Published : 02 Jun 2025, 12:50 AM
সাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে একনাগাড়ে ভারি বর্ষণ ও উজানের ঢলে পার্বত্য এলাকা তলিয়ে যাওয়ায় ডুবেছে ঘরবাড়ি, ভেঙেছে সড়ক-সেতু; পাহাড় ধসে প্রাণ গেছে এক পরিবারের চারজনের।
তিন দিন ধরে চলছে টানা বর্ষণ। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে উজানের পাহাড়ি ঢলের পানি। ফলে খাগড়াছড়ির মাইনি নদীর পানি উঠে গেছে বিপৎসীমার ওপরে, তাতে আশেপাশের নিচু সব এলাকা তলিয়েছে। ঘরহীন হয়ে জেলা প্রশাসনের আশ্রয়কেন্দ্রে গেছে হাজারো মানুষ।
ভারি বর্ষণের কারণে পাহাড় ধস হতে পারে এমন আশঙ্কা ছিল আগেই। দুদিন আগে থেকেই জারি করা হয় সতর্কতা। বিভিন্ন এলাকায় করা হয় মাইকিং। এর মধ্যেই শনিবার রাতে ও রোববার সকালে সিলেটে, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙামাটির অনেক জায়গায় পাহাড় ও টিলা ধসে।
রোববার সিলেটে টিলা ধসে এক পরিবারের চারজনের প্রাণ গেছে। পার্বত্য তিন জেলায় পাহাড় ধসে প্রাণহানির খবর না মিললেও যোগাযোগ ব্যাহত রয়েছে। হাজারো মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে গেছেন।
এই তিন জেলায় ৫৯০টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। জেলাপ্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের খাবার ও থাকার বিষয়টি দেখভাল করা হচ্ছে।
সিলেটে প্রাণহানি
সাড়ে তিন দশক ধরে টিলার আশেপাশেই বসবাস করছিলেন রিয়াজ উদ্দিন। প্রতিদিনের মত শনিবার রাতে স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। কিন্তু রাত ২টার দিকে টিলার মাটি ধসে পড়ে ঘরের ওপর। তাতে ৫০ বছর বয়সী রিয়াজ, তার স্ত্রী রহিমা বেগম, মেয়ে সামিয়া খাতুন (১৫) ও ছেলে আব্বাস উদ্দিন (১৩) মারা যান।
রিয়াজ উদ্দিনের বাড়ি সিলেটের গোলাপগঞ্জের লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নের বখতিয়ারঘাট এলাকায়। তার ঘরটি ছিল টিলার পাদদেশে। টিলা ধসের পর চিৎকার শুনে স্থানীয়রা মাটি সরানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। পরে সকালে চারটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
রিয়াজ উদ্দিনের আরেকজন স্ত্রীও আছেন। সেই পক্ষেও এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। চারজনকে হারিয়ে দিশেহারা তারা।
টিলা ধসের খবরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মোহাম্মদ মাহবুব মুরাদ বলেন, সতর্কবার্তা আগেই দেওয়া হয়েছিল। শনিবারও ওই এলাকায় মাইকিং করা হয়। স্থানীয়দের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হয়।
এর আগে ২০২৪ বছরের ১০ জুন সিলেট নগরীর মেজরটিলা চামেলিবাগ এলাকায় টিলা ধসে শিশুসহ একই পরিবারের তিনজনের প্রাণহানি ঘটে।
২০২২ সালের ৬ জুন সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার চিকনাগুল ইউনিয়নের পূর্ব সাতজনি গ্রামে টিলা ধসে একই পরিবারের চারজনের প্রাণহানি ঘটে। এভাবে প্রতিবছর টিলা ধসে প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে সিলেটে।
রাঙামাটিতে ধস, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
রাঙামাটিতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ডুবে গেছে রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ফসলি জমি। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর বলছে, ছোট-বড় অন্তত ১৫টি স্থানে ধসে হয়েছে।
রাঙামাটি-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মঘাছড়ি এলাকায়, লংগদু উপজেলার করল্যাছড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় ধসের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় প্রশাসন, সড়ক বিভাগ ও ফায়ার সার্ভিস সড়ক থেকে মাটি সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।
পাহাড় ধসের পর ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে ৬৭২ জনকে সরিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে।
ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় রাঙামাটি জেলায় ২৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে আসা দুর্গতদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। লোকজনকে ঝুকিপূর্ণ পাহাড় থেকে সরে যেতে লাগাতার মাইকিং করা হচ্ছে।
সেইসঙ্গে ঢলের কারণে জেলা সদর, বাঘাইছড়ি, জুরাছড়ি, বিলাইছড়ি, বরকল, নানিয়ারচর উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ডুবেছে রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ফসলি জমি ও ঘরবাড়ি।
সদর উপজেলার সাপছড়ি ইউনিয়নে পাহাড়ি ঢলে প্রায় ২০০টি পরিবার প্লাবিত হয়েছে। ডুবে গেছে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক সংযোগ বন্ধ রয়েছে বেশ কিছু কিছু এলাকায়।
বাঘাইছড়ির ইউএনও শিরীন আক্তার বলেন, “পৌর এলাকার আশপাশে কয়েকটি গ্রামে পানি উঠেছে। উপজেলায় ৫৫টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা রাখা হয়েছে। তবে আশ্রয়কেন্দ্রে লোকজনের উপস্থিতি কম।”
রাঙামাটি সদরের ইউএনও রিফাত আসমা বলেন, “সদর উপজেলায় সাপছড়ি ইউনিয়নে অতি বৃষ্টি এবং পাহাড়ি ঢলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়েছে। প্রায় ২০০ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।”
তলিয়েছে খাগড়াছড়ি, ধসেছে পাহাড়
টানা ভারি বর্ষণে দীঘিনালার মাইনী নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
দীঘিনালার মেরুং ইউনিয়নের হেডকোয়ার্টার এলাকা সড়ক ডুবে গেছে। ফলে রাঙামাটির লংগদু উপজেলার সঙ্গে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। মেরুং ইউনিয়নের সোবাহানপুর, চিটাগাংইয়্যা পাড়া ও মেরুং বাজারের একাংশ ডুবে গেছে।
দীঘিনালা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সুভূতি চাকমা বলেন, খাগড়াছড়িতে ২৪ ঘণ্টায় ৯৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রের্কড করা হয়েছে।
নিচু এলাকায় প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি খাগড়াছড়ির বেশ কয়েকটি স্থানে পাহাড় ধসেছে। তাতে কেউ হতাহত না হলেও সড়ক যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে। ৫ শতাধিক মানুষকে জেলা সদরের শালবন এলাকার শিশু কল্যাণ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নেওয়া হয়েছে।
দীঘিনালার ইউএনও অমিত কুমার সাহা বলেন, “ছোট মেরুং বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩৭টা পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। তাদের খাবার ও পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া সড়ক ডুবে যানবাহন চলাচল বিঘ্ন ঘটছে।”
জেলা প্রশাসন বলছে, রোববার ভোর রাতে ধুমনীঘাট এলাকায় পাহাড় ধসে মহালছড়ির সঙ্গে জালিয়াপাড়া সড়কে যান চলাচল কিছু সময়ের জন্য বন্ধ হয়। খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার ভূয়াছড়ি, গুগড়াছড়ি ও ন্যান্সি বাজার এলাকায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে।
জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শালবন, কুমিল্লা টিলা, ১৮ পরিবার, হরিনাথপাড়া গ্যাপ, নেন্সিবাজার, কলাবাগানসহ শহরের বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়।
খাগড়াছড়ি সদরের ইউএনও সুজন চন্দ্র রায় বলেন, সকাল থেকে বেশকিছু সড়কে পাহাড়ের মাটি ধসে পড়ে। ঝু্ঁকিতে থাকা অন্তত ৫ শতাধিক মানুষকে শালবন এলাকার শিশু কল্যাণ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরিয়ে খিচুড়ি ও ডিম রান্না করে খাওয়ানো হয়। সদর উপজেলায় চারটি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।”
খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমান বলেন, বিভিন্ন সড়কে পাহাড় ধসে পড়ে। এর মধ্যে খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম সড়কের আলুটিলায় এক অংশে পাহাড় ধসে পড়েছে।
খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার বলেন, “জেলায় ১২৪টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণস্থান ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত মাইকিং করা হচ্ছে।
“এ ছাড়া এলাকায় এলাকায় আমি নিজে গিয়ে অনুরোধ করছি। তারপরও অনেকে স্থান ছেড়ে যাচ্ছে না। আর যারা আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে তাদের জন্য পর্যাপ্ত পানি ও খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।”
বান্দরবানে সড়কে ভাঙন, যান চলাচল ব্যাহত
টানা বর্ষণে বান্দরবানের বিভিন্ন স্থানে সড়কের মাটি ধসে পড়েছে। এতে বান্দরবান-সুয়ালক-লামা বাইপাস সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বান্দরবান সদর উপজেলার টংকাবতী ইউনিয়নের হেডম্যান পাড়া এলাকায় সড়কের তিনটি স্থানে বড় ধরনের ভাঙনের কারণে শুক্রবার থেকে সড়কটি সম্পূর্ণ অচল হয়ে পড়ে।
স্থানীয়রা বলছেন, বৃষ্টি হলেই সড়কের মাটি ধসে পড়ে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে অতি বৃষ্টির কারণে সড়কের দুপাশ ধসে পড়ায় শুক্রবার থেকে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে।
টংকাবতী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মায়াং ম্রো প্রদীপ বলেন, “গত বছর থেকেই সড়কটি ধসে পড়ার ঘটনা ঘটছে। এলজিইডিকে জানালেও কোনো কাজ হয়নি। এবার বর্ষার শুরুতেই যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।”
কয়েক দিনের ভারি বর্ষণের কারণে পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলার সাতটি উপজেলায় ২২০টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের এসডিসি আসিফ রায়হান।
বান্দরবান সদরে ৪৬টি, রুমা উপজেলায় ২৮টি, রোয়াংছড়ি উপজেলায় ১৯টি, থানচি উপজেলায় ১৫টি, লামা উপজেলায় ৫৫টি, আলীকদম উপজেলায় ১৫টি এবং নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ৪২টি অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
পাশাপাশি পাহাড়ে পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয় চলে যাওয়ার জন্য মাইকিং করছে পৌর কর্তৃপক্ষ।
বৈরী আবহাওয়ার কারণে প্রাণহানির ঝুঁকি এড়াতে বান্দরবানের লামা উপজেলায় প্রায় ৬০টি পর্যটন রিসোর্ট সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
লামার ইউএনও মো. মঈন উদ্দিন বলেন, কয়েকদিনের টানা ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে পাহাড়ি ঢালুতে অবস্থিত রিসোর্টগুলোতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। প্রাণহানির আশঙ্কা রোধে মিরিঞ্জা ভ্যালিসহ লামার বিভিন্ন পর্যটন স্পটের রিসোর্টগুলো পরবর্তীতে নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে পুনরায় রিসোর্টগুলো খুলে দেওয়া হবে।
বান্দরবান আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সনাতন কুমার মণ্ডল বলেন, রোববার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় মোট ১২৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, যা অতি ভারী বৃষ্টিপাত নির্দেশ করে।
বৃষ্টি আরও কয়েকদিন
নিম্নচাপ ও সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাব কেটে গেলেও মৌসুমি বায়ুর বিস্তারের কারণে সামনের কয়েকদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি ঝরবে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ সময় দেশের কিছু স্থানে ‘ভারি থেকে অতি ভারি’ বৃষ্টিপাতও হতে পারে।
রোববার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক বলেন, রোববার সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো, হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে।
সোমবার সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো, হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
সেইসঙ্গে ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের কয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো, হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
সেইসঙ্গে ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।
আর বুধবার থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো, হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।
বৃহস্পতিবার থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো, হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
আরও পড়ুন-
রাঙামাটিতে পাহাড় ধস-রাস্তা ডুবে যোগাযোগ ব্যাহত, চলছে মাইকিং
পরিবারের চারজনের লাশের ভার নিতে পারছেন না হোসেন আলী
সিলেটে টিলা ধসে একই পরিবারের ৪ জনের মৃত্যু
বান্দরবান-সুয়ালক-লামা সড়কে যান চলাচল বন্ধ: দুর্ভোগে স্থানীয়রা
বৈরী আবহাওয়ায় লামার সব পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ
বর্ষণে লংগদু বিচ্ছিন্ন, খাগড়াছড়িতে পাহাড় ধস, আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষ
খাগড়াছড়িতে টানা বৃষ্টিতে পাহাড় ধসের শঙ্কা, সরাতে মাইকিং
চট্টগ্রামে মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টি, পাহাড় ধসের শঙ্কায় মাইকিং