‘লেটস টকে’ শেখ হাসিনা, প্রচার হবে বৃহস্পতিবার

কেউ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রতিনিধি, কেউ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর, কেউবা এসেছেন তৃতীয় লিঙ্গের প্রতিনিধি হিসেবে; ছিলেন চেইঞ্জমেকার, এমনকি সোশাল মিডিয়ার ইনফ্লুয়েন্সারও। বিভিন্ন নীতি-নির্ধারণী বিষয়ের পাশাপাশি ব্যক্তিগত প্রশ্নে তরুণদের মুখোমুখি হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার ঢাকায় ‘লেটস টক উইথ শেখ হাসিনা’ শিরোনামে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে আওয়ামী লীগের গবেষণা উইং সিআরআই।

এর আগে ২০১৮ সালে লেটস টক অনুষ্ঠানে প্রথমবারের মত তরুণদের মুখোমুখি হয়ে তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। দ্বিতীয়বারের মত সরকার প্রধানের অংশ নেওয়া অনুষ্ঠানটি সম্প্রচার করা হবে আগামী বৃহস্পতিবার।

অনুষ্ঠানের সূচি পরে সিআরআই ও ইয়াং বাংলার অফিসিয়াল ফেইসবুক পেজে জানানো হবে।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তৃতীয় লিঙ্গের প্রতিনিধিত্বকারী মনীষা মীম নিপুণ প্রশ্ন রাখেন, কীভাবে ট্রান্সজেন্ডার সম্প্রদায়ের প্রতি সমাজ আরও সহানুভূতিশীল হতে পারে।

বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিয়ে কথা বলা যুক্তরাষ্ট্র ফিলিস্তিনদের ওপর চলমান গণহত্যায় ইসরায়েলিদের সমর্থন দিচ্ছে; এটি দ্বিমুখী আচরণ কি না– তা জানতে চান তরুণদের সংগঠন নিয়ে কাজ করে যাওয়া শাহরিয়ার বাবলা।

নারীর প্রতি হয়রানি বন্ধে সুস্পষ্ট আইন কবে হবে তা জানতে চান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অরিত্রি রায় প্রিয়তা। সংবাদমাধ্যমে কাজ করা তরুণী এ আর তাহসীন জাহান জানতে চান, কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ আরও বাড়াতে সরকারের তরফ থেকে ডে কেয়ার সেন্টার করা হবে কি না।

ভালো কাজের হোটেলের প্রতিষ্ঠাতা আরিফুর রহমান প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চান, সরকারি প্রতিটি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দিনে একটি ভালো কাজের বিষয় উৎসাহ প্রদান বা বাধ্যতামূলক করা সম্ভব কি না।

সোশাল মিডিয়ার ইনফ্লুয়েন্সার তাশরীফ খান জানতে জান, দেশের পর্যটন খাতের উন্নয়ন নিয়ে কী ভাবনা আছে প্রধানমন্ত্রীর।

দুর্যোগপ্রবণ দেশকে ক্ষতিপূরণ প্রদানে উন্নত দেশগুলোর গড়িমসির বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন পরিবেশকর্মী শামীম মৃধা।

বাংলাদেশ হুইলচেয়ার স্পোর্টস ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা নূর নাহিয়ান জানতে চান, শারীরিকভাবে বিশেষ-সক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো বাড়ানোর জন্য সরকারের পরিকল্পনা কী।

কেবল নীতি-নির্ধারণী বিষয়েই নয়, প্রধানমন্ত্রীর কাছে ব্যক্তিগত প্রশ্নও করেন তরুণরা। বিদেশ থেকে এসে কনটেন্ট তৈরি করছেন মারিয়া, যার কাছে গ্রামের জীবনযাপন বেশ আকর্ষণীয়। প্রধানমন্ত্রী গ্রামে গিয়ে থাকতে চান কি না কিংবা গ্রামীণ জীবনযাপন তার কাছে কেমন লাগে, তা জানতে চান মারিয়া।

প্রধানমন্ত্রীর সেরা রান্না কোনটি, তা জানতে চান ফুড ব্লগার রাফসান। তিনি এও জানতে চান, বাইরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর খেতে ইচ্ছে করে কি না। বাহিরে খাবার খাওয়ার সুযোগ আছে কি না তার।

উপস্থিত তরুণরা নিজেরা প্রধানমন্ত্রী হলে দেশের কোন বিষয়ে পরিবর্তন আনতেন, কেনইবা এ পরিবর্তন আনা জরুরি, সেই যুক্তিও তুলে ধরেন।