Published : 04 Jul 2023, 08:42 PM
গাজীপুর মহানগরীর বিভিন্ন বাজারে কাঁচামরিচের দাম কমে কেজি প্রতি ২৫০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মঙ্গলবার গাজীপুর নগরী, চান্দনা, চৌরাস্তা, জয়দেবপুর বাজার ও শ্রীপুর উপজেলার কয়েকটি বাজার থেকে সরেজমিনে এ তথ্য জানা যায়।
কোরবানির ঈদকে ঘিরে দেশে কাঁচামরিচের দাম হঠাৎ অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। ঢাকায় প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ৬০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। এছাড়া ঢাকার বাইরে গাজীপুরসহ বিভিন্ন জেলায় ৭০০/৮০০ টাকাও বিক্রি হয়।
ইতোমধ্যে ভারত থেকে এই পণ্য আমদানি ব্যবস্থাও করা হয়। গত রোববার থেকে ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি শুরু হয়। এরপরই দেশের বিভিন্ন স্থানে দাম কমা শুরু করে।
রোববার রাতে বগুড়ার বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হয় প্রতি কেজি ৪০০ টাকা; আর সোমবার সকালে বিক্রি হয় ২৪০ টাকায়।
একইভাবে মানিকগঞ্জের বাজারে কয়েকদিন আগে যেখানে প্রতি কেজি ৪৫০ থেকে ৪৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, সেখানে সোমবার বিক্রি হয় ১৬০ থেকে ১৯০ টাকায়।
মঙ্গলবার সকালে কথা হয় গাজীপুরের চান্দনা-চৌরাস্তা এলাকার কাঁচামাল বিক্রেতা সাইফুদ্দিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, “কেজি প্রতি কাঁচামরিচ ৩২০ টাকা দরে বিক্রি করছি।”
একই বাজারের ব্যবসায়ী আসিব মিয়া জানান, তিনি ৩২০ টাকা দরে কাঁচামরিচ বিক্রি করছেন।
অন্যদিকে, জয়নাল আবেদীন ও সাহাজুল মিয়া বিক্রি করছেন ২৮০ টাকা কেজি দরে। আর হাসান মিয়া ও রেজাউল করিমকে যথাক্রমে ২৬০ টাকা এবং ২৫০ টাকা কেজি দরে কাঁচামরিচ বিক্রি করতে দেখা গেছে।
শ্রীপুর উপজেলার শ্রীপুর কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ী রুবেল মিয়া ৪০০ টাকা এবং আসাদ মিয়া ৩৮০ টাকা দরে কাঁচামরিচ বিক্রি করছেন।
জয়দেবপুর কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ী বাসার মিয়া ও জামাল উদ্দিন জানান, তারাও প্রতিকেজি কাঁচামরিচ ৩০০ টাকা করে বিক্রি করছেন।
গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাস মোড় এলাকার সামসুদ্দিন সরকার কাঁচামাল আড়তের ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন জানান, তারা পাইকারি দরে প্রতি পাল্লা (৫ কেজি) কাঁচামরিচ ৯০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা করে বিক্রি করেছেন।
ব্যবসায়ীরা জানান, কেনা দর থেকে সামান্য লাভেই তারা কাঁচামরিচ বিক্রি করছেন।
গাজীপুরের কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আব্দুস সালাম বলেন, “আমরা বাজারে গেলেই ব্যবসায়ীরা কাঁচামরিচের দাম কমিয়ে বলে।তবে কৌশলে খুচরা বাজারে কাঁচামরিচের প্রকৃত মূল্য বের করার চেষ্টা চলছে।”
তিনি আরও বলেন, “মঙ্গলবার বাজার ঘুরে ব্যবসায়ীদের কাঁচামরিচের প্রতি কেজির মূল্য ২৪০-২৫০ টাকা বিক্রির জন্য নির্ধারণ করে দিয়েছি।”
তিনি জানান, কোরবানের দুয়েকদিন আগে ও পরে গাজীপুরে ৭০০/৮০০ টাকায় প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে। সোমবার থেকে কিছুটা কমতে শুরু করেছে।
গাজীপুরের জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. দিদার হোসেন বলেন, গাজীপুরে কাঁচামরিচসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে অভিযান চলছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে জরিমানা করা হয়নি।
তিনি বলেন, “ব্যবসায়ীদের কাছে মরিচ কেনার রশিদ চাইলে তারা জানান পাইকারি বিক্রেতারা তাদের রশিদ দেন না।”
এমতাবস্থায় কাঁচামরিচের প্রকৃত ক্রয়-বিক্রয়মূল্য নির্ধারণ করা যাচ্ছে না বলে জানান ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা।