Published : 01 Sep 2024, 10:18 PM
সাভারের আশুলিয়ায় একটি ভ্যানে লাশ স্তূপ করে রাখার ভিডিও ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর ঘটনাটি তদন্তে কমিটি করেছে পুলিশ বিভাগ।
রোববার দুপুরে আশুলিয়া থানা পরিদর্শন শেষে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আহম্মদ মুঈদ সাংবাদিকদের জানান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) ও পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত সাজেদুর রহমানকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন পুলিশের এ কর্মকর্তা।
বৃহস্পতিবার রাতে ফেইসবুকে পুলিশ ভ্যানে লাশ স্তূপ করে রাখছে- এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ১ মিনিটি ১৪ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে দেখা যায়, একটি ব্যাটারিচালিত ভ্যানের ওপর ছয়-সাতজনের নিস্তেজ দেহ স্তূপ করে চাদর দিয়ে ঢেকে রাখা।
সেই স্তূপের ওপর আরেকটি দেহ চ্যাংদোলা করে তুলছিলেন দুইজন। তাদের মধ্যে ভিডিওতে পুলিশের হেলমেট ও ভেস্ট পড়া একজনকে দেখা যায়। সেই সময়ই ভ্যানে ঢাকা চাদর কিছুটা সরে গিয়ে আরও দেহের নিচে চাপা পড়ে থাকা একজনের হাত বের হয়ে যায়।
পুলিশ সুপার বলেন, “যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে সেটি আমাদের নজরে এসেছে। আমাদের জায়গা থেকে যা করণীয় তা আমরা করছি। আমরা সবার সহযোগিতায় পেয়ে গেছি, কারা কারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত, কারা উপস্থিত ছিলেন।
“আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য নামগুলো প্রকাশ করছি না। খুব তাড়াতাড়ি আপনাদের সামনে প্রকাশ করা হবে।”
তিনি বলেন, “ভিডিও যেগুলো এসেছে সেগুলো দেখেছি, তবে ফিজিক্যাল এভিডেন্স এখনও পাইনি। এগুলো নিয়েও আমাদের কাজ চলছে। এরই মধ্যেই গতকাল একটি নিখোঁজ ডায়েরি হয়েছে। আমরা এটি নিয়েও কাজ করছি। আশা করছি, খুব ভাল একটা রেজাল্ট আসবে।”
জড়িত পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা হবে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “যে অপরাধী, সে যেই হোক তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হবে। পুলিশ আইনের বাইরে নয়।”
পুলিশ সুপার আহম্মদ মুঈদ আরও বলেন, “শুধু ছাত্র-জনতা না, আমাদের অনেক পুলিশ সদস্যকেও আগুনে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। পুলিশ হত্যার মামলাও হবে। প্রধান উপদেষ্টার সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে মানবাধিকার লঙ্ঘন হলে গুরুত্বের সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
আরও পড়ুন:
ভ্যানে লাশের স্তূপ: জার্সি দেখে নিখোঁজ স্বামীকে শনাক্ত করলেন স্ত্রী