Published : 18 May 2025, 05:45 PM
জামালপুরের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে ইসলামপুর উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ছয়শ’র বেশি বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শনিবার রাত ১০টায় বয়ে যাওয়া এ কালবৈশাখী ঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে উপজেলার সাপধরি ইউনিয়নেঅ
এ ইউনিয়নের কাশারীডোবা, প্রজাপতি, চরশিশুয়া, দক্ষিণ শিশুয়া, মণ্ডলপাড়া, নামারচর, জোরডোবা, আকন্দপাড়া, চেঙ্গানিয়া, কোদালধোয়া ও রায়েরপাড়ার ঘরবাড়ি লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে।
পাশাপাশি গাছপালা, বোরো ধান, সবজি, ভুট্টা, আম ও কলারও ক্ষতি হয়েছে। উড়ে গেছে ঘরের চাল।
সাপধরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ আলম মণ্ডল সাংবাদিকদের বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে তার ইউনিয়নের অন্তত চার শতাধিক বাড়িঘর লণ্ডভণ্ড হয়েছে। অসংখ্য গাছপালা উপড়ে পড়েছে। ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ফসলের। ঘরবাড়ির চাল উড়ে যাওয়ায় অনেক পরিবার খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
সাপধরী ইউনিয়নের কাশারীডোবা গ্রামের বাসিন্দা সাংবাদিক আজিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, শনিবার রাতে ঝড়ে কাশারীডোবা গ্রামেই শতাধিক ঘরবাড়ি লণ্ডভণ্ড হয়েছে। তার নিজের ঘরসহ বহু ঘরের চাল উড়ে গেছে। অসংখ্য গাছপালা ভেঙে পড়েছে। ঝড়ে তার নিজের আমবাগানের তিন শতাধিক গাছের শতকরা ৭৫ ভাগ আম নষ্ট হয়েছে।
চরপুটিমারী ইউনিয়নের ডিক্রিরচর গ্রামের আব্দুল্লাহ আল লোমান বলছিলেন, ঝড়ে তাদের গ্রামসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের বোরো ধান, ঘরবাড়ি ও গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
ইসলামপুর পৌরসভার পলবান্ধা গ্রামের বাসিন্দা ফজলুল হক মনি বলেন, শনিবার রাতে ব্যাপক ঝড় হয়েছে। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তৌহিদুর রহমান বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে উপজেলার ৬৬৫টি বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হচ্ছে। তাদের সহায়তায় কাজ করছে উপজেলা প্রশাসন।