Published : 16 Sep 2024, 07:08 PM
ঢাকার সাভার উপজেলায় গৃহবধূকে উত্ত্যক্তের করার ঘটনায় প্রতিবেশী এক যুবককে গলাকেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার জড়িত সন্দেহে দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার রাতে উপজেলার হরিনধরা এলাকায় সুমন মিয়ার ভাড়া বাড়ি থেকে ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয় বলে জানান সাভার মডেল থানার এসআই জহুরুল ইসলাম।
নিহত রিপন কাজী (৩৮) ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার চণ্ডীদাশদি গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে।
গ্রেপ্তার মাসুদুর রহমান (২৮) ও তার স্ত্রী রহিমা আক্তার (২৫) রিপনের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। মাসুদ সবজির ব্যবসা করতেন।
স্ত্রী লাইজু আক্তার ও সন্তানদের নিয়ে হরিণধরা এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে চেন-কপ্পার ব্যবসা করতেন রিপন। তাদের পাশের কক্ষে থাকেন মাসুদুর ও রহিমা।
রিপনের স্ত্রী লাইজু আক্তার বলেন, শনিবার থেকে আমার স্বামীকে পাওয়া যাচ্ছিল না। বিভিন্ন স্থানে খোঁজ-খবর নিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।
“এ ব্যাপারে প্রতিবেশী মাসুদ ও তার স্ত্রীর সহযোগিতা চাওয়া হলে, তারা তাদের কক্ষে তালা দিয়ে এদিক সেদিক ঘোরাঘুরি করতে থাকেন। তাদের আচরণ আমার সন্দেহ হয়।
“রোববার রাতে তাদের ঘরের তালা খুলতে বলি। এ সময় মাসুদ পালিয়ে গেলেও স্থানীয়দের সহায়তায় রহিমাকে আটক করে তাদের কক্ষের তালা খুলতে বাধ্য করা হয়। পরে কক্ষ তল্লাশি করে আমার স্বামীর লাশ পাই।”
এসআই জহুরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে রাতে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়। এ সময় মাসুদের স্ত্রীকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়। আর সোমবার দুপুরে মাসুদকে আটক করা হয়।
আটকদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাতে তিনি বলেন, “রিপন তার প্রতিবেশী মাসুদের স্ত্রীকে উত্ত্যক্ত করতেন। এই ক্ষোভ থেকে রিপনকে তাদের কক্ষে ডেকে নিয়ে গলাকেটে হত্যা করা হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।”
এ ঘটনায় রিপনের বাবা হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় মাসুদ ও রহিমাসহ অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।
পরে মাসুদ ও তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান এসআই জহুরুল ইসলাম।