Published : 07 Jun 2025, 09:38 PM
বগুড়ার যমুনা পাড়ের কয়েকটি গ্রাম থেকে ‘সমাজের’ মাংস সংগ্রহ করেন দুস্থ ও গরিব মানুষেরা। এবারও তাদের মাংস সংগ্রহ করতে দেখা গেছে। তারা অল্প মাংস পেয়েই সন্তোষ্ট।
যমুনা পাড়ের সারিয়াকান্দী, ধুনট এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, গ্রামের বিভিন্ন মহল্লা থেকে তারা মাংস নিয়ে ফিরছেন। কেউবা ব্যাগে, কেউবা কলাপাতা, পলিথিনে এসব মাংস নিয়ে নিজ নিজ বাড়িতে চলে যাচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গ্রামের প্রতিটি মহল্লায় একটি করে সমাজ। ওই সমাজের গরু-খাসি এক জায়গায় জবাই হয়। তারপর তিন ভাগের এক ভাগ সমাজে দিয়ে দেয়। ওই সমাজ থেকে গ্রামের প্রতিটি পরিবারকে মাংস বণ্টন করে দেওয়া হয়।
বণ্টন পদ্ধতি দুই ধরনের হয়ে থাকে। ওই সমাজে কতগুলো পরিবার সে অনুযায়ী ভাগ করা হয়। এটাকে বলে ‘ছাম বাটা’।
আবার কোনো কোনো সমাজে পরিবারের কতজন সদস্য এবং কত মণ মাংস হল, জনপ্রতি কতটুকু করে পড়ল- এভাবে ভাগ করা হয়।
ধুনট উপজেলার চিথুলিয়া বড়বাড়ীর সমাজ থেকে মাংস নিয়ে ফিরছিলেন সাইবেলী। তিনি জানালেন, মাংস কিনে খাওয়ার সাধ্য নেই তার। পরিবারের পাঁচজন মানুষ। আড়াই কেজি মাংস পেয়েছেন। পরিবারের সবাইকে নিয়ে খাবেন।
ধুনটের গোসাইবাড়ী গ্রামের হাছেন আলী বলেন, “পরিবারের লোক দুজন। ছাম ভাগে এক কেজি মাংস পাছি। খুবই খুশি।”
সারিয়াকান্দী উপজেলার বোহাইলের তালেব বলেন, “গরিবের কোরবানি, যা পাছি তাতেই খুশি। বহুদিন হল মাংস খাই না; আইজ খামু।”