Published : 07 Mar 2025, 08:21 PM
জামায়াতে ইসলামীর সহযোগী সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবিরের ইফতার অনুষ্ঠানে খরচ হওয়া অর্থের উৎস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাসির।
শুক্রবার নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “গতকাল শিবিরের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, তারা প্রতিদিনই ইফতারে তিন লক্ষ টাকা করে ব্যয় করছেন। যদি প্রতিদিন তিন লক্ষ টাকা করে ব্যয় করা হয়, তাহলে এ পবিত্র রমজান মাসে ৯০ লক্ষ টাকা তারা ব্যয় করবেন।”
সাংবাদিকদের সামনে রেখে ছাত্রদলের সম্পাদক বলেন, “আমরা আপনাদের মাধ্যমে তাদের (ছাত্র শিবির) কাছে জানতে চাই, এই ৯০ লক্ষ টাকা সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে বা সাধারণ সংগঠন হিসেবে তারা কীভাবে উপার্জন করছেন বা তাদের অর্থায়নের উৎস কীভাবে আসছে, সেটি আমরা জানতে চাই।”
ছাত্রদলের আয়-ব্যয়ে স্বচ্ছতা আছে দাবি করে তিনি বলেন, “সাধারণ শিক্ষার্থীদের সংগঠন হিসেবে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করছি এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য যে অর্থটুকু ব্যয় করছি, সেটি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সাথে করা হচ্ছে বলে আমরা বিশ্বাস করি।”
ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সিনিয়র সহসভাপতি আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহিয়া, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্যামল মালুমসহ কেন্দ্রীয় নেতারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদকের প্রশ্নের উত্তর ফেইসবুকে দিয়েছেন জবি শিবিরের সেক্রেটারি রিয়াজুল ইসলাম।
সেখানে তিনি বলেছেন, তাদের আয়ের উৎস হল ‘বায়তুল মা ‘। কর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের দান, সংগঠন-প্রকাশনীর মুনাফা এবং ‘শরিয়ত অনুমোদিত’ অন্যান্য খাত থেকে প্রাপ্ত অর্থই বায়তুল মালের আয়ের উৎস।
“আমাদের কর্মীরা তাদের টিউশন করা জমানো টাকা ছাত্রকল্যাণ ফান্ডে দান করে। আমাদের মায়েরা তাদের গলার হার আমাদের বিশ্বাস করে দিয়ে দেয়। আমাদের বোনেরা রান্নার মুষ্টি চাল জমা করে আমাদের দিয়ে দেয়।
“আমাদের ভাইয়েরা তাদের বেতনের কষ্ট করা টাকা কোনো প্রকার চিন্তা ভাবনা ছাড়াই আমাদের দিয়ে দেয়। আমাদের সকল সাবেক ভাইয়েরা আমাদের টাকা দেয়, বিপদের দিনে আমাদের আশ্রয় দেয়।”
রিয়াজুল ইসলাম লিখেছেন, “আমাদের কোনো ব্যক্তিগত আয় নেই কোনো ব্যক্তিগত ব্যায় নেই। আমাদের যা আয় যা ব্যয় সব সংগঠনের জন্য নিবেদিত। যারা আমাদের নিয়ে প্রশ্ন করেন তাদের অনুরোধ করব, বুকে হাত রেখে আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বলেন আপনার দলের টাকা কোথা থেকে আসে?”