Published : 28 May 2025, 04:38 PM
নোয়াখালী সদরে ছাত্রদল কর্মী আবুল হোসেন রাফির হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। এ সময় সড়কের দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর টহল দল ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আন্দোলনকারীদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেয় বলে জানান সুধারাম মডেল থানার এসআই মোজাম্মেল হোসেন।
বুধবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সোনাপুর-কবিরহাট-বসুরহাট সড়কের অশ্বদিয়া ইউনিয়নের ব্যাল্লাকোট্টা চাঁনমিয়ার মোড়ে রাফির স্বজন, এলাকাবাসী, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এতে অংশগ্রহণ করেন।
রাফিকে খুনের এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার না করায় ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় রাফির হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে নানা স্লোগান দেন তারা।
এসআই মোজাম্মেল হোসেন বলেন, সেনাবাহিনী ও পুলিশের পক্ষ থেকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে হত্যা মামলার আসামিকে গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা অবোধ তুলে নেন। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার পর যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
নিহত আবুল হোসেন রাফি (১৯) উপজেলার অশ্বদিয়া ইউনিয়নে ছাত্রদল কর্মী ছিলেন। তিনি একই এলাকার আবুল কালাম আজাদের ছেলে।
এর আগে একই দাবিতে রোববার সকাল ১১টা থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এলাকাবাসীর ব্যানারে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়।
সেই সমাবেশ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে হত্যা মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল।
এর আগে ২২ মে বিকালে অশ্বদিয়া ইউনিয়নের অলিপুর গ্রামে বন্ধুদের সঙ্গে ফুটবল খেলছিলেন ছাত্রদল কর্মী রাফি। খেলার মধ্যে এক বন্ধুর ঠোঁট কেটে গেলে তাকে নিয়ে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক গিয়াস উদ্দিন শাহীনের (৬০) কাছে যান তারা।
এ সময় শাহীন চিকিৎসা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তার সঙ্গে রাফির বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে রাফিকে ছুরিকাঘাত করেন শাহীন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় নেওয়ার পথে রাফি মারা যান।
এ ঘটনায় রাফির বাবা আবুল কালাম আজাদ পল্লী চিকিৎসক শাহীনকে আসামি করে সুধারাম মডেল থানায় এ মামলা করেন।
সুধারাম মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পর থেকে শাহীন এলাকা থেকে পালিয়ে যান। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে পুলিশ।
নোয়াখালীতে ছাত্রদল কর্মী রাফির হত্যাকারীকে গ্রেপ্তারের দাবিতে