Published : 12 Jun 2025, 08:52 PM
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সংঘর্ষে দুই পক্ষের অন্তত অর্ধশত লোক আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত উপজেলার পাকশিমুল গ্রামে দুই পক্ষের কয়েকশ লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়ায় বলে সরাইল থানার ওসি রফিকুল হাসান জানান।
খবর পেয়ে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীও ছুটে আসে ঘটনাস্থলে।
সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে রহিম মিয়া (১৭), মনির মিয়া (৩৫), ইসরাইল মিয়া (৩০), সিরাজুল ভূঁইয়া (৪৫), মজলুম ইসলাম (৪৫), নাজমুল হক (৫০), মাহবুব (৩০), সাইফুল (২৩), ইউনুছ মিয়া (৫০), তারেক মিয়া (২৭), ইয়ামিন (১৪), জলিল মিয়া (৩০), বশির মিয়া (৩০), কুতুব আলী (৫৫), বশির (২০), রমুজ মিয়া (৫৫), জিহাদ মিয়া (২২), রিপন মিয়া (৩০), সাকিবুল (২০) জেলা সদর ও সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসা নেন। বাকিরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, পাকশিমুল গ্রামে সরাইল-অরুয়াইল সড়কের পাশে একটি জায়গা নিয়ে শিশু মিয়ার গোষ্ঠীর রাজিব ও সাধুর গোষ্ঠীর নুরুল আমিনের মধ্যে কয়েকদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে বৃহস্পতিবার সকালে দুই গোষ্ঠীর লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
সরাইল-অরুয়াইল সড়কের মধ্যে এ সংঘর্ষ চলে প্রায় দেড় ঘণ্টা। এতে উভয় পক্ষে অর্ধ শতাধিক লোক আহত হয়েছেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে জানান জন্য রাজিবের ফোনে কল করা হলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। এছাড়া চেষ্টা করেও নুরুল আমিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
তবে পাকশিমুল ইউপির সদস্য নূর বানু বলেন, “জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও ইউপি চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানাই। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পাশাপাশি সেনাবাহিনীও আসে।”
এ ব্যাপারে সরাইল থানার ওসি রফিকুল হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
“সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত কোনো পক্ষই এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”