Published : 03 Jun 2025, 09:37 PM
পঞ্চগড় সদর উপজেলায় আলাদা দুই সীমান্ত দিয়ে নয় শিশুসহ আরও ২৬ জনকে ‘পুশইন’ করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষা বাহিনী-বিএসএফ।
সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের বড়বাড়ি সীমান্ত ও চাকলাহাট ইউনিয়নের খুনিয়াপাড়া সীমান্ত থেকে তাদের আটক করা হয় বলে জানান নীলফামারী-৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মোহাম্মদ বদরুদোজা।
আটকরা হলেন- ফরিদ হোসেন (৩৫), আশরাফ ইসলাম (২৭), রানি বেগম (২০), আরজিনা (২০), আতুরবান (৪৫), রসনা বেগম (৩০), আবু তালেব (৫৫), হাসিনা বেগম (৪০), হাসেন আলী (২৯), হোসেন আলী (২৫), আরিফুল আলী (২১), মিনারা বেগম (২৫), রিনা বেগম (২৩), জুই (১৮), মমিনুল ইসলাম (৩৫) এবং রাশেদা বেগম (৩০)। বাকিরা শিশু-কিশোর। তারা কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
বিজিবি জানায়, আটকরা বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেন। দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে কাজ করে আসছিলেন তারা। সম্প্রতি তাদের হরিয়ানা রাজ্য থেকে আটক করে ভারতীয় পুলিশ। পরে তাদের বিমানে করে বাগডোগরা বিমানবন্দর এনে বিএসএফের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
সেখান থেকে বিএসএফ সদস্যরা নয়জনকে বড়বাড়ি সীমান্ত এবং ১৭ জনকে খুনিয়াপাড়া সীমান্ত দিয়ে পুশইন করেন বলে জানায় বিজিবি।
বড়বাড়ি সীমান্ত দিয়ে পুশইন হওয়া নয়জনকে এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে দেখে গ্রাম পুলিশের সদস্যরা তাদের আটক করে ঘাগড়া বিওপি ক্যাম্পের সদস্যদের হাতে তুলে দেন।
অপরদিকে খুনিয়াপাড়া সীমান্ত দিয়ে পুশইন করা ১৭ জনকে আটক করেন শিংরোড বিওপি ক্যাম্পের সদস্যরা। পরে ২৬ জনকে সদর থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয় বিজিবি।
পঞ্চগড় সদর থানার ওসি আব্দুল্লা হিল জামান বলেন, “জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে আপাতত তাদের নিরাপদ আশ্রয় নিশ্চিত করা হবে। তবে তারা প্রকৃত বাংলাদেশি নাগরিক কি-না তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মোহাম্মদ বদরুদোজা বলেন, ঘটনার পর বিএসএফের সঙ্গে কোম্পানি পর্যায়ে পতাকা বৈঠক করা হয়েছে। সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে আটকদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সেইসঙ্গে সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে জানান বিজিবির এই কর্মকর্তা।