Published : 30 May 2025, 09:05 PM
তিন দিন ধরে থেমে থেমে বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতী উপজেলার ভোগাই, চেল্লাখালি, মহারশি ও সোমেশ্বরী নদীর পানি অনেক বেড়েছে।
এর মধ্যে চেল্লাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ১০৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে স্থানীয়রা বন্যার আশঙ্কা করছেন।
শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড-পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আখিনুজ্জামান বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় শেরপুর পয়েন্টে ১০২ মিলিমিটার, নালিতাবাড়ী পয়েন্টে ১১০ মিলিমিটার এবং নাকুগাঁও পয়েন্টে ১৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
নালিতাবাড়ীর চেল্লাখালি নদীর পানি বাতকুচি পয়েন্টে বিপৎসীমার ১০৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভোগাই নদীর পানি নালিতাবাড়ী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে এবং নাকুগাঁও পয়েন্টে ১৫৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পুরনো ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার ৬৬৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ঝিনাইগাতীর মহারশি ও সোমেশ্বরী নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি রয়েছে।
পাউবো কর্মকর্তা বলেন, “তবে ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলায় নদী রক্ষা বাঁধে এখন পর্যন্ত কোনো ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা নেই। শুক্রবার রাতে ও শনিবার আগামীকাল বৃষ্টি না হলে নদীর পানি কমে যাবে।”
স্থানীয়রা বলছেন, ভারতের মেঘালয় রাজ্যের তুরা জেলায় টানা বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে সেখান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল শেরপুরের সীমান্ত এলাকার নদীগুলোর পানি অনেক বেড়ে গেছে। এতে জেলার ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষ নতুন করে বন্যার আশঙ্কা করছেন।
ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশরাফুল আলম বলেন, “টানা বৃষ্টি ও ঢলে মহারশি ও সোমেশ্বরী নদীর পানি বাড়ছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে আকস্মিক বন্যা হতে পারে। তবে পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত রয়েছি।”
নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা আক্তার ববি বলেন, “চেল্লাখালি ও ভোগাই নদীর পানি বাড়লেও এখন একটু কমের দিকে। পাহাড়ি ঢল না নামলে আর বৃষ্টি না হলে বন্যার সম্ভাবনা নেই। তবে বন্যা মোকাবেলায় আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।”