চাঁদপুরে শিক্ষার্থীদের ওপর ‘ছাত্রলীগের’ হামলা, আহত ১০

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বানে চাঁদপুরে ‘রিমেম্বার দ্য হিরোস’ কর্মসূচিতে ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে শহরের পুরনো বাসস্ট্যান্ডের ফয়সাল শপিং কমপ্লেক্সের সামনে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

হামলার মুখে শিক্ষার্থীরা ছোটাছুটি করতে থাকলে পুরনো বাসস্ট্যান্ড এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুদীপ্ত রায় বলেন, “আজকে এখানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছি এবং তাদেরকে চলে যাওয়ার জন্য বলেছি।”

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা জানান, বেলা ৩টার দিকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীরা চাঁদপুর-কুমিল্লা সড়কের ষোলঘর এলাকায় জড়ো হওয়ার চেষ্টা করেন। সেখানে তাদেরকে একাধিকবার ধাওয়া করে ছাত্রলীগ। তাদের নেতৃত্ব দেন স্থানীয় কাউন্সিলর কবির চৌধুরী।

ধাওয়া খেয়ে আবারও শিক্ষার্থীরা শহরের বাসস্ট্যান্ড ফয়সাল শপিং কমপ্লেক্সের সামনে এসে অবস্থান নেন। সেখানে তারা বিভিন্ন স্লোগান দেন।

বিকাল ৫টার দিকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রবেশ করে অতর্কিতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা। পুলিশ এসে ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ বিষয়ে জানতে কাউন্সিলর কবির চৌধুরীর মোবাইলে কল করলে তিনি তা কেটে দেন।

এদিকে ঘটনার পর পুলিশের একাধিক গাড়ি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাস্থল এবং পুরো শহরে টহল দেয়। শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলতে থাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল।

চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আল এমরান খাঁন বলেন, “ঘটনার পরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহরে টহল জোরদার করা হয়েছে।”

চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুদীপ্ত রায় বলেন, “ছাত্রদের আন্দোলনের মধ্যে এখন আর ছাত্ররা নেই। এখানে অন্য অনেকে ঢুকে গেছে। যারা বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করছে। তারা সরকারবিরোধী বক্তব্য দিচ্ছে এবং উত্তেজনামূলক পরিস্থিতি তৈরি করছে।

“তাদের মধ্যে এখন কথা কাটাকাটি এবং ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হচ্ছে। তাদের মধ্যে কেউ বিষয়টি বুঝতে পারছে, আবার কেউ বুঝতে পারছে না। এমন অবস্থায় এখানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে।”