিগরদের চলে যাওয়া আমাদের বিষণ্ন করে। আবু ওসমান চৌধুরীর মৃত্যুতে তার প্রতি রইল বিনম্র শ্রদ্ধা।