Published : 15 Dec 2023, 06:24 PM
নির্বাচনি আপিল শুনানির ষষ্ঠ ও শেষ দিনে এসে ভোটে অংশ নেওয়ার বাধা কাটল ২০ প্রার্থীর, যারা মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাইয়ে বাদ পড়ে গিয়েছিলেন।
নির্বাচন কমিশনের আইন শাখার কর্মকর্তারা জানান, শুক্রবার সকাল থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে মোট ৮৪টি আপিল আবেদনের শুনানি হয়েছে। এর মধ্যে ২২টি আপিল মঞ্জুর হয়েছে এবং ৬২টি না-মঞ্জুর হয়েছে।
ওই ২২টি আবেদনের মধ্যে বরিশাল-৫ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী, পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকের আপিল মঞ্জুর হওয়ায় এ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে।
আর ফরিদপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের আপিল মঞ্জুর হওয়ায় বাতিল হয়েছে এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম হকের প্রার্থিতা।
বাকি ২০টি আবেদন মঞ্জুর হওয়ায় প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ২০ জন।
বাছাইয়ে বাদ পড়ার পর প্রার্থিতা ফিরে পেতে বরিশাল-৪ আসনের নৌকার প্রার্থী শাম্মী আহমেদ এবং কক্সবাজার-১ আসনের সালাউদ্দিন আহমেদ আপিল করেছিলেন। কিন্তু ইসিতেও তারা বিফল হয়েছেন। আপিল নামঞ্জুর হওয়ায় রিটার্নিং অফিসারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের মনোনয়নপত্র বাতিলই থাকছে।
ঝালকাঠি-১ আ্সনে নৌকার প্রার্থী শাহজাহান ওমরের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর আপিল, ফরিদপুর-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী একে আজাদের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে একই আসনের শামীম হকের আপিল এবং বরিশাল-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী পঙ্কজ দেবনাথের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে শাম্মী আহমেদের আপিল না-মঞ্জুর হয়েছে।
তাতে শাহজাহান ওমর, একে আজাদ ও পঙ্কজ দেবনাথের প্রার্থিতা বহাল থাকল, বাছাইয়ে যাদের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছিলেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
প্রার্থিতা ফিরে পেলেন পৌনে তিনশ জন
ইসির আইন শাখার কর্মকর্তারা জানান, ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর ছয় দিনের শুনানিতে প্রায় পৌনে তিনশ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র ঘোষণা করা হয়েছে, যাদের প্রার্থিতা বাছাইয়ে বাদ পড়েছিল।
কমিশনের সিদ্ধান্ত পক্ষে না গেলে কোনো ব্যক্তি উচ্চ আদালতেও যেতে পারবেন।
নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম শুক্রবার সন্ধ্যায় নির্বাচন ভবনে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, এবার নির্বাচন কমিশন ৫৬০টি আপিল আবেদনের নিষ্পত্তি করেছে। এর মধ্যে ৫২৫টি আবেদন করেছিলেন বাছাইয়ে বাদ পড়া প্রার্থীরা। সব মিলিয়ে ২৮০টি আপিল মঞ্জুর হয়েছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তার মনোনয়নপত্র গ্রহণের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল হয়েছে ৩৫টি; এরমধ্যে ৫টি আপিল মঞ্জুর হওয়ায় বাদ পড়েন পাঁচজন বৈধ প্রার্থী; বাকিদের মনোনয়নপত্রের বৈধতা বহাল থাকে।
রিটার্নিং কর্মকর্তাদের যাচাই বাছাইয়ে ১৯৮৫ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছিল। আপিল শুনানি শেষে এখন সব মিলিয়ে ২২৬০ জন বৈধ প্রার্থী থাকছে।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। ভোট হবে ৭ জানুয়ারি
৬ষ্ঠ ও শেষ দিনের আপিল শুনানির ফলাফল
পুরনো খবর