Published : 25 Feb 2025, 06:34 PM
বিএনপি ক্ষমতায় এলে ছাত্রদ্রের ‘বাধ্যতামূলক’ সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনার কথা বলেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেছেন, “আমার দল যদি দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পায়, প্রত্যেকটি ছাত্রকে আমরা কম্পালসরি মিলিটারি ট্রেনিং দেব।
“বাংলাদেশের জুলাই-অগাস্টে যে গণ অভ্যুত্থান হয়েছে, এতে সারা বিশ্বে আমাদের সম্মান বাড়িয়ে দিয়েছে। আন্তরিক অভিনন্দন জানাই সেসব ছাত্র ও তাদের অভিভাবকদের, যারা রাজপথে এসে স্বৈরশাসককে বিদায় করেছে।”
মঙ্গলবার ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ উপলক্ষে মহাখালীর রাওয়া ক্লাবে ‘পিলখানায় সংগঠিত নির্মম হত্যাকাণ্ডে শাহাদাত বরণকারী শহীদ অফিসারদের স্মরণে’ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
পিলখানা হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে বিদেশি শক্তি, প্রতিবেশী রাষ্ট্র অবশ্যই জড়িত। এর সঙ্গে এর ব্যর্থতা ও গ্লানি বহন করতে হবে তৎকালীন সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদকে।
“দুঃখ লাগে মইন ইউ আহমেদ তার কমান্ডারদের বাঁচাবার জন্য চেষ্টা না করে সেদিন অনির্বাচিত একজন প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়ে বসে রয়েছেন। তাকে কে বলেছিল প্রধানমন্ত্রীর কাছে যেতে? তার তো উচিত ছিল তার কমান্ডারদের বাঁচানোর জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা।”
সাবেক সেনা কর্মকর্তা হাফিজ বলেন “যে সকল অফিসাররা বিডিআর গেটের বাইরে সমবেত হয়েছিলেন, নির্দেশের অপেক্ষায় ছিলেন যে, তার কমন্ডিং অফিসার তাকে বলবে বিদ্রোহ দমন করতে। এই নির্দেশের তো কোনো প্রয়োজন ছিল না। তার মানে বোঝা যাচ্ছে আমাদের সশস্ত্র বাহিনীতে প্রশিক্ষণের অনেক ঘাটতি রয়েছে।”
স্বাধীনতার পর ‘কিছুই না থাকা’ একটি বাহিনীতে এখন ‘অনেককিছু’ যুক্ত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “অনেক কিছুই যুক্ত হয়েছে সেনাবাহিনীতে। কিন্তু সেই মনোবল দেখতে পাচ্ছি না। কেন সেনাবাহিনী সেই দিন কোনো ব্যবস্থা নিল না? এই দুঃখটি নিশ্চয়ই প্রত্যেকটি শহীদ পরিবারের মনে চিরকাল গেথে থাকবে।”