Published : 09 Jun 2025, 07:33 PM
করোনাভাইরাসের নতুন উপধরনের সংক্রমণ মোকাবিলায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রুহুল কবির রিজভী।
সোমবার দুপুরে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সামনে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব এ বিষয়ে কথা বলছিলেন।
তিনি বলেন, ‘‘আমরা তখন (মহামারীর সময়) জানতে পেরেছিলাম যে, ঢাকা সিটির কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতাল ছাড়া কারও সামর্থ্য ছিল না অক্সিজেন (দেওয়ার) এবং করোনাভাইরাসের কিট বা অন্যান্য সরঞ্জামাদি সেগুলোর কোনো কিছুই যথেষ্ট ছিল না। এখন যদি পরে কোনো সংক্রমণের ঢেউ আসে তাহলে সেই ঢেউ মোকাবেলার জন্য আপনার যে জীবনরক্ষাকারী যে ওষুধ, যে ইনজেকশন দরকার সেগুলো কি সরকার সেগুলো যথেষ্ট মজুত রেখেছে?
‘‘এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তো কোনো কথা নেই। এই যে একটার পর একটা করোনাভাইরাস রোগী ধরা পড়ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তো নিজ উদ্যোগে জনগণকে সচেতন থাকার কথা বলতে (পারত) এবং জনগণকে আশ্বস্ত করতে যে, আমরা ইতোপূর্বে যে সমস্ত সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি এখন সেই সমসার সম্মুখীন আমরা হব না। আমাদের ঢাকা শহরসহ মফস্বল হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত অক্সিজেন রয়েছে, পর্যাপ্ত ইনজেকশন রয়েছে, পর্যাপ্ত করোনাভাইরাস মোকাবেলার সরঞ্জামাদি রয়েছে কিন্তু এই ধরনের কোনো পূর্বাভাস, কী প্রস্তুতি তাদের রয়েছে সেটা আমরা এখনো জানতে পারিনি।”
ভারতসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশে করোনাভাইরাসের নতুন উপধরনের (সাব-ভ্যারিয়েন্ট) সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এবং অন্যান্য দেশে ভাইরাসের এই ধরন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এমন প্রেক্ষাপটে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নতুন সতর্কতা জারি করেছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ভারত ও ভাইরাস ছড়ানো অন্যান্য দেশে ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার পাশাপাশি ঝুঁকি মোকাবেলায় সব স্থল ও বিমানবন্দরে হেলথ স্ক্রিনিং ও নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে সেখানে।
‘মানুষ এবার চামড়ার মূল্য পায়নি’
রিজভী বলেন, ‘‘সরকার চামড়ার যে দাম বেঁধে দিয়েছেন, সেই দামে মানুষ চামড়া বিক্রি করতে পারেনি। মানুষদের অল্পদামে চামড়া বিক্রি করতে হয়েছে… এটা কেন হবে?
‘‘মানুষের কাছে যারা কোরবানি দিয়েছেন তারা যাতে চামড়ার মূল্য পান সেই ধরনের তো একটা ব্যবস্থা গড়ে তোলা দরকার ছিল। আমরা সেই ব্যবস্থা দেখিনি। যার কারণে সরকার যে দাম বেঁধে দিয়েছে তার অর্ধেক দামে মানুষকে চামড়া বিক্রি করতে হয়েছে। এই যে পরিস্থিতি মোকাবিলা করাই তো সরকারের কাজ। সরকার হচ্ছে এমন একটি দায়িত্ব পালন করবে যেখানে প্রত্যেক মানুষ যেন সরকারের বেঁধে দেওয়া যে সুবিধা সেই সুবিধাটুকু পায়।
‘এপ্রিলে নির্বাচনের রহস্য মানুষ জানতে চায়’
রিজভী বলেন, ‘‘সরকার দুই একটি রাজনৈতিক দলের কথায় যদি পেন্ডুলামের মত দুলতে থাকে, দুলতে দুলতে এসে এখন এপ্রিলে কী কারণে নির্বাচন দিচ্ছে? এত প্রাকৃতিক বিপর্যয় এবং আমাদের দেশের যে ঘটনাগুলো এই সময় (এপ্রিল) হয় মেট্রিক পরীক্ষা, আবার এক-দেড় মাস পরে ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা ও সমমর্যাদার যেসব পরীক্ষা, মাদ্রাসার পরীক্ষাগুলো হয়। এসবের মধ্যে কেন নির্বাচন নিতে চাচ্ছেন?
‘‘এর পেছনে রহস্য কী এটাও মানুষ জানতে চায়।”
তিনি বলেন, ‘‘আমার কথা হলো দুইটা বিষয়ে। এক. সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের আকাঙ্খা তাদের চিন্তা-চেতনাকে ধারণ করা দরকারের দায়িত্ব। দুই. সরকারের কাজ হচ্ছে মানুষের জনস্বাস্থ্যকে সুরক্ষা দেওয়া।
‘‘কিন্তু আমরা কোনটাই উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সরকারের দিক থেকে আশ্বাস বা জনগণ যেটা চায় সেই চাওয়ার সাথে সহমত হওয়ার কোনো বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তে আমরা দেখতে পারছি না।”