Published : 11 Oct 2024, 09:14 PM
‘এমপক্স বা মাঙ্কিপক্সে’ আক্রান্ত হয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে এক বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে, যার মরদেহ এগারো দিন পর দেশে এনে দাফন করা হয়েছে।
৩৮ বছর বয়সী কামাল হোসেন শারজাহর একটি হাসপাতালে গত ৩০ সেপ্টেম্বর মারা যান; বৃহস্পতিবার তার মরদেহ দেশে আসে।
এরপর ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে’ শুক্রবার সকালে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের মুন্সিরহাট ইউনিয়নের মেসতলা গ্রামে তাকে দাফনের কথা জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
কামাল মেসতলা গ্রামে নজির আহমেদের ছেলে। দুই মেয়ে রয়েছে তার।
পরিবারে স্বচ্ছলতা ফেরাতে বছর সাতেক আগে আরব আমিরাতে পাড়ি জমিয়েছিলেন। কিন্তু বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়া এমপক্স ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শারজাহের একটি হাসাপাতালে তিনি মারা যান।
কামালের বাবা নজির আহমেদ বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেলের মরদেহ নিয়ে রওনা হন। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার আগে বাড়িতে পৌঁছান। পরে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতা ও নির্দেশনা মেনে জানাজা শেষে ছেলেকে দাফন করেন।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, “কামালের মরদেহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী দাফন করা হয়েছে। আমরা সেখানে উপস্থিত থেকে সার্বিক বিষয়ে খেয়াল রেখেছি, যেন কেউ স্বাস্থ্যবিধি অমান্য না করেন।”
কামালের পরিবারের আট সদস্যকেও পর্যবেক্ষণ রাখার কথা জানিয়েছেন চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া।
“এমপক্স একটি ভাইরাসজনিত ছোঁয়াচে রোগ, যার কারণে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। আমার জানামতে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়নি,” বলেন তিনি।
মাঙ্কিপক্স হারিয়ে যাওয়া গুটি বসন্তের মত, তবে তুলনামূলকভাবে কম গুরুতর এবং সংক্রমণ বেশি ছড়ায় না। এই রোগের প্রাথমিক উপসর্গ হচ্ছে জ্বর, মাথাব্যথা, গাঁট ও মাংসপেশিতে ব্যথা এবং দেহে অবসাদ।
জ্বর শুরু হওয়ার পর দেহে গুটি দেখা দেয়। এসব গুটি শুরুতে দেখা দেয় মুখে। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে হাত এবং পায়ের পাতাসহ দেহের সব জায়গায়। এই গুটির জন্য রোগী দেহে খুব চুলকানি হয়। পরে গুটি থেকে ক্ষত দেখা দেয়। জল বসন্তের মতই রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠলেও দেহে এসব ক্ষত চিহ্ন রয়ে যায়। রোগ দেখা দেওয়ার ১৪ থেকে ২১ দিনের মধ্যে রোগী সুস্থ হয়ে ওঠেন।
ভাইরাসটি খুব দ্রুত ছড়াতে থাকায় গত অগাস্টে বৈশ্বিক জরুরি স্বাস্থ্য অবস্থা ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
আরও পড়ুন-