Published : 23 Jun 2024, 05:35 PM
টানা চারবার নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। বর্তমান প্রজন্মের কাছে অনেকটা এভাবেই পরিচিত আওয়ামী লীগ। সাংগঠনিকভাবে দক্ষ, রাজনৈতিক দল হিসেবে টানা চারবার সরকার গঠন করা, আন্তর্জাতিক অঙ্গনের কূটনীতিতে সফল, দেশের অভ্যন্তরে উন্নয়ন থেকে শুরু করে এমন অনেক বিষয় নিয়ে আলোচিত আওয়ামী লীগ ৭৫তম বর্ষপূর্তি করছে ২৩ জুন। কিন্তু দলীয় এই সফলতার পেছনে ৭৫ বছরের দীর্ঘ সংগ্রম, ত্যাগ, নির্যাতনের শিকার হওয়াসহ অসংখ্যবার স্বৈরাচারী সরকারের দমন-পীড়নের শিকার আওয়ামী লীগের কথা এখন ভুলতে বসেছে মানুষ। সেই আওয়ামী লীগ, যার ওপর জন্ম থেকেই রাষ্ট্রীয় শোষণ চালিয়েছে পাকিস্তান। কিন্তু এ দেশের মানুষের ম্যান্ডেট নিয়ে দীর্ঘ সংগ্রাম শেষে এই দলটির হাত ধরেই স্বাধীনতা লাভ করেছি আমরা।
বাংলাদেশ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও আওয়ামী লীগ– ইতিহাসের একই সুতোয় গাঁথা। যে কোন একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করে অন্য বিষয়টি উহ্য রাখা সম্ভব নয়। আর এ কারণেই দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে যখন বাংলাদেশ দ্রুত উন্নতি করছে তা থমকে দিতেই ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট হত্যা করা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। তাদের অবশ্য লক্ষ্য কেবল শেখ মুজিবকে হত্যা করা ছিল না। তাদের লক্ষ্য ছিল মুক্তিযুদ্ধ তথা বাংলাদেশের চেতনাকে হত্যা করা। এ দেশের গর্বিত মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে ভুলুণ্ঠিত করা। আর এ কারণে বঙ্গবন্ধুর পাশাপাশি তার পরিবারের সকল সদস্যকে হত্যা করা হয়। হত্যা চেষ্টা করা হয় বিদেশে থাকার কারণে রক্ষা পাওয়া বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে। এমনকি শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টা করা হয় ১৯ বার! সেই সঙ্গে ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট থেকে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার জন্য রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে নির্যাতন, হত্যা, গুম, প্রলোভন থেকে শুরু করে এমন কোন শোষণযন্ত্র নেই যা ব্যবহৃত হয়নি। কারণ বাংলাদেশের গর্বের ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও বাংলাদেশের চেতনাকে হত্যার করতে হলে আওয়ামী লীগকে হত্যা করা ছাড়া তা সম্ভব ছিল না।
সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতাদের একাধিক ভিডিও বার্তা দেখলাম। কিভাবে ১৯৭৫ সালের পর তারা নিজ বাড়ি-ঘর ছেড়ে বনে-জঙ্গলে পালিয়ে ছিলেন। অন্যায়ভাবে বছরের পর বছর জেলে বন্দি করে রাখা, স্বৈরচারী শাসকের অন্যায্য দাবি মেনে নিতে জেলে থাকা অবস্থায় নেতাকর্মীদের বাধ্য করা, এরপরও আওয়ামী লীগের প্রতি অনুগত থাকলে তাদের গুপ্ত হত্যা বা পালিয়ে বেড়ানো ছাড়া ভাগ্যে আর কিছু ছিল না।
১৯৪৯ সালে ঢাকার রোজ গার্ডেনে আওয়ামী লীগের জন্মই হয় স্বৈরচারী পাকিস্তানের শোষণের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে। গণমানুষের ম্যান্ডেট নিয়ে কাজ করতে যখন ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগের পর সম্পূর্ণ ব্যর্থতার পরিচয় দেয় মুসলিম লীগ নেতারা, ঠিক তখন আওয়ামী লীগ এই দেশের মানুষের ম্যান্ডেট নিয়ে সংগ্রম করে যায়। ৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, যুক্তফ্রন্ট সরকার গঠন এরপর পাকিস্তানের শোসকগোষ্ঠী যখন রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করল, তখন ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে চাকরি নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সফর করে আওয়ামী লীগকে সাংগঠনিকভাবে সক্রিয় করতে শেখ মুজিবুর রহমানের বুদ্ধিদৃপ্ত সব পদক্ষেপ– এ সবই ছিল সাধারণ মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দেবার লড়াই। এই লড়াইয়ে মানুষ যখন সাড়া দিতে শুরু করে, তখনই ভয় পেয়ে শাসকগোষ্ঠী রচনা করে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা। এরপর ৬ দফ, ১১ দফা এবং ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের কথা আমরা সকলেই জানি। কেবল মাত্র আওয়ামী লীগের মতো একটি রাজনৈতিক দল ও তার নেতৃত্বে শেখ মুজিবুর রহমান থাকাতে এ সব কিছু সম্ভব হয়েছিল। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ যদি সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে ব্যর্থ হতো, তাহলে কী আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেতাম? এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের কারণেই ১৯৭১ সালের যুদ্ধকালে ও যুদ্ধ শেষে স্বাধীন বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রদানের ক্ষেত্রে নৈতিক ভিত্তি রচিত হয়। যেখানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়গুলো মেনে নেয় যে, পাকিস্তান তার একটি অংশের মানুষের নির্বাচিত দলকে ক্ষমতা প্রদান করেনি। যার পক্ষে ওই অংশের সকল মানুষের একনিষ্ঠ সমর্থন ছিল। আর এ কারণেই তারা স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছে পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙ্গে। এই দীর্ঘ ২১ বছর সংগ্রামে আওয়ামী লীগের কত নেতাকর্মী শহীদ হয়েছে, কতজন সর্বস্বান্ত হয়েছে রাষ্ট্র যন্ত্রের অত্যাচারে তার হিসেব কি জানা আছে কারো? এই দলটির শীর্ষ নেতা শেখ মুজিবুর রহমান যে দীর্ঘ সময় জেলে থেকেছেন তা থেকেই অনুমান করা যায়, বাকি নেতাকর্মীদের ওপর কেমন নির্যাতন চালিয়েছে শোষকরা। কিন্তু সেই সব অত্যাচার নিপীড়নের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে সফল হয় আওয়ামী লীগ। কিন্তু সদ্য স্বাধীন দেশেও অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয় এই দলটি ও দলের নেতাকর্মীরা। দীর্ঘ ২১ বছরের সংগ্রম শেষে প্রকৃত অর্থে মাত্র ৩ বছর ক্ষমতায় ছিল আওয়ামী লীগ। যার পর আবারও শুরু হয় দলটিকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার ষড়যন্ত্র।
১৯৮০ সাল পর্যন্ত প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগ বা বঙ্গবন্ধুর নাম নেওয়া অলিখিতভাবে নিষিদ্ধই ছিল। ফলে এসব বাঁধা প্রতিহত করে রাজনীতির মাঠে ঘুরে দাঁড়ানো মোটেও সহজ ছিল না দলটির জন্য। এমন প্রেক্ষাপটে ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। তিনি দলের হাল ধরলেন। ঘাতকরা মনে করেছিল, বঙ্গবন্ধু পরিবারের সব সদস্যকে হত্যার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।
পরে প্রবাসে প্রাচীন সংগঠনটির সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে শেখ হাসিনা যেন আওয়ামী লীগের নবজন্ম দেন। দলীয় সভাপতি হিসেবে দেশে ফিরে কয়েক ভাগে বিভক্ত আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। তার ধীশক্তি, দৃঢ়তা, লক্ষ্য স্থিরে বিচক্ষণতা, সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক দূরদর্শিতা আওয়ামী লীগকে বর্তমান অবস্থায় নিয়ে এসেছে।
আশির দশকে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে আওয়ামী লীগের ঐতিহাসিক ভূমিকা এ দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের একটি মাইলফলক।
নানা সঙ্কটের পর ১৯৯৬ সালে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। এ সময় খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তিসহ ১৯৯৮ সালের ঐতিহাসিক দুর্যোগ বন্য মোকাবেলা করেছে দলটি। কিন্তু তারপর আবারও শুরু হয় দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র।
নির্বাচনে ক্ষমতায় আসতে আমেরিকার কথা মতো ভারতে গ্যাস রপ্তানির মুচলেকা দিয়েছিল বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার। আর এভাবেই ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় তারা। তবে ওই সময় আমেরিকার সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। আর এতেই ওই নির্বাচনে পরাজয় হয় আওয়ামী লীগের।
এ নির্বাচনে পরাজয়ের পর সংখ্যালঘুদের ওপর বিএনপি-জামায়াতের তাণ্ডব বাড়তে থাকে। সেইসঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ওপর নির্যাতন আরও তীব্র হতে থাকে। বিএনপির ওই শাসনামলেই আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি আহসানউল্লাহ মাস্টারকে সন্ত্রাসীরা ব্রাশফায়ারে হত্যা করা হয়। এছাড়া সাবেক অর্থমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা শাহ এ এম এস কিবরিয়াকে তার তিনসহযোগীসহ হবিগঞ্জে বোমা মেরে হত্যা করা হয়। সেইসঙ্গে ঘটে ২১ অগাস্ট গ্রেনেড হামলার মতো ভয়াবহ ঘটনা।
২০০১ সালের অক্টোবরের নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাত্রদল ও শিবিরের দখলে চলে যায়। নির্বাচনের একদিন অক্টোবরের ২ তারিখ ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের হল দখল করে নেয়। ওই সময় আওয়ামী লীগকে সভা-সমাবেশে বাধা, নেতা-কর্মী, সমর্থকদের হত্যা, নির্যাতন-নিপীড়নের ঘটনায় মামলাও নেয়া হতো না। উল্টো বাদীপক্ষকে পড়তে হতো পুলিশি হয়রানির মুখে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ তুলে নিতে হুমকি, বাড়ির নারী সদস্যদের তুলে নেয়াসহ নানারকম নিপীড়নের শিকার হতে হয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের। এই পুরো ৫ বছরে আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়।
২০০১ সালে নির্বাচনে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবার পরে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের অবসরের বয়সসীমা বাড়িয়ে সংবিধানে একটি বড় সংশোধনী আনে বিএনপি সরকার। অভিযোগ রয়েছে, নিজেদের পছন্দের প্রধান বিচারপতিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে রেখে নির্বাচনের সময় সুবিধা আদায়ের জন্য এই কাজ করেছিল বিএনপি সরকার। এর বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলে তখনকার বিরোধী দল আওয়ামী লীগ। বিএনপির ক্ষমতা ধরে রাখার অপচেষ্টার কারণে ২০০৬ সালের পর বাংলাদেশে দুই বছর অনির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় ছিল। সেনা সমর্থক তত্ত্বাবধায়ক নামের ওই সরকার আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাসহ দলটির শীর্ষ নেতাদের জেলে পাঠায়। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম মিথ্যা মামলা দিতে থাকে। তবে আওয়ামী লীগের আন্দোলনের ঐতিহ্য ও নেতা-কর্মীদের দৃঢ়তার কাছে টিকতে পারেনি দেশবিরোধী এই অপশক্তিগুলো। আওয়ামী লীগের আন্দোলনের কারণেই ২০০৮ সালে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়। যেখানে বিপুল ভোটে জয় লাভ করে দলটি। তখন থেকেই উন্নয়নের মহাসড়কে চলছে এক সময়ের তলাবিহীন ঝুড়ির দেশ বাংলাদেশ।
এরপর ২০০৮ সালের নির্বাচনেও বিপুল ভোটে জয়ী হয় মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দলটি। এটি সম্ভব হয় জাতির প্রতি আওয়ামী লীগের অঙ্গীকার আর দায়বদ্ধতার কারণে। এরপর থেকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে বাংলাদেশকে বিশ্বে মর্যাদার আসনে আসীন করেছেন। তার উদ্যোগের ফলেই অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল।
৩০ লাখ শহীদের প্রাণ, লক্ষ-লক্ষ মা-বোনের অশ্রু, সম্ভ্রম ও রক্তের বিনিময়ে জন্ম নেওয়া এই বাংলাদেশকে আজকের অবস্থানে আসতে অতিক্রম করতে হয়েছে হাজারো প্রতিবন্ধকতা। যুদ্ধবিধ্বস্ত, প্রায় সর্বক্ষেত্রে অবকাঠামোবিহীন সেদিনের সেই সদ্যোজাত জাতির অর্জনের পরিসংখ্যানও অপ্রতুল নয়।
সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এমডিজি) ৮টি লক্ষ্যের মধ্যে শিক্ষা, শিশুমৃত্যুহার কমানো এবং দারিদ্র্য হ্রাসকরণের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি প্রদর্শন করতে সক্ষম হয়েছে বয়সে পঞ্চাশের কাছাকাছি থাকা দেশটি। যার অবদান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার নেতৃত্বাধীন দল আওয়ামী লীগের।
একটি দেশের উন্নয়নের অন্যতম পূর্ব শর্ত স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ, যা বাংলাদেশে বিরাজ করছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্ববিনোয়োগেরও অন্যতম কেন্দ্র। এখানে রয়েছে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল, তৈরি করা হচ্ছে হাইটেক পার্ক। আমাদের রয়েছে পদ্মাসেতৃ, কর্নফুলী টানেল, মেট্রোরেলসহ আরও অনেক কিছু। এক কথায় বলতে গেলে তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বর্তমানে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতির টাইগারে পরিণত হয়েছে। নিম্ন আয়ের দেশ থেকে আমরা এসেছি মধ্যম আয়ের দেশে। এক কথায় দেশের উন্নয়ন হচ্ছে সর্বক্ষেত্রে। এর একমাত্র কারণ বাংলাদেশের জন্ম, চেতনা ও মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে যে দলটির নাম ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে তারাই আজ ক্ষমতায়। অবশেষে ১৯৭১ সালের ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার প্রকৃত অর্থ খুঁজে পেয়েছি আমরা। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ আজ বিশ্বের বুকে বাংলাদেশকে আত্মমর্যাদাশীল এক রাষ্ট্র হিসেবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে।