Published : 16 May 2025, 04:06 PM
ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে যারা বিরোধিতা করছে, তাদের কাছে বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান প্রশ্ন রেখেছেন, এতে বাধা কোথায়।
শুক্রবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, “ঐকমত্য কমিশনের যিনি দায়িত্বে আছেন, প্রফেসর আলী রীয়াজ সাহেব বলেছেন, মে মাসের মধ্যেই সব রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনাক্রমে তারা একটা জায়গায় পৌঁছাতে পারবেন যেখানে বোঝা যাবে যে, কোন কোন সংস্কার প্রস্তাবে সবগুলো রাজনৈতিক দল একমত, কোন কোন সংস্কারের প্রস্তাবে রাজনৈতিক দলের ভিন্নমত আছে।
“মে মাসের মধ্যে বুঝে ফেলতে পারলে, জুন মাসের মধ্যে এই কাজটা কি সম্ভব না?”
তিনি বলেন, “আইনের মাধ্যমে, অধ্যাদেশের মাধ্যমে যেটা করা যাবে, সেটা এখনই হবে। যেটা সংবিধানে পরিবর্তনের প্রয়োজন হবে সেটা আগামী নির্বাচিত সংসদে হবে।
“সবাই একমত হয়ে দস্তখত করে দিলাম আমরা এবং সেই অনুযায়ী আগামী দিনে কাজ চলবে। এই কাজটা যদি জুন মাসের মধ্যেই সম্ভব হয়, এমনকি যদি জুলাই মাসের মধ্যে সম্ভব হয়, তাহলে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করতে বাধাটা কোথায়?”
নজরুল ইসলাম খান বলেন, “কারও গোছানোর সময় দরকার, কারও বন্ধু জোগাড়ের জন্য কিছু সময় দরকার। সেজন্য জনগণের ভোট দেওয়ার মৌলিক মানবাধিকার বিলম্বিত হবে, এটা তো হতে পারে না।”
ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনে বিএনপি দাবিকে যৌক্তিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এর বিরুদ্ধে যৌক্তিক কোনো প্রস্তাব বা কোনো বক্তব্য কেউ হাজির করতে পারি নাই।”
বাংলাদেশ লেবার পার্টির প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা আবদুল মতীনের ২৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভাটি হয় জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, “আমরা বলেছি, লেবার পার্টি বলেছে, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনটা হোক। আমি বলতে চাই, যারা এটার বিরোধিতা করছেন তারা শুধু বলুন, কোন যুক্তিতে ডিসেম্বরের পরে করতে হবে নির্বাচন? কারণটা কি?
“নির্বাচন কমিশন বলেছে, জুন মাসের মধ্যে তারা জাতীয় নির্বাচনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারবে, এই জুন মাসের মধ্যে। তাহলে নির্বাচন কমিশনের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করতে কোনো অসুবিধা নাই।”
বিএনপি সংস্কারের বিপক্ষে নয় বলেও মন্তব্য করেন নজরুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, “প্রশ্ন যেটা সেটা হলো, সংস্কার কি একবারে শেষ করার বিষয়? পরিবর্তনের দুইটা পথ- একটা বিপ্লব, আরেকটা সংস্কার। বৈপ্লবিক পরিবর্তন হলে খুব দ্রুত পরিবর্তন হয়ে যায়। আর সংস্কার একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে হয়, সকলের সম্মতিতে হয়…বিশেষ করে যারা স্টেকহোল্ডার তাদের সম্মতিতে হয়।”
লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে মহানগর সভাপতি এস এম ইউসুফ আলীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, মুসলিম লীগের মহাসচিব কাজী মো. আবুল খায়ের, লেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান জোহরা খাতুন জুঁই, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব খন্দকার মিরাজুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে নাসিমা নাজনীন সরকার, মো. মিরাজ খান, সেলিম রেজা, জাহিদুল ইসলাম, ওবায়দুল হক, মুফতি আরিফ বিন শহীদ, সালমান খান বাদসা, সৈয়দ মো. মিলন ও নাজমুল ইসলাম মামুন বক্তব্য রাখেন।