Published : 02 Jun 2025, 09:46 PM
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদীতে ট্রলার ডুবির ঘটনার তিন দিন পর এক পুলিশ সদস্যের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছে এক রোহিঙ্গা শিশু।
এ নিয়ে মেঘনায় ট্রলার ডুবির ঘটনায় তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হলো।
সোমবার বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার চানন্দি ইউনিয়নের দরবেশ বাজার এলাকায় মেঘনা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয় বলে জানান হাতিয়া থানার ওসি এ কে এম আজমল হুদা।
নিহত সাইফুল ইসলাম লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানার চরশাহী গ্রামের মো. সিরাজুল ইসলামের ছেলে। তিনি নোয়াখালী জেলা পুলিশ লাইন্সে কর্মরত ছিলেন।
নিখোঁজ শিশুটির নাম মো. তামিম। এর আগে রোববার লক্ষীপুরের রামগতি উপজেলার বিবির হাটের কাছে মেঘনা নদী থেকে তার মা হাসিনা বেগমের লাশ উদ্ধার করা হয়।
তামিমের বাবা ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৬১ নম্বর ক্লাস্টারের বাসিন্দা মো. তারেকও ডুবে যাওয়া ট্রলারের যাত্রী ছিলেন। উদ্ধারের পর তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
ওসি আজমল হুদা বলেন, নদীতে ভাটার সময় লাশটি চরের কাদামাটিতে আটকে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত অপরজন ভাসানচর থানার সাব পোস্ট মাস্টার ও ফেনীর পৌর দৌলতপুর গ্রামের প্রয়াত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মো. গিয়াস উদ্দিন (৫৩)।
হাতিয়ায় ট্রলার ডুবি: একজনের লাশ উদ্ধার, নিখোঁজ এখনও ৫
ভাসানচর থেকে আসার পথে মেঘনায় ট্রলার ডুবি, নিখোঁজ ৬
নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, শনিবার দুপুরে হাতিয়ার ভাসান চর থেকে ৩৯ জন যাত্রী নিয়ে একটি ট্রলার হরণী ইউনিয়নের আলী বাজার ঘাটের উদ্দেশে যাত্রা করে। ট্রলারটিতে তিন পুলিশ সদস্য, চার আনসার সদস্য, বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কর্মী ও ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে থাকা কয়েকজন রোহিঙ্গা রোগী ছিলেন।
ট্রলারটি ভাসানচর থেকে ৭ থেকে ৮ কিলোমিটার অতিক্রম করে বেলা ৩টার দিকে করিম বাজারের ঘাটের কাছে ডুবোচরের সঙ্গে কয়েকবার ধাক্কা খায়। এতে তলা ফেটে ট্রলারটি ডুবে যায়।
তাৎক্ষণিক নদীতে থাকা অন্য ট্রলারের জেলেরা একজনকে মৃতসহ কয়েকজনকে জীবিত উদ্ধার করেন। পরে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ এবং যুব রেডক্রিসেন্ট সদস্যরা রাত ১০টা পর্যন্ত দুই পুলিশ সদস্যসহ ৩৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করেন।