Published : 31 May 2025, 01:22 PM
ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কের টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায় প্রবাসীর মাইক্রোবাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতদের ধাওয়া করলে তাদের ছোঁড়া গুলিতে আহত হয়েছেন পুলিশের রেকারচালক।
শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলার পুষ্টকামুরী চরপাড়া বাইপাস এলাকায় এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে বলে মির্জাপুর থানার ওসি মোহাম্মদ রাসেদুল ইসলাম জানান।
তিনি বলেন, ডাকাত দলের সদস্যরা মাইক্রোবাসের নারী যাত্রীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকা, মোবাইল ফোন ও মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়।
পরে পুলিশ তাদের ধাওয়া করলে গোড়াই হাইওয়ে থানার রেকারের চালক তুহিনকে গুলি করা হয়। তাকে গুরুতর অবস্থায় কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পরে ডাকাত দলের ব্যবহৃত হাইয়েজ (মাইক্রোবাস) ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন অস্ত্র উদ্ধার করেছে। থানায় রাখা হয়েছে প্রবাসীকে বহন করা মাইক্রোবাসটি।
মাইক্রোবাসের যাত্রী সুমাইয়া আক্তার বলেন, তার ননদ বিউটি আক্তার জর্দান প্রবাসি। শুক্রবার তিনি জর্দান থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে নামেন।
পরে রাতে তারা টঙ্গি এলাকা থেকে একটি মাইক্রোবাস ভাড়া করেন। মাইক্রোবাসে তার ননদ বিউটি ছাড়াও শশুর আব্দুল হামিদ, সম্পা ও তাদের শিশু সন্তান ছিল।
রাত আড়াইটার দিকে তাদের মাইক্রোবাসটি মহাসড়কের পুষ্টকামুরী চরপাড়া এলাকায় পৌঁছায় জানিয়ে তিনি বলেন- হঠাৎ পিছন দিক থেকে আসা একটি হাইয়েজ এসে তাদের মাইক্রোবাসটির গতিরোধ করে।
এ সময় ৭-৮ জনের ডাকাত দল অস্ত্রের মুখে সবাইকে জিম্মি করে ফেলে। তারা পাঁচ-ছয়টি মোবাইল ফোন, নগদ ৭০ হাজার টাকাসহ তাদের মালামাল লুটে নেয়।
তিনি আরও বলেন, ডাকাতদের কাছে পিস্তল, পুলিশের ওয়াকিটকি, হ্যান্ডকাফ, বন্দুক, চাপাতি, ছুরি, লাঠি ও দা ছিল। তারা আর্তচিৎকার করলে গুলি করার হুমকি দেয় ডাকাতরা।
বিউটির শশুর আব্দুল হামিদ ও সুমাইয়া অভিযোগ করেন, ভাড়া নেওয়া মাইক্রোবাসের চালক মুস্তাকিন ও হেলপার জুয়েল ডাকাতির সঙ্গে জড়িত বলে তাদের সন্দেহ হচ্ছে। শুরু থেকেই মাইক্রোবাস চালক বিভিন্ন এলাকায় তাদের ঘুরিয়েছে।
এদিকে মহাসড়কের টহল পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের একদল সদস্য ঘটনা দেখে ডাকাতদের ধাওয়া করে। তখন ডাকাতরা গুলি ছুড়লে হাইওয়ে থানার রেকার চালক তুহিন মিয়া গুলিবিদ্ধ হন। ডাকাত দলের সদস্যরা পালিয়ে যায়।
পরে পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।
রেকার চালক তুহিন বলেন, ডাকাত দলে কমপক্ষে ১০-১২ জন ছিল। তারা এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়েছে। গুলি তার হাতে লেগেছে। অল্পের জন্য তিনি প্রাণে বেঁচেছেন।
হাসপাতালে অস্ত্রোপাচার করে গুলি বের করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ওসি মোহাম্মদ রাসেদুল ইসলাম বলেন, ডাকাতির খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ডাকাতদের শনাক্ত ও আটকের চেষ্টা চলছে।