Published : 19 Jun 2023, 05:53 PM
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্যের হয়ে পরীক্ষা দেওয়ার অভিযোগে এক যুবক আটক হয়েছেন।
সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের সমাজবিজ্ঞান অনুষদভুক্ত 'বি' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার তৃতীয় শিফট চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তির নাম সোহেল রানা। তিনি নাজমুল হক নামে এক ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর হয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন বলে জানান প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান।
সোহেল রানাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে প্রক্টর জানান, আটক যুবক নিজেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের সাবেক শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। তার বাড়ি রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলায়।
তৃতীয় শিফটের পরীক্ষা চলাকালে সন্দেহজনক হিসেবে সোহেলের কাছে তার মা-বাবার নাম জিজ্ঞেস করেন দায়িত্বে থাকা শিক্ষকরা। তবে তিনি প্রবেশপত্র অনুযায়ী মা-বাবার নাম বলতে পারেননি।
এ ছাড়া ভর্তি পরীক্ষার্থীর ছবির সঙ্গে সোহেলের ছবিরও মিল পাওয়া যায়নি।
পরে প্রক্টরিয়াল বডিকে খবর দেন হলের দায়িত্বে থাকা শিক্ষকরা। এরপর সোহেলকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন। তখন অন্যের হয়ে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন তিনি।
সোহেল রানার দাবি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লেখাপড়া শেষ করে চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। এর আগে কারো প্রক্সি না দিলেও এবার পরিচিত বড় ভাই ইমরান ইমনের মাধ্যমে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে জাবিতে প্রক্সি দিতে এসেছেন। যে নাজমুল হকের হয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছেন তিনি ইমরানের আত্মীয় বলে শুনেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, “সোহেল রানা এখন আমাদের জিম্মায় আছেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতকে জানিয়েছি। তারা অপরাধের মাত্রা বিবেচনা করে অভিযুক্তকে শাস্তি দেবেন।”
রোববারও 'সি' ইউনিটের পরীক্ষায়ও অভিযুক্ত সোহেল রানা প্রক্সি দেওয়ার কথা স্বীকার করায় এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটিকে জানিয়ে সেই উত্তরপত্রটি বাতিল করা হয়েছে বলেও জানান প্রক্টর।