Published : 29 May 2025, 06:48 PM
বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে সংলগ্ন উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালীতে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে।
এই অবস্থায় এরই মধ্যে জেলার মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন রাঙ্গাবালী উপজেলার চর মোন্তাজ এলাকার বেড়ি বাঁধের বাইরের অন্তত ৩০টি পরিবারকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দফায় দফায় অস্বাভাবিক জোয়ার ও তীব্র স্রোতের কারণে চর মোন্তাজ, চর আন্ডা ও চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের বেশ কিছু গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
এ ছাড়া জেলার গলাচিপা, দশমিনা, বাউফল উপজেলার অর্ধশত চর এলাকার নিম্মাঞ্চল উচ্চ জোয়ারের দফায় দফায় প্লাবিত হয়েছে। বেড়ি বাঁধের বাইরে বসবাস করা মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
বন্ধ রয়েছে অভ্যন্তরীণ পথের ৬৫ ফুট দৈর্ঘে্যর লঞ্চ চলাচল। সাগর উত্তাল হওয়ায় উচ্চ জোয়ারে নদ-নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে দুই থেকে তিন ফুট বেড়েছে। বর্তমানে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সঙ্গে হালাকা দমকা বাতাস বইছে।
রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইকবাল হাসান বলেন, “আমরা খোঁজ-খবর রাখছি। উপজেলার চর আন্ডা, চর মোন্তাজ ও চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বাইরের কিছু গ্রাম প্লাবিত হওয়ার তথ্য পেয়েছি।”
তিনি বলেন, “চর মোন্তাজ এলাকার বেড়ি বাঁধের বাইরের ৩০টি পরিবারকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে এসেছি। আমরা স্থানীয় মাধ্যমে তাদেরকে শুকনা খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছি এবং এসব এলাকার সাইক্লোন শেল্টারগুলো প্রস্তুত রাখার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি।”
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দফায় দফায় জোয়ারের পানিতে ও তীব্র স্রোতের প্রভাবে রাঙ্গাবালী উপজেলার চর আন্ডা, চর মোন্তাজ, মধ্য চালিতাবুনিয়া, কোড়ালিয়া ও নয়ারচরসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে অন্তত তিন শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানি প্রবেশ করায় দুর্ভোগে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘরবাড়ি, গবাদিপশু ও খেতের ফসল পড়েছে হুমকির মুখে।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১১৬.৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পটুয়াখালী আবহাওয়া কার্যালয়ের উচ্চ পর্যবেক্ষক মাহবুবা সূখী।
পটুয়াখালী নদী বন্দরের উপ-পরিচালক মো. জাকির শাহারিয়ার বলেন, “অভ্যন্তরীণ নদীতে দুই নম্বর সংকেত থাকার কারণে ৬৫ ফুটের নিচের লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে পটুয়াখালী-ঢাকা ডবল ডেকার লঞ্চ যথারীতি চলাচল করবে।”